পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সমর্থকদের মিছিলকে ঘিরে উত্তপ্ত রাজধানী। পুলিশ ও ইমরান সা🐽মর্থকদের খণ্ডযুদ্ধে মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। এছাড়াও, আহত হয়েছেন শতাধিক। এই অবস্থায় জেল থেকেই সমর্থকদের উদ্দেশ্যে প্রতিবাদ চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান দিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর বার্তা পাকিস্তানের ন🌞াগরিকদের অধিকারের জন্য প্রতিবাদ চালিয়ে যেতে হবে। তিনি শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান। ফলে ইমরান সমর্থকদের বিক্ষোভ আরও জোরদার হতে পারে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
আরও পড়ুন: ভিডিয়ো: ইমরান খান♏ের ছবি দেখে চটলেন নিরাপত্তারক্ষী, ভক্তকে মাঠ ছাড়ার হুমকি দিলেন
এক্স হ্যান্ডেলে স𓆉মর্থকদের 🔯উদ্দেশ্যে ইমরান লেখেন, ‘আমার দলের প্রতি আমার বার্তা শেষ পর্যন্ত লড়াই করতে হবে। আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা পিছপা হব না।’ তিনি পাঞ্জাবের তত্ত্বাবধায়ক মুখ্যমন্ত্রী মহসিন নকভিকে তাঁর সমর্থকদের উপর হামলার নির্দেশ দেওয়ার জন্য অভিযুক্ত করেছেন। তিনি লেখেন, ‘মহসিন নকভির নির্দেশে রেঞ্জার্স এবং পুলিশ আমাদের কর্মীদের ওপর গুলি চালিয়েছে এবং শান্তিপ্রিয় নাগরিকদের শহীদ ও আহত করেছেন। তার জন্য তাঁকে জবাবদিহি করতে হবে। নাগরিকরা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভই করেননি, আহত পুলিশ ও রেঞ্জারদেরও উদ্ধার করেছিল।’ ইমরান তাঁর বিরুদ্ধে সামরিক বিচারের হুমকিও দেন। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘যারা সামরিক আদালতে বিচারের হুমকি দিচ্ছে তাদের জন্য আমার একটি বার্তা রয়েছে, যা করতে হবে তা করুন। আমি আমার অবস্থান থেকে পিছপা হব না।’
তিনি প্রবাসী পাকিস্তানি এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এদিন বিক্ষোভকারীদের শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান ইমরান।তিনি ইসলামাবাদের ডি-চকে জড়ো হওয়ার জন্য নাগরিকদের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেন, যারা এখনও পর্যন্ত পৌঁছয়নি তাদেরও ডি চক পৌঁছনো উচিত। সমস্ত প্রতিবাদী পাকিস্তানি নাগরিকদের তিনি শান্তি🌱পূর্ণ, ঐক্যবদ্ধ এবং দাবি 🔜পূরণ না হওয়া পর্যন্ত দৃঢ়ভাবে অবস্থান চালিয়ে যাওয়ার বার্তা দেন। তাঁর কথায়, এটি পাকিস্তানের বেঁচে থাকার এবং প্রকৃত স্বাধীনতার সংগ্রাম।
উল্লেখ্য, রবিবার ইমরানের স্ত্রী বুশরা বিবির নেতৃত🔜্বে রাজধানীর উদ্দেশ্যে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর কর্মী ও সমর্থকেরা। সোমবার সন্ধ্যায় মিছিল পৌঁছয় ইসলামাবাদে। বিক্ষোভক🐠ারীরা আরও এগোনোর সিদ্ধান্ত নিলে নামানো হয় সেনাবাহিনী। তাতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।