ঘড়ির কাঁটা পাঁচটার ঘর ছু🀅ঁয়ে ফেলা মানেই টিভির পর্দায় একটার পর একটা গল্পের ঝুলি খুলে যাওয়া। অনেক নিঃসঙ্গ মানুষের জীবনে এটাই যেন একমাত্র বিনোদন। বাংলা সিরিয়ালের প্রতি দর্শকদের ভালোবাসা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বদলাচ্ছে তাঁদের পছন্দ, রুচি, সেই অনুযায়ী পাল্টে যাচ্ছে, বদল হচ্ছে সিরিয়াল। আসছে নতুন নতুন ধারাবাহিক, চলছে প্লট টুইস্ট। আর বাংলা বিনোদনের অন্যতম এবং সেরা উপাদান, বাংলা সিরিয়ালগুলোর অন্যতম জনপ্রিয় সিরিয়াল হল স্টার জলসার ‘ধুলোকনাꦛ’।
এই গল্প মূলত লালন এবং ফুলঝুরিকে নি🥃য়ে শুরু হয়েছিল। কিন্তু কাহিনী বাঁক নিতে নিতে এখন অনেকটাই সরে গিয়েছে। মাঝে লালনের স্মৃতি নষ্ট হয়। তাঁকে যে ডাক্তার সারিয়ে তোলেন তাঁর মেয়ের সঙ্গেই লালনের 'লিপস্টিক বিবাহ' সম্পন্ন হয়। এরপর হঠাৎ তাঁর ফুলঝুরির কথা মনে পড়ে যায়। তখন? তখন সে আবার ফুলঝুরির কাছে ফিরে আসে। ওমা! পুরনো বউয়ের কাছে ফিরতেই তাঁর আবার 'লিপস্টিক' বউয়ের কথা মনে পড়ে যায়। তাঁর প্রেমে হাবুডুবু খেতে শুরু করেন লালন। তাঁর কাছেই ফিরতে চায়। এবং ফিরেও যান অবশেষে। আর এটা দেখেই রেগে আগুন দর্শকরা!
হবে নাই বা কেন! একবার ফুলঝুরি, একবার চড়ুই তো আবার কখনও তিতির। এত পরকীয়া দর্শকদের মোটেই পছন্দ হচ্ছিল না। আর সেই কারণেই লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের এই সিরিয়ালটিকে বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। লেখিকার 𝔉বিরুদ্ধে অনেকেই অভিযোগ করেন যে তিনি স্টার জলসার সমস্ত সিরিয়ালে পরকীয়া এবং একাধিক বিয়ে যেন দেখাবেন বলে মনস্থির করে নিয়েছেন। আর সেটা যে টিআরপি পাওয়ার জন্য একটা ফাঁদ, সেটা এখন সকলেই বুঝে গেছেন।
তবে আশার কথা এই যে, লালনের পরকীয়া দেখে যখন দর্শকরা ক্লান্ত তখন তাঁরা এবার ফুলঝুরির জন্য খুশি হলেন। লা♎লন আর ফুলঝুরির ইতিমধ্যেই♌ ডিভোর্স হয়ে গিয়েছে। লালন তিতিরের কাছে চলে গিয়েছে। এবার ফুলঝুরির জীবনে আসছে এক নতুন নায়ক।
দর্শকদের মতে ফুলঝুরি এতদিন অনেক লড়াই করেছে, অনেক অত্যাচার অপমান সহ্য করেছে এবার সেটা বদল হওয়া দরকার। তাঁরা চাইছিলেন যাতে ফুলঝুরির জীবনে কেউ আসুক। আর সেই অনুযায়ী এবার এই সিরিয়ালে♐ এল নতুন চরিত্র, অঙ্কুর। তবে একদম নতুন নয়, আগেও একবার তাঁকে দেখানো হয়েছিল, তাঁর সঙ্গেই এক সময় ফুলঝুরির বিয়ে ঠিক হয়েছিল। এই বিষয়ে স্টার জলসার তরফে একটি প্রোমো ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। আর সেখানেই দেখা যায় ফুলঝুরির কাছে এসেছে অঙ্কুর🦩। তারপর? সেটা তো সিরিয়াল দেখলেই বোঝা যাবে যে গল্প কোন দিকে এগোচ্ছে।