গ্ল্যামার জগতে হাতছানিতে পা বাড়িয়েছেন বহু মানুষ। লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশন, আর রংচঙে, উজ্জ্বল দুনিয়ার অংশ হতে কত মানুষেরই না ভালো লাগে! তবে এই জগৎ বাইরে থেকে দেখতে ভীষণই রূপকথার মতো মনে হলেও এর অন্দরেও থাকে অনেক লড়াই। গ্ল্যামার-অভিনয় দুনিয়ার কথা বললে প্রথমেই হয়ত আমাদের মনে আসে বলিউডের কথা। আ𝄹র এই বলিউডে বর্তমানে অন্যতন চর্চিত অভিনেত্রী হলেন আলিয়া ভাট।
তবে বর্তমানে শুধু বলিউড নয়, আন্তর্জাতিক মঞ্চও দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। প্যারিস ফ্যাশান উইক থেকে মেট গালা, আন্তর্জাতিকꦺ মঞ্চও সর্বত্রই নজর কেড়েছেন আলিয়া ভাট। তবে কি জানেন, এই মেটগালার অংশ হতে গিয়েই মহা বিপদে পড়েছিলেন আলিয়া ভাট। সম্প্রতি, দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো'-এ এসে সেকথাই ফাঁস করেছেন ভাট কন্যা।
শোয়ে অর্চনা পুরাণ সিং আলিয়াকে প্রশ্ন করে বসেন যে তিনি কীভাবে তার মেট গালা ২০২৪-এ ওমন এক পোশাক পরে ওয়াশরুমে গিয়েছিলেন? প্রসঙ্গত, মেট গালায় আলিয়া পরেছিলেন সেলিব্রিটি ডিজাইনার সব্যসাচীর ডিজাইন করা একটা শাড়ি, যে শাড়ির আঁচল ছিল প্রায় ২৩ ফুট লম্ব। আর তাই সেই শাড়ি পরে আলিয়া কীভাবে ওয়াশরুমে গিয়েছিলেন তা নিয়েই কৌতুহলী হয়ে পড়েন অর্চনা পুরাণ সিং। উত্তরে আলিয়া বলেন, ‘বললে হয়ত অনেকে বিশ্বাস করবেন না, এই শাড়িটা পরে আমি টানা ৬ ঘণ্টা ওয়াশরুমেইꦗ যাইনি।’ অর্থাৎ এই সময়টা আলিয়া শৌচকর্ম চেপে রেখেছিলেন প্রায় বাধ্য হয়েই।
এদিকে আলিয়ার এই বক্তব্য এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন রসিকতার খোরাক হয়ে উঠেছে। আলিয়া সম্পর্কে পাপারাৎজি শেয়ার করা পোস্টের নীচে একজন মজা করে লিখেছেন, ‘৬ ঘণ্টা ওয়াশরুমে না যাওয়া এখন তার সংগ্রাম... ওহ মাই গড তার জীবন কত কঠিন꧅ হতে পারে', অন্য একজন মন্তব্য করেছেন ‘সংগ্রাম করতে হয় ভাই সংগ্রাম’। কেউ আবার অনন্যা পাণ্ডেকে টেনে এনে লিখেছেন, ‘লে অনন্যা পাণ্ডে, বেহেন তেরি লাইফ মে তো মুজ সে ভি জ্যাদা স্ট্রাগল হ্যায়।’ কেউ কেউ আবার মজা করে আডায়াপার পরার✅ পরামর্শ দিয়েছেন। কারোর মন্তব্য, ‘দয়া করে প্রাপ্তবয়স্কদের ডায়াপার পরুন, বড়দেরও ডায়পার পাওয়া যায়’, অন্য একজন লিখেছেন, "রিল্যাক্স গাইস ডায়াপার পেহনা হোগা।'
প্রসঙ্গত মেট গালায় আলিয়া পরেছিলেন প্যাস্টেল সবুজ রঙের নেটের একটা শাড়ি, যেটা ছিল সম্পূর্ণ হাতে বোনা। গো𒅌টা শাড়ি জুড়ে সাদা আর গোলাপি ফুলের কারুকাজ করা ছিল। সেটা সিল্ক ফ্লস, পুঁতির টাসেল, গ্লাস বিড দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল। তবে নজর কেড়েছিল গালিচা জুড়ে লুটিয়ে থাকা শাড়ির লম্বা আঁচল। প্রায় ২৩ ফুট লম্বা লেই আঁচলে ছিল চোখ ধাঁধানো এমব্রয়ডারি। আলিয়ার এই শাড়িটি তৈরি করতেপ্রায় ১৯৫৬ ঘণ্টা সময় লেগেছিল বলে জানিয়েছিলেন সব্যসাচী।