পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় এবং সৌমি💎ত্র চট্টোপাধ্যায় একসঙ্গে একাধিক ছবিতে কাজ করেছেন। কিংবদন্তি অভিনেতার জীবনী অবলম্বনে পরমব্রত বানিয়েছেন অভিযান ছবিটিও। কিন্তু 'ফেলুদা'র সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এদিন তিনি জানালেন প্রয়াত অভিনেতা নাকি তাঁর দেখা অন্যতম 'জটিল মানুষ'। কিন্তু কেন এমন বললেন পরম? কী জানালেন?
আরও পড়ুন: হারানো সময়ের পারিবারিক গল্পে বিক্রমের মুখোমুখি দেবলীনা, ✱পরিচালনায় ত⛄থাগত
আরও পড়ুন: রণবী꧂র বা টাইগার নন, বড় পর্দার শক্তিমান হচ্ছেন বিটাউনের এই হ্যান্ডসাম হাঙ্ক?
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে কী জানালেন পরমব্রত?
সোল কানেকশনকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় সম্প্রতি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় প্রসঙ্গে কথা বলত🐲ে গিয়ে জানান, ' সৌম𝓰িত্র চট্টোপাধ্যায় আমার দেখা জটিলতম মানুষগুলোর একজন। আমার এই ৪৩ বছরের জীবনে আমার দেখা জটিলতম মানুষের একজন। একটাই মানুষের মধ্যে যে ডক্টর জেকিল এবং মিস্টার হাইড থাকতে পারে যে এটা আমার অনেক মানুষের মধ্যে দিয়ে টের পাই জীবনে। একটা মানুষের মধ্যে কতগুলো মানুষ বাস করতে পারে সেটার একটা উৎকৃষ্ট উদাহরণ ছিলেন সৌমিত্র জেঠু।'
পরম এদিন আরও বলেন, 'যেদিন সৌমিত্র জেঠু মারা যান আমি তখন সুদূর হিমাচলে বসে ছিলাম। একটা শ্যুট ছিল আমার। অনেকেই আমায় তখন ফোন করে জানতে চান আমার মন খারাপ কিনা। অনেককেই সেই সময় বলতে শুনেছিলাম সৌমিত্র জেঠু তাঁদের মেন্টর ছিলেন, অনেক কিছু শিখেছিলেন তাঁর থেকে। আমি ওঁর থেকে কিচ্ছু শিখিনি। উনি আমার গুরু, মেন্টর, শিক্ষক ছিলেন না। উনি আমার বিষযꦿ় ছিলেন। সাব্জেক্ট ছিলেন। আমার মন খারাপ হয়েছিল, আমি একা কাটিয়েছিলাম গোটা দিন। কিন্তু সেই মন খারাপের কারণ একটাই ছিল যে এই লোকগুলো মানুষ নামক যে অস্তিত্ব আছে, সেটাকে পারসোনিফাই করে। মানুষ যে খুব জটিল, আনপ্রেডিক্টেবল একটা জীব সেটা পৃথিবীর সামনে প্রতিষ্ঠা করে এই ধরনের চরিত্রগুলো, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মতো মানুষরা। মানুষ যে ভীষণ ভাবে আনপ্রেডিক্টেবল, অনিশ্চিত, ইনকনসিস্টেন্ট জীব সেটা বোঝায়। ওঁর গুণাবলীর কথায় আমি যাচ্ছি না, সেটা আমার বলার অপেক্ষা রাখে না। আমি বলছি, আমি ওঁকে যেভাবে দেখেছি। আমি আমার ছবিতেও সেটা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি সীমিত পরিসরে।'
আরও পড়ুন: 🍨বিয়ের মাস ঘুরতে না ঘুরত🍰েই সুখবর দিলেন রূপসা - সায়নদীপ! কবে আসছে সন্তান?
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, তাঁকে নিয়ে তৈরি করা ছবি প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় জানান, 'প্রচণ্ড অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে ভোগা, ডুয়ালিটিতে ভোগা, দ্বন্দ্বে ভোগা একজন মানুষকে আমার ছবিতে ধরতে চেয়েছিলাম যিনি একাধারে একজন ভীষণ সাধারণ মানুষ। যাঁর দোষ, গুণ, গ্লানি আছে। আরেকদ𝔉িকে অসামান্য শিল্পী, খালি অভিনেতা নন। অসম্ভব একজন সংবেদনশীল মানুষ ছিলেন।'