আরজি কর-কাণ্ডে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের প্রথম শুনানির পর কলম ধরলেন অঞ্জন দত্ত। সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ লম্বা একটি পোস্ট শেয়ার করে নিলেন তিনি। যেখানে লিখলেন, প্রতিবাদে সামিল হতে ভালোবাসেন, তাই হয়েছেন। মিছিলেও ছিলেন। তবে নির্যাতিতার বিচা🤡র পাওয়া নিয়ে এখনও খুব একটা আশাবাদী নন।
অঞ্জন লিখলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে হওয়া উত্তাল প্রতিবাদ মিছিল, কলকাতা,বাংলা শহরতলী, জেলা, অন্যান্য ভারতীয় রাজ্য, অন্যান্য দেশের অন্যান্য শহরে সম্পূর্ণ ন্যায়সঙ্গত। আমরা সবাই জানি এবং ক্ষমতায় থাকা রাজ্য সরকারের সম্পূর্ণ দায়িত্বহীনতা এবং অবহেলাকে উপেক্ষা করতে পারি না। ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা, যেভাবে গাধার মতো আরজি কর ইস্যু সামলানো হল। এটি বেশিরভাগের কাছে স্পষ্ট যে এখানে বিশাল ไদুর্নীতি জড়িত, যা অনেক উপর অবধি গিয়েছে।&🔯nbsp;
সুপ্রিম কোর্ট হস্পক্ষেপ করেছে। আমাদের সবাইকে অপেক্ষা করতে হবে এবং ন্যায়বিচারের আশা করতে হবে। তবুও🍨 ন্যায়ের জন্য হাহাকার ও জনসভা অব্যাহত থাকবে। এটা হতেই হবে কারণ সাধারণ মানবতা আবারও আহত হয়েছে। আমার একমাত্র বিরোধ হল যে যারা ‘রাতারাতি পরিবর্তন’ সম্পর্কে উচ্ছ্বসিত, তারা কেবল ভুল নয়, অনেককে বিভ্রান্ত করছে। পরিবর্তন যদি ঘটে, তবে কিছুটা সময় লাগবে। দায়িত্বজ্ঞানহীন প্রতিক্রিয়া কেবল বিভাজন আনবে।
আমি কখনোই সামাজিক কর্মী ছিলাম না বা নই। আমি কোনও রাজনৈতিক দলের মতাদর্শীও না। আমার মতো অনেকেই আছেন, যারা সাড়া দিয়েছেন এবং সমাবেশ করেছেন, প্রতিবাদ করেছেন।আমাদের তথাকথিত ‘নিরপেক্ষ’ কণ্ঠস্বরের নিজস্ব♊ মূল্য আছে, যা সময় বিচার করবে।
তাই আমাদের কণ্ঠস্বরকে অপমানিত বা অসম্মান করে, এমন স্বার্থের শিকার না হওয়ার চেষ্টা করুন। আম💟রা এমন ব্যক্তি যারা আমাদের নিজস্ব উপায়ে প্রতিবাদ করি। সময় এসেছে দুর্নীꦉতিবাজ ব্যবস্থা ও যে কোনও ধরনের ধর্মান্ধ শক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার।
যারা সবসময় এলোমেলো মন্তব্য করে, তারা আসলে সবচেয়ে ‘অরাজনৈতিক’। তারা মনে করেন তারা জনগণের আবেগের কথা বলছেন। মোটেও তা না! তারা আসলে মার্ক জুকারবার্গের তৈরি এই অদ্ভুত ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার শিকার। তাদের স্মৃতিশক্তি খ📖ুব কম।
আমি ব্যক্তিগতভাবে, স্বতঃস্ফূর্তভাবে হেঁটে, কণ্ঠস্বরে এবং নীরবে প্রতিবাদ করল🥃েও, এখনও খুব আশাবাদী নই। আমার ৭০ বছরের পুরানো অতীত আমাকে ‘সন্দীহান করে তোলে। সবকিছুতেই সন্দেহ। তবুও, আমি একজন মানুষ এবং এই সমাজে বাস করি এবং কেবল বৃদ্ধ বা নিষ্ঠুর হতে পারি না। আমি আরজি কর হাসপাতালে নির্যাতিতা এবং তার পরিবারের জন্য লজ্জায় মাথা নত করছি এবং আমার হৃদয় থেকে তাদের ন্যায়বিচার কামনা করছি।’