বাংলা টেলিভিশনের আদর্শ মা তিনি। কখনও জন্মদাত্রী হিসাবে কখনও আবার পালিতা মা হিসাবে নজর কেড়েছেন অপরাজিতা আঢ্য। সাম্প্রতিক সময়ে ‘চিনি’, ‘একান্নবর্তী’র মতো ছবিতেও মায়ের ভূমিকায় মন ছুঁয়েছেন অভিনেত্রী। বর্তমানে ‘জল থই থই ভালোবাসা’য় কোজোগরীর চরিত্রে অপরাজিতা আঢ্য। তিন সন্তানকে নিয়ে ভরা সংসার তাঁর। আরও পড꧃়ুন-জোড়া মনোয়ন দেবের,সেরা নবাগতার দৌড়ে সৌমিতৃষা, হাড্ডাহাড্ডি লড়াই অরিজিৎ-অনুপমের
কিন𝓀্তু বাস্তব জীবনে নিজের সন্তানের মুখে ‘মা’ ডাক শোনার সুযোগ হয়নি টেলিপাড়ার এই সফল মায়ের। স্বামী অতনু হাজরার সঙ্গে সুখী দাম্পত্য অপরাজিতার। ২৬ বছরের বিবাহিত জীবন তাঁদের। বউমা হিসাবেও অপরাজিতাকে দশে দশ দেন তাঁর শাশুড়িমা। তবে সন্তানসুখ থেকে বঞ্চিত রয়ে গিয়েছেন এই দম্পতি।
সন্তানের অভাব কতটা কষ্ট দেয় তাঁকে? মাতৃত্ব নিয়ে প্রথমবার মুখ খুললেন অভিনেত্রী। টিভি নাইন বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অপরাজিতা আঢ্য জানান, তাঁর বিশ্বাস সকলকে বায়োলজিক্যাল মা হতে হবে এমনটা নয়। তাঁর কাছে মাতৃত্ব অনেক বড় জিনিস। সন্তানের জন্ম দিলেই মা হওয়🃏া যায় না। অভিনেত্রী বললেন, ‘আমি মনে করি বাবারাও অনেক ভাল ‘মা’ হতে পারেন। আমারও তো মেয়ে আছে। সে আমাকে ‘মা’ বলে ডাকে। কেবল সে নয়, অনে🔯কেই আমাকে ‘মা’ বলে ডাকে। তাই জীবনে কোনও ঘাটতি নেই। যাঁদের আমি সন্তানসম স্নেহ করি, প্রত্যেকে আমাকে ‘মা’ বলেই ডাকে। সুতরাং, ‘মা’ ডাকের অভাব আমার কাছে নেই।’
অপরাজিতার কাছের মানুষরা জানেন, অভিনেত্রীর এই ‘মেয়ে’র কথা। অপরাজিতার মেয়ের নাম গার্গী। পেশায় ব্যাঙ্কার সে। অভিনেত্রীকে মা এবং তাঁর স্বামী অতনু হাজরাকে বাবা বলে থাকে সে। অভিনেত্রী বললেন, ‘আজ যদি আমার বায়োলজিক্যাল সন্তানও থাকত, তা হলেও সে কোনওদিন বোধহয় গার্গী হয়ে উঠতে পারত না। আমꩲার স্বামী মাঝে ১০ দিন হাসপাতালে ছিলেন, গার্গী কিন্তু টানা হাসপাতালে ছিল।’
অপরাজিতার বাপের বাড়ির পাড়ায় বাড়ি গার্গীর। তাঁর পরিবারের বাবা-মা, সকলেই রয়েছেন তবুও অপরাজিতা তাঁর যশোদা ❀মা। মা সিরিয়ালের ঝিলিক অর্থাৎ অভিনেত্রী শ্রীতমা ভট্টাচার্য অপারিজতা আঢ্যকে ‘অপামা’ বলে ডাকেন। অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা ভট্টাচার্যও অপরাজিতাকে মা বলেই ডাকেন।&nb💟sp;
মাতৃত্ব বলতে কী বোঝেন অপরাজিতা? তাঁর চোখে মাতৃত্ব হল একটা ইন্সটিংক্ট। তাঁর পালটা প্রশ্ন, ‘অনেক মেয়েদেরই বায়োলজিক্যাল সমস্যা থাকতে পারে। কিন্তু তাই বল🍌ে কি তিনি মা নন?’