মুমতাজ-এর সঙ্গে শত্রুঘ্ন সিনহার বন্ধুত্বের বয়স পঞ্চাশ বছরেরও বেশি। বন্ধুত্বের সেই জায়গা থেকে🍌ই তাঁর এই পুরোনো বন্ধুকে দারুণ চমকে দিলেন মুমতাজ। কয়েকদিন আগেই না বলে কয়ে আচমকা হাজির হয়েছিলেন শত্রুঘ্নের মুম্বইয়ের বাসভবন 'রামায়ণ'-এ। বহুদিন পর আচমকা পুরোনো বান্ধবীকে দেখে যে দারুণ খুশি হয়েছেন 'বিহারীবাবু' সেকথা নিজেই টুইট করে জানিয়েছেন তিনি। সঙ্গে মুমতাজের সঙ্গে তাঁর 'রিউনিয়ন'-এর একাধিক মুহূর্তের ছবিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন শত্রুঘ্ন।
সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে শত্রুঘ্ন এবং তাঁর স্ত্রী পুনম সিনহা-কে দু'পাশে রেখে সোফার মাঝখানে বসে রয়েছেন মুমতাজ। আর এক হাত দিয়ে সস্নেহে ধরে রয়েছেন শত্রুঘ্নকেও। তাঁর বহু বছরের পুরোনো ও প্রিয় বান্ধবী মুমতাজের সঙ্গে যে সেদিন জমিয়ে আড্ডা মেরেছেন তিনি সেকথাও টুইট করে জানাতে ভোলেননি বর্ষীয়ান অভিনেতা। শুধু তাই নয়, এরপর নিজের জীবনী 'এনিথিং বাট খামোশ' এর একটি কপি তুলে দেন তাঁর 'ঝিল কে উস পার' ছবির সহ-অভিনেত্রীর হাতে। বইটির একটি অধ্যায়ে যে মু𝕴মতাজ ও শত্রুঘ্নের বন্ধুত্বের কথা যেমন উল্লেখ করা হয়েছে তেমনই স্পষ্টভাবে লেখা রয়েছে কীভাবে অভিনেতার কেরিয়ারের সাফল্যে বড় অবদান ছিল 'খিলোনা' ছবির এই নায়িকার। প্রিয় বান্ধবীর হাতে বই তুলে দেওয়ার সেই মুহূর্তের ছবিটিও টুইট করেছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা।
প্রসঙ্গত, 'খিলোনা' ছ♚বির প্রযোজকের সঙ্গে একবার বড় রকমের বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন শত্রুঘ্ন। ব্যাপার এতদূর গড়ায় যে অভিনেতাকে ছবি থেকে বাদ দিতে বদ্ধপরিকর হয়ে ওঠেন ওই প্রযোজক। ꦿসেই সময় রুখে দাঁড়ান মুমতাজ। তিনি ওই ছবির নায়িকা ছিলেন। প্রযোজককে স্পষ্টাস্পষ্টি জানিয়ে দিয়েছিলেন যদি শত্রুঘ্নকে ওই ছবি থেকে বাদ দেওয়া হয় তবে তিনিও এই ছবিতে আর অভিনয় করবেন না। শেষপর্যন্ত ঝুঁকতে বাধ্য হন সেই পরিচালক। আর সেই ছবি মুক্তি পাওয়ার পর রাতারাতি লাইমলাইটে নিচে চলে আসেন শত্রুঘ্নও!