একসময় দেবের সঙ্গে শিশু অভিনেতা হিসেবে কাজ করেছেন, এখন দেবের দিকেই কটাক্ষ ভরা বার্তা ছুঁড়ে দিলেন অরিত্র দত্ত বণিক। সেই দেবকেই কি না কটাক্ষ করে বসলে! আসলে ‘প্রজাপতি’র নন্দনে জায়য়া না পাওয়া নিয়ে একটা পোস্ট করেছিলেন দেব। তা নিয়েই আপাতত উত্তাল রাজ্যরাজনীতি। আর সেই প্রসঙ্গেই তৃমণূলের সাংসদকে ঠুঁকলেন অরিত্র। দেব-মিঠুনকে লক্ষ্য ক💛রে সোজাসুজি লিখলেন, ‘রাজনীতির চাকরি ছেড়ে সিনেমায় ফিরুন’।
‘পরাণ যায় জ্বলিয়া রে’, ‘চ্যালেঞ্জ’, ‘লে ছক্কা’, ‘খোকাবাবু’র মতো সিনেমায় দেবের পাশে দেখা গিয়েছিল ছোট্ট অরিত্রকে। দেবের জন্মদিনে তাঁ🅠কে শুভেচ্ছা জানিয়ে পোস্টও করেছিলেন। লিখেছিলেন, ‘আমার সবচেয়ে পছন্দের বড়ে মিঞাঁ তোমায় জন্মদিনের অনেক শ🧸ুভেচ্ছা।’
অরিত্র বুধবার নিজের ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘কুণাল ঘোষ বা মমতা বন্দোপাধ্যায় কেন কোন রাজনীতিবিদের বুকের পাটা হতো না সিনেমা বা অভিনেতাদের নিয়ে ফালতু কথা বলার, যদি না বাংলার সিনেমার অভিনেতা অভিনেত্রীরা নিজেদের ‘অল্টারনেট জব সিকুরিটি’ খুঁজতে বোকার মতো রাজনীতির পেশায় এসে নিজের ফ্যানদের কাছে শ্রদ্ধার জায়গাটা নষ্ট না করতেন। আমরা শিল্পীরা নিজেদের দোষে এই অপমানের সুযোগ করে দিয়েছি তাই রাজনৈতিক দলগুলি নিজের ভোটের আবেগ বিক্রি করতে গিয়ে সিনেমার ইমোশনকে বিক্রি করছে।’ আরও পড়ুন: ‘প্রজাপতি ডুবেছ𒁏ে মিঠুনদার জন্য’ বিস্ফোরক কুণাল, ছবি নিয়ে তরজা তুঙ্গে
নিজের কথার সঙ্গে তিনি আরও জুড়ে দেন, ‘এখনো সময় আছে যদি নিজের ক্রাফটের ওপর আর অডিয়েন্🌠সের ওপর কনফিডেন𓆏্স থাকে এই মুহূর্তে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলিকে নিজেদের মেরুদণ্ড বুঝিয়ে দিয়ে রাজনীতির চাকরি ছেড়ে দিয়ে আবার সিনেমার স্ক্রিনে ফিরুন। প্রত্যেক পেশার নিজস্ব মডেল আছে রাজনীতির মার্কেটের সাথে সিনেমা বা মিডিয়ার মার্কেট কোনোদিন মিলবে না যতবার জোর করে মেলাবেন ততবার এই দুর্দিন আসবে। সবাই তার স্পেশালাইজড পেশায় ফিরে যান।’
‘প্রজাপতি’ নন্দনে কোনও শো🅘 পায়নি সেকথা দেবই টুইট করে জানিয়েছিলেন। আর তাতে অভিমানের সুর ছিল স্পষ্ট। অনেকেই দুইয়ে দুইয়ে চার করেন যে দেবের ছবিতে বিজেপির মিঠুনের থাকাতেই এরকম সিদ্ধান্ত। এর জন্য তৃণমূলকে নিশানা করেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তারপর আবার মুখ খোলেন কুণাল ঘোষ। বলে বসেন, ‘দেব ভালো ছেলে। তবে মিঠুনদার জন্য ছবি ডুবেছে। দেব আগামী দিনে মিঠুনদাকে নিয়ে কোনও ছবি করলে সেক্ষেত্রে যা তাঁকে যেন ডিস্কো ড্যান্সার জাতীয় চরিত্র দেন। কোনও সংবেদনশীল চরিত্র নয়। ছবিকে টানার জন্য বিজেপি বিতর্ক তৈরি করছে। তবে মিঠুন চক্রবর্তীকে নিয়ে সিনেমা করার সিদ্ধান্ত মানেই আত্মঘাতী হওয়া।’