পথকুকুরদের, তাদের উপর হওয়া অত্যাচার, নৃশংসতার গল্প বলবে পারিয়া। তথাগত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত এই ছবি মুক্তি পেতে আর মাত্র কয়েকটি দিন বাকি। ৯ ফেব্রুয়ারি আসছে বিক্রম চট্টোপাধ্যায়, অঙ্গনা রায়, শ্রীলেখা মিত্র অভিনীত এই ছবি। তার আগে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কী জানালেন অঙ্🐠গনা?
তথাগতদা, বিক্রমদার সঙ্গে প্রথম ছবি, কেমন অভিজ্ঞতা ছিল?
অঙ্গনা: দারুণ। মুখ্য মহিলা চরিত্রে এই প্রথমবার আমি কোনও ছবিতে থাকব, আর যে কোনও প্রথম জিনিসই ভীষণ স্পেশ্যাল হয়। ফলে ভীষণ এক্সাইটেড আমি। তাছাড়া ༺তথাদা (তথাগত মুখোপাধ্যায়) আমার খুব পছন্দের পরিচালক, ওঁর সঙ্গে কাজ করার ইচ⛎্ছে ছিল। সেটা পূরণ হল। ওঁদের টিমের কাজের ধরন খুব ভালো, প্রপার প্রিপ্রোডাকশন কাজ হয়েছে, এক মাস রিহার্সাল হয়েছে। আমাদের সেটে গিয়ে স্ক্রিপ্টই দেখতে হয়নি সবটা এমন ভাবে মাথায় গেঁথে গিয়েছিল।
আপনার চরিত্রটার নাম কী? সেটার বিষয়ে যদি বলেন।
অঙ্গনা: আমার চরিত্রের নাম কমলিনি। ওর চোখ দিয়েই দর্শক গল্পটা দেখবে, জানবে। এই 🍸ছবির একমাত্র পজিটিভ চরিত্র হল এটি। বাকি সব চরিত্রের গ্রে শেড আছে। এই ছবি করার মূল কারণ আমি যেমন যা জেনেছি বা জানব, দর্শকরাও আমার সঙ্গে একই ভাবে সবটা জানতে জানতে যাবেন। কমলিনির চোখ দুটো খুব গুরুত্বপূর্ণ এখানে। ছবির শুরু এবং শেষটা লক্ষ্য করলেই বোঝা যাবে কতটা বদল আসবে সেখানে, বাস্তব কতটা বদলাবে তাকে। জীবনধারাই পাল্টে যাবে ওর।
আরও পড়ুন: '🏅ভাত নেসেসিটি হতে পারে, ডাল কিন্তু লাক্সারি', শীতকালে কাশ্মীরে গিয়ে সৃজিতের হেঁয়ালি
আরও পড়ুন: 'সবটার জন্য তোমা💎য়...' বিয়ের তিন বছর পার, কেক কেটে নীলের জন্য কী লিখলেন তৃণ♐া?
এই চরিত্রটা করতে রাজি হওয়ার তবে এটাই মূল কারণ ছিল?
অঙ্গনা: হ্যাঁ, একই সঙ্গে যাঁরা পথ কুকুরদের নিয়ে কাজ করেন তাঁরা কিন্তু আমাদের সমাজের আনসাং হিরো। তাঁদের শ্রদ্ধা জানালাম এই ছবির মাধ্যমে। তথাদা, শ্রীলেখাদ♔ি (শ্রীলেখা মিত্র) বহুদিন পথ কুকুরদের নিয়ে কাজ করছেন। আর কত এমন মানুষ আছেন তাঁদের মতোই, তাঁদের সবাইকে উৎসর্♛গ করলাম।
আপনি নিজে কখনও পারিয়াদের নিয়ে কাজ করেছেন?
অঙ্গনা: না। কিন্তু এই ছবিতে কাজ করার সময় আমার সাধ্যের মধ্যে যতটা পেরেছি যাঁরা পথ কুকুরদের নিয়ে কাজ করেন তাঁদের সাহায্⛄য করܫেছি। কিন্তু হ্যাঁ, এমনই কাজ না করলেও একবার আমাদের কমপ্লেক্সে কিছু কুকুর ঢুকে পড়েছিল, খুব চিৎকার করছিল। তখন আমাদের এক প্রতিবেশী কর্পোরেশনে ফোন করে দেয়। ওদের মারতে মারতে গাড়িতে তুলছিল। তখন আমি আর আমার মা গিয়ে ওদের বাঁচিয়েছিলাম।
আরও পড়ুন: 'গলায় মা সরস্বতীর বাস', শুভদীপের সরগম শুনে অভিভূত ইন্ডিয়ান আইডলের বিচারকরা, 🌠কী বললেন শ্রেয়া?
ট্রেলারে যেমন দেখানো হয়েছে বাস্তবে কি এতটা কেউ আদৌ করে?
অঙ্গনা: দেখো, একটা সিনেমাটিক লিবার্টি তো আছেই। অ্যাকশন হয়তো কেউ করেন না, বা করেন। কিন্তু এভাবে পথ কুকুরদের জন্য লড়াই অনেকেই করেন। এই ছবিতে কাজ করতে গিয়ে🥃ই সেটা দেখেছি।
এমন ছবি এর আগে বাংলায় হয়নি, কোথাও গিয়ে কি রিস্ক ছিল, বা ভয় লাগেছিল যে দর্শকদের কেমন লাগবে বা কিছু?
অঙ্গনা: বাংলায় এই ধরনের ছবি সত্যিই হয়নি। তবে রিস্ক লাগেনি। আমি মনে করি দর্শকদের সব ধরনের ছবি দেখানো উচিত, তাঁদের কাছে পৌঁছানো উচিত। সমৃদ্ধ করা উচিত। যেখানে এক ক্লিকে বিশ্ব সিনেমা হাতের মুঠোয় সেখানে সব ধরনের ছবি তাঁদের দেখানো উচিত। কিন্তু এই ছবিটা মোটেই আউট অব দ্য বক্স গল্পের ♊উপর ভিত্তি করে নয়। এই ছবিটা অনেককে সচেতন করবে। বার্তা দেওয়ার মতো ছবি পারিয়া। ঘটনাচক্রে আমিও এই ছবি অংশ, কিন্তু যদি কাজ নাও করতাম তবুও হলে এই সিনেমা দেখতে যেতাম আমি।