'খাদের ধারে রেলিংটা...' কিংবা 'টুং সোনাদা ঘুম পেরিয়ে...' অঞ্জন দত্তের দার্জিলিং গানটা শুনলেই যাঁরা কখনও এই শৈল শহরে যাননি তাঁরাও সেই শহ🐬রের প্রেমে পড়েন। তাঁর ছবি মনে মনে এঁকে নেন। এই বর্ষীয়ান গান তথা অভিনেতা পরিচালকের গানে, ছবিতে বারবার উঠে এসেছে দার্জিলিংয়ের কথা, রূপ। কিন্তু ইদানিংকালে হামেশাই শোন🧸া যায় দার্জিলিং ঘিঞ্জি হয়ে গিয়েছে। নোংরা হয়ে গিয়েছে। এবার অঞ্জন ডট তার বিরুদ্ধে মুখ খুললেন। যেন নতুন করে চেনালেন তাঁর পছন্দের এই শহরটিকে।
দার্জিলিং নিয়ে কী লিখলেন অঞ্জন?
অঞ্জন দ♕ত্ত এদিন ফেসবুকের পাতায় একাধিক ছবি পোস্ট করেন দার্জিলিংয়ের। সেটার সঙ্গে তিনি একটি লম্বা লেখাও লেখেন। এখানে গায়ক লেখেন, 'আজকাল অনেকেই বলে দার্জিলিং তার সৌন্দর্য হারিয়ে ফেলেছে, অনেক বাড়ি, হোটেল গড়ে উঠেছে। প্রচুর গাড়ির ভিড়, জ্যাম। শব্দ। লিস্টটা বেশ লম্বা। কিন্তু তবুও এখানকার স্থানীয়দের চিঙ্কি চোখগুলো, তাঁদের হাসিগুলো একই আছে। শৈলরানিও একই আছে।'
আরও পড়ুন: ‘এটাই আসไল দীপাবলি’, রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার আগে রজনীকান্তের সঙ্গে হনুমান মন্দিরে অনুপম খের
তিনি এদিন আরও লেখেন, 'আমার এ জীবনের এটা আমার স্বর্গ। এখানে প্রচুর স্মৃতি আছে, বন্ধুত্ব আছে, ভালোবাসা আছে। আমি অঞ্জন আমার জী♏বনকে এখান🔯কার এই সরু ভাঙাচোরা গলি, পুরনো রেস্তোরাঁ, ইত্যাদিকে উৎসর্গ করছি। আমার গান যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে একবার এখানে আসবেন। এখানকার স্কুলগুলোতে যাবেন।'
আরও পড়ুন: র🦩িলিজের চার দিন আগেই 🅰বিক্রি তিন কোটির অগ্রিম টিকিট, বক্স অফিসে ঝড় তুলতে আসছে হৃতিকের ফাইটার
অঞ্জন তাঁর পোস্টে স্পষ্ট করেই জানান দার্জিলিং এখনও অন্যান্য শৈল শহরের মতো ব্যয়বহুল হয়ে ওঠেনি꧙। এখনও এই শহরে এমন অনেক কিছু আছে যা এটাকে আলাদা করে। সেই স্মৃতি হাতড়ে তিনি বললেন, 'সূর্যের আলোয় ঝকমকে একটা দিনে কেভেন্টার্সে ব্রেকফাস্ট, গ্লেনারির ব্যালকনিতে সিগারেট আর কফি পেস্ট্রি বা বারে গিয়ে ব্লাড মেরি এখনও অনন্য। পুরনো দার্জিলিংকꦺে উপভোগ করুন। নাগা লাঞ্চ করুন রিভলভারে, লম্বা সিঁড়ি দিয়ে চলাফেরা করি, সেন্ট পল স্কুলে যান, স্থানীয় বন্ধু বানান। এখন কনকনে ঠান্ডা। যখন বৃষ্টি পড়বে তখন আসবেন।'
অনেকেই তাঁর পোস্টে মতামত জানিয়েছেন। এক ব্যক্তি লেখেন, 'অঞ্জনদা ,꧃ দার্জিলিংকে আপনার মতো আর কেউ বোধ করি এতোটা মিস করে না, দার্জিলিং যাবার ইচ্ছেটা আপনার জ্ঞান শুনে শুনেই মনের গভীরে গ্রথিত হয়ে গিয়েছিল। বাংলাদেশ থেকে অচিরেই যাবার সুযোগ হচ্ছে, ভিসা কার্যক্রম সম্পন্ন করেছি। আর কাকতালীয়ভাবে আজ ঘুমাতে যাবার আগে আপনার দার্জিলিং নিয়ে এ পোস্ট চোখে পড়ে গেল।' আরেকজন লেখেন, 'আপনার গানটা যখন শুনি দার্জিল🐓িং নিয়ে অদ্ভুত একটা অনুভূতি হয়, আপনি ভালো থাকুন স্যার।'