কলকাতায় এসেছেন দ্য কেরালা স্টোরি (The Kerala Story) ছবির পরিচালক সুদীপ্ত সেন (Sudipto Sen) এবং অভিনেত্রী আদা শর্মা (Adah Sharma)। গত ১৮ মে সুপ্রিম কোর্ট পশ্চিমবঙ্গ সর♔কারের দ্য কেরালা স্টোরি ব্যান করার সিদ্ধান্তের উপর স্থগিতাদেশ আনে। এরপর ১৯ মে কলকাতায় আসেন এই ছবির পরিচালক এবং অভিনেত্রী। আর এসেই তাঁরা হতাশ হয়েছেন বলে জানান।
আদা শর্মা এই প্রথমবার কলকাতা এসেছিলেন। অভিনেত্রী জানালেন তিন🦩ি অনেক আ﷽শা নিয়ে এই প্রাণের শহরে এসেছিলেন। ভেবেছিলেন এই শহরের যেখানে যেখানে এই ছবি চলবে সেখানে সেখানে যাবেন, ঘুরে দেখবেন। কথা বলবেন দর্শকদের সঙ্গে। কিন্তু যেহেতু এখনও বাংলার কোনও হলেই দ্য কেরালা স্টোরি দেখানো শুরু হয়নি সেহেতু তিনি ভীষণই হতাশ হয়েছেন বলেই জানান।
প্রায় একই সুর পরিচালকের গলাতেও। সুদীপ্ত সেন এদিন বলেন, 'রা༺জনৈতিক মতামত তো সবারই থাকে। আর সেটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু কাজ করার🐠 সময় সেই রাজনৈতিক ভাবনা, চিন্তাকে সরিয়ে রেখে কাজ করতে হয়।'
গত বৃহস্পতিবার যখন দেশের শীর্ষ আদালত (Supreme Court) দ্য কেরালা স্টোরির উপর আনা বাংলার সরকারের নিষেধাজ্ঞার উপর স্থগিতাদেশ আনে তখন মায়ানগরী মুম্বইতে ছিলেন সুদীপ্ত সেন। আর সেখানে বসেই আনন্দে ভেসে যান। ভেবেছিলেন বাংলার ছেলের ছবি এবার বোধহয় বাংলায় চলবে। আর সেই কারণেই তার পরদ🐼িন, শুক্রবার, ১৯ মে তাড়াতাড়ি তিনি কলকাতায় আসেন আদা শর্মাকে সঙ্গে নিয়ে। কিন্তু এসে এক রাশ হতাশার মধ্যে পড়তে হয় তাঁদের। আর সেই হতাশাকে বিন্দুমাত্র আড়াল করার চেষ্টা করেন না সুদীপ্ত। বরং নিজের বিরক্তির কথা সবার সামনে উগড়ে দেন। শোনান মন খারাপের কথাও।
সুদীপ্ত সেন এদিন কথায় কথায় বলেন, 'আমি নিজে বাঙালি, এই ছবিটির যিনি সঙ্গীত আয়োজন করেছেন তিনি বাঙালি। সুপ্রিম কোর্টের এ♑ই রায়ের পর আমরা এতটাই খুশি হয়েছিলাম যে রায় ঘোষণা মাত্র ঠিক করি আমরা কলকাতা আসব। আমরা ভেবেছিলাম এখানে এসে সমস্ত হল ঘুরে দেখব। দর্শকদের সঙ্গে কথা বলব। কিন্তু এখানে এসে ভীষণই হতাশ হলাম। সুপ্রিম কোর্ট নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেওয়ার পরও পশ্চিমবঙ্গের কোথাও এই ছবি চলছে না। আমরা সবাই খুব হতাশ। অবাক হলাম এই ঘটনায়।' তিনি আরও জানান, 'আমাদের প্রযোজক, আইনজীবী এই ঘটনার বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবেন বলেও আশা করছি। কিন্তু 📖যে কারণ, যতটা আনন্দ নিয়ে কলকাতা এসেছিলেন সেটার অধিকাংশটাই নষ্ট হয়ে গেল।'
সুদীপ্ত এদিন তাঁর বক্তব্যে জানান তাঁকে নাকি এই ছবি তৈরি করতে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। গত ৮ বছর ধরে তিনি এই ছবি নিয়ে কাজ করছিলেন। বহু প্রযোজক এই ছবিতে কাজ করতে ভয় পেয়েছেন। অবশেষে বিপুল অমৃতলাল শাহ রাজি হন। পরিচালকের কথায়, 'আমরা যখন ছবিটি বানাই তখন বুঝিনি দর্শকদের থেকে এতটা ভালোবা෴সা পাব। বা এই ছবি এত চর্চার মধ্যে থাকবেন আমরা শুধু চেয়েছি মানুষ ছবিটা দেখুক। আমাদের ব্যবসা করার হলে কোনও মশলাদার ছবি বানাতাম। এখন যখন দর্শকরা এই ছবি দেখছেন, ভালোবাসা জানাচ্ছেন তখন সেটা থেকে তাঁদের আটকানো উচিত নয়।'
কিন্তু ছবিতে যে ৩২,০০০ সংখ্যা দেখানো হয়েছিল, যেটা নিয়ে এখনও জ𓆏লঘোলা চলছে সেই বিষয়ে তাঁর কী মত? পরিচালকের কথায়, 'সেন্সর বোর্ড আমাদের একটা দৃশ্য বাদ দিতে বলেনি। আমরা ওখানে ৩ ঘণ্টার পরীক্ষা দিয়েছি এই ছবিটা নিয়ে। সঙ্গে ২০০ পাতার নথি জমা দিয়েছি। তেমন হলে সেন্সর বোর্ডে আটকাত, সেটা হয়নি। আর এখানেই আমার জয়। এখানে সংখ্যাটা বড় কথা নয়, এটা ৩২,০০০ কম হতে পারে আবার বেশিও। কিন্তু আমাদের দেশের একটা মেয়েও যদি এটার শিকার হয় তাহলে সেটা লজ্জার। সবার জানꦿা উচিত সেই ঘটনা।'
সুদীপ্ত সেন এদিন আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে বলেন যে তিনি চান মুখ্যমন্ত্𒆙রী এই ছবি দেখুন। প্রয়োজনে তিনি থাকবেন তাঁর সঙ্গে। তাঁর একটাই কথা, 'ধরে নিলাম সংখ্যাটা ভুল। কিন্তু এটা তো ঠিক ঘটনা মিথ্যে নয়। যে মেয়েরা এই ঘটনার শিকার হয়েছেন আমি চাই দিদি তাঁদের পাশে দাঁড়ান।'