কদিন আগেই সামনে এসেছিল যে, কলকাতার রাস্তা থেকে ট্রাম উঠে যাচ্ছে। নিসন্দেহে এই খবর বুকে আঘাত হানে বাঙালির। তিলোত্তমার অন্যতম যে ঐতিহ্য, তা এভাবে শেষ হবে, মানতে পারছ💜ে না আমজনতা এখনও। ইতিমধ্যেই শহরের ঐতিহ্য ১৫১ বছরের ট্রামকে বাঁচাতে পথে নেমেছে সাধারণ মানুষ। তার মধ্যে পরিচালক অনীক দত্তের একটি পোস্ট ভাইরাল সোশ্যালে।
অনীক লিখলেন, ‘কলকাতার ঐতিহ্যবাদী ট্রাম শুরু করেছিল ঘোড়া! আর শেষ করল গাধারা।’ বম-ঘেঁষা এই পরিচালক সুযোগ পেলেই সরকারের সমালোচনা করার সুযোগ ছাড়েন না। ট্রাম নিয়ে তাই ছেড়ে কথা বলার সুযোগ কীভাবেই♉ বা ছাড়েন!
আরও পড়ুন: ‘আমার ১টা ছবি রিলিজে, ২০-২৫জন কাজ পায়’! উৎসবে ফিরুন, প্রতিবাদেও থাকুন, টেক্কা মুক্তিরཧ আগে বলছে দেব
বৃহস্পতিবার শ্যামবাজার ট্রাম ডিপোতে একটি বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল। ট্রাম বাঁচাতে ক্যালকাটা ট্রাম ইউজার্স এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে এবং আম জনতা মিলিয়ে ডাক দিয়েছিল সেই কর্মসূচীর। সেই জমায়েতে একাধিক পথচলতি মানুষ এসে যোগ দেন এবং বু𒁃ঝিয়ে দেন তাঁদের ক⛦াছে ট্রাম কতটা আবেগের।
আরও পড়ুন: ‘লালসা’ থেকে বিয়ে করেন সিদ্ধর্থকে! এরপর একসঙ্গে থাকা শুরু করতেই, সমস্যা💟 বাঁধে…
সম্প্রতি রাজ্য পরিবহণ দফতরের মন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, গতির সঙ্গে তাল রাখতে গিয়ে শহরে একটি মাত্র রুট ছাড়া আর কোথাও ট্রাম চালানো হবে না। কলকাতা হাইকোর্টে চলা জনস্বার্থ মামলায় রাজ্যে সরকার জানায় যে, মাত্র একটি রুটে অর෴্থাৎ এসপ্ল্যানেড থেকে ময়দান পর্যন্ত ট্রাম চালানো যেতে পারে। এছাড়া, বাকি রুটগুলিতে ট্রাম চালানো সম্ভব নয় । সবার ট্রামের প্রতি আবেগ থাকলেও রাস্তাকে যানজট মুক্ত করতেই শহরের বুকে আর ট্রাম চালানো যাবে না।
এদিকে তৃণমূের নেতা দেবাংশু আবার ট্রাম নিয়ে ফেসবুকে পরামর্শ দেন, 'যাদের নস্টালজিয়ার পথে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছে হবে তারা ধর্মতলা থেকে ময়দান রুটে গিয়ে চেপে আসতেই পারেন ট্রাম। এটা তোলা হচ্ছে না।' সঙ্গে আবার লেখেন, ‘দুর্ঘটনা এড়াতে, যানজট কমাতে এর আগেও বহুবার ছাঁটা হয়েছে ট্রামের রুট। আরও একবার ছাঁটা হল। ঠিক যেভাবে চলে গিয়েছে স্টিম ইঞ্জিন, ঘোড়ার গাড়ি, কিংবা কমে গিয়েছে দম দেওয়া ঘড🅷়ি, সেভাবেই ট্রামকেও একদিন যেতে হত; বাস্তবতার প্রয়োজনে। আপনি আমি যদি কথায় কথায় ওলা, উবের বুক না করে একটু ট্রামে চাপতাম, সরকারের খাতায় যদি যাত্রী সংখ্যার 'চাপ' নথিভুক্ত থাকত, আমার বিশ্বাস এত সহজে রুট গুলো ক🌳মে আসতো না।’