অধিকাংশ সময় তারকাদের উপর অভিযোগ ওঠে অনুরাগীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের। নেটমাধ্যম ভরে যায় কটাক্ষ-ট্রোলে। তবে পাবলিক প্লেসে অনুরাগীদের সেলফি তোলার আবদারে মাঝেমাঝে বেশ হয়রান হতে হয় তাঁদেরও। এমনকী বাদ যান না তারকাদের পরিবারের সদস্যরাও। সেরকমই এক ছবি ধরা পড়ল পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায় ঐশ্বর্য রাই কানে যাওয়ার সময়তে।গাড়ি থেকে আরাধ্যাকে নিয়ে নামেন বচ্চন বধূ। আপ পাঁচটা মায়ের মতো বরাবরই আগলে রাখেন ঐশ্বর্য মেয়েকে। কিন্তু এমনভাবে সবাই তাঁকে ছবির জন্য ঘিরে ধরতে শুরু করে যে মায়ের হাত ছেড়ে একপাশে দাঁড়িয়েছিলেন ১১ বছরের আরাধ্যা। একটু যেন ঘাবড়েও গিয়েছিল সে। কোনওরকমে তারপর ভিড় সামলে মেয়ের হাত ধরে সোজা এয়ারপোর্টের অন্দরে ঢুকে যান ঐশ্বর্য।এক পাপারাজ্জো অ্যাকাউন্ট থেকে ভিডিয়োটি শেয়ার করা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর তাতে ঐশ্বর্য আর আরাধ্যাকে এভাবে হেনস্থা হতে দেখে বেশ অসন্তোষই প্রকাশ করল নেটিজেনদের বড় একটা অংশ। একজন কমেন্টে লিখলেন, ‘এভাবে ব্যক্তিগত পরিসরে ঢুকে গেলে যে কেউ বিরক্ত হবে। তারকা মানেই কি তাকে সবসময় সেলফি দিতে হবে, তাও আবার জোর করে। এগুলো সত্যিই সহ্য করা যায় না।’ দ্বিতীয়জন লিখলেন, ‘আরাধ্যা রীতিমতো ভয় পেয়ে গিয়েছে। একপাশে দাঁড়িয়ে আছে। এভাবে ছবি তুলতে এসে ধাক্কাধাক্কি করছে সবাই। কেউ একবারও ভাবল না বাচ্চাটার কথা।’ এই একই ভিডিয়োতে দেখা গেল সারা আলি খানকে সেলফি তোলার জন্য টানাটানি করছে কিছু মানুষ। মুখে হাসি রেখেই সবাইকে একটু অপেক্ষা করার অনুরোধ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। কিন্তু কারওরই যেন তর সইছে না। প্রসঙ্গত, দিনকয়েক আগেই আরাধ্যাকে নিয়ে প্রচারিত ভুয়ো খবর প্রচারের জন্য একটি ইউটিউব চ্যানেলের নামে দিল্লি হাইকোর্টে গিয়েছিলেন। পরে আদালতের তরফ থেকে রায়ে সেই চ্যানেলের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। এবং সঙ্গে আরাধ্যাকে নিয়ে আনলাইনে থাকা এরকম ভুয়ো ভিডিয়ো যাতে অবিলম্বে মুছে ফেলা হয় সে নির্দেশও আসে। কাজের সূত্রে ঐশ্বর্যকে শেষ দেখা গিয়েছে পন্নিয়ন সেলভান ২-তে। যা হিন্দি, কন্নড়, তেলেগু এবং মালায়লাম ভাষায় মুক্তি পায়। বিশেষ প্রশংসিত হয়েছে আরাধ্যার মায়ের অভিনয়। (এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক //htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)