মাসখানেক আগেই বাংলা সারেগামাপা-র প্রতিযোগী ও ফাইনালিস্ট অ্যালবার্ট কাবো-র সাড়ে আট মাসের মেয়ের মৃত্যু সংবাদ পেয়েছিল নেটপাড়া। যেই খুদেকে কোলে নিয়ে স্বামীর গান শুনতে এসেছিল কা𓃲বোর স্ত্রী, সেই এভিলিন আর নেই তা যেন মানত𒐪েই পারছিল না নেটপাড়া। শোকে বিহ্বল হয়ে গিয়েছিল কাবোর অনুরাগীরা।
সেইসময় কাবো নিজের একরত্তি মেয়েটার একটা ছবি শেয়ার করে লিখেছিলেন, ‘গল্পটা শেষ হলেও যাত্রাটা নয়। তুমি আমাদের জীবনের সবচেয়ে মিষ্টি গানটা গেয়েছো। আমাদের ধ্রুবতারা হয়ে থেকো তুমি। আর আমাদের পথ দেখিও। ওখানে ভালো থেকো। তোমার আত্মার শান্তি কামনা করি এভিলিন লেপচা।’ আরও পড়ুন: সানি পাজি ছা গ্য়য়া! গদর ২-এর রমরমা হলে বুধবারেও, পেরোতে পারল আড়াইশো কোটির 🐽ঘর?
দেখতে দেখতে অনেকটা দিন কেটে গিয়েছে। তবে মা-বাবার কাছে মেয়েকে ভোলা কি এতই সহজ। হিন্দি সারেগামাপা-র মঞ্চে এবার দেখা মিলল পাহাড়ি ছেলেটার। সলমন খানের ‘বডিগার্ড’ ছবি থেকে ‘আই লাভ ইউ’ গানটা গাইলেন। কিন্তু তার পরে জানালেন তাঁর এবারে কোনও ইচ্ছেই ছিল না সারেগামাপা-র মঞ্চে আসার। বিচারকরা কারণ জিজ্ঞেস করলে আর চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি। মেয়ের শোকে হাউহাউ করে কেঁদে ফেলেন। পাশে ছিলেন পূজা ছেত্রীও। তিনিও সামলাতে পারছিলেন না নিজেকে। শেষে মঞ্চে এসে এই সদ্য সন্তানহারা মা-বাবাকে সামলান বিচারকের আসনে থাকা নীতি মোহন। কেঁদে ফেলেন হিমেশ রেশামিয়াও। আরও পড়ুন: ‘কালচার শক ছিল!’, লন্ডন-আমেরিকার বোর্ডিংয়েও ‘ভয়াবহ’ অভিজ্ঞতা হয়েছিল সুহানা খানে🌠🗹র
নতুন সারেগামাপা-এ প্রতিযোগী হিসেবে দেখা যাবে কাবো-কে। ২০২২-২৩-এর সারেগামাপা বাংলার রানার্স আপ হন কাবো। শো পদ্মপলাশ জিতলেও দর্শকমন জয় করে নিয়েছিলেন এই পাহাড়ি ছেলেটি নিজের গায়িকি দিয়ে। একসময় টুরিস্ট গাইড হিসাবে কাজ করতেন। কোনওদিনই প্রকৃত প্রশিক্ষণ নেওয়া হয়নি গানের, তবে রাতের অন্ধকারে বর্ন-ফায়ারের আসরে কাবোর গান শুনে মুগ্ধ হয়নি এমন কেউ নেই। সবার পরামর্শ মতোই সারেগামাপা-র অডিশন দেন কাবো। আর তারপর রাতারাতি বদলে যায় জীবন। আরও পড়ুন: বিচ্ছেদের পর সুবান সিঙ্গল! প্রেমে পড়ার কথা স্বীকার করে নিলেন তিয়াস🦩া, কে পাত্র?
হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে পূজা জানিয়েছিলেন তাঁর মেয়ের হার্টের সমস্যা ছিল। শুধু হার্টেই নয়, আরও বেশকিছু শারীরিক সমস্যা ছিল। অনেক চিকিৎসা করেও বাঁচানো যায়নি𝔉। ২০২২-এর অ🦂ক্টোবরে জন্ম হয়েছিল এভিলিন লেপচার। মৃত্যুর সময় বয়স হয়েছিল মাত্র সাড়ে আট মাস। ১ বছরের জন্মদিন আসার আগেই পরিবারের সকলকে কাঁদিয়ে চলে যায় সে। তবে মেয়ের চলে যাওয়ার শোক নিয়েইস সুন্দর সময়ের স্মৃতি বুকে বহন করেই. জীবনের পথে এগিয়ে চলেছে পূজা আর কাবো। পাশে রয়েছে পরিবার আর অনুরাগীরা।