আরজি করের ঘটনায় শুরু থেকেই সরব তিনি। পথে নেমে প্রতিবাদ করতে দেখা গিয়েছে শ্রীলেখা মিত্রকে। তা🍸ঁরই মতো প্রতিবাদে নেমেছেন টলিপাড়ার আরও অনেক তারকা থেকে আম জনতাকেও। কিন্তু একী! পথে শুয়ে থাকা একটা কুকুরের গায়েও লাল কালি লেখা 'উই ওয়ান্টস জাস্টিস'। আর তাতেই 💞বেজায় বিরক্ত অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র।
কোনও প্রাণীর গায়ে রং দেওয়া খুবই বিপজ্জনক। আর সেকথাই বারে বারে বলে থাকেন পশু চিকিৎসকরা। রঙে থাকা রাসায়নিক পদার্থ পশুদের চামড়ার ভয়ানক ক্ষতি করে। আর সেকারণেই দোলের সময়ও বারবার মানুষজনকে পথ কুকুর, বিড়ালদের গায়ে রং না দেওয়ার কথা বলা হয়ে থাকে। তবে এবার কেউ বা কারা পথ কুকুরের গায়ে রং দিয়ে 'বিচর চাই' লেখায় বেজায় চটജলেন পশুপ্রেমী শ্রীলেখা।
বিরক🔥্ত শ্রীলেখা ফেসবুকের পাতায় লেখেন, ‘এই অবলাদের উপর অত্যাচার করে ন্যায় বিচার চাওয়া হচ্ছে? নোংরামির একটা সীমা থাকা দরকার। এর বিচার কে চাইবে?’
ফেসবুকে শ্রীলেখার এই পোস্ট সমর্থন করে গর্জে উঠেছেন অনেকেই। এক নেটিজেন লিখেছেন, ‘ছিঃ যদিও শহরের শিক্ষিত লোকজনকে ছোট থেকে দেখে আসছি, দোলের দিন বেড়াল কুকুর থেকে গরু ছাগলের মাথায় আবীরের ঠোঙা ঢেলে মজা পেতে। কালীপুজোয় ওদের লেজ পটকার চেইন বেঁধে দেশলাই জ্বেলে অমানুষিক উল্লাসে মত্ত হতে। গুলতি দিয়ে পাখি মারা আরো কতো কীই যে মজা দেয় মানুষদের!’ আরেকজন লিখেছেন, ‘এ কেমন বিচার চাওয়া ভাই! আশাকরি এটা রক্ত নয়। যদি কালী হয়ে থাকে, তাহলে দয়া করে কেউ মুছে দেবেন প্লিজ।’ কারোর কথায়, ‘অসভ্যতার একটা সীমা আছে, আর নেওয়া যাচ্ছে না।’ কারোর মন্ꦅতব্য, ‘এই ঘটনা থেকেই প্রমাণ হয়, শহরে অনেক বিক্রিত মনের মানুষ আছেন। এটা প্রতিবাদ নয়, বর্বরতা…।’
প্রসঙ্গত, আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে সরব শহর কলকাতা থেকে শুরু করে গোটা রাজ্যের মানুষ। গত রবিবার সিনেমাপাড়ার মিছিলে উপস্থিত ছিলেন টলিপাড়ার বেশিরভাগ তারকারা। মিছিলে হাঁটেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়, রাজ চক্রবর্তী, অরিন꧑্দম শীল, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, সৌরসেনী ম▨ৈত্রস ইশা সাহা, অঙ্কুশ হাজরা, ঐন্দ্রিলা সেন, ঋত্বিক চক্রবর্তী, রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়, বিশ্বনাথ বসু, কৌশিক সেন, রেশমি সেন, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়, ঋদ্ধি সেন, সৃজিত মুখোপাধ্যায়, শান্তিলাল চট্টোপাধ্যায়, পাওলি দাম, ফ্যাশান ডিজাইনার অভিষেক রায় সহ আরও অনেকেই। আর আগামী ২৫ অগস্ট পথে নামতে চলেছে ছোটপর্দার তারকারাও।