খুব ছোট বয়সেই বাবা-মা'য়ের ডিভোর্স। কেরিয়ার শুরুর আগেই ক্যানসারে মা-কে হারানো- জীবনে বহু চড়াই-উতরাইয়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন অর্জুন কাপুর। আর এই জার্নিতে তাঁর সবচেয়ে বড় সাপোর্ট হিসাবে হামেশা তাঁর হাত শক্ত করে ধরে রেখেছেন অংশুলা কাপুর। ছোট বোন জীবনে অনেক আত্মত্যাগ করেছেন অর্জুনের জন্য, এমনই আবেগঘন স্বীকারোক্তি ‘ইকশজাদে’ তারকার। সম্প্রতি এক সাক্ষাত্কারে এমনটাই জানিয়েছেন অর্জুন। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, এমন একজনের নাম বলতে যে তাঁর স্বপ্নকে নিজের করে নিয়েছে। কোনওরকম সময় নষ্ট না করেই ‘সর্দার কা গ্র্যান্ডসন’ তারকা বোন অংশুলার নাম নেন। বাড়ির দেখাশোনা থেকে কাজে ব্যস্ত অর্জুনের খেয়াল রাখা- সবটাই করে থাকেন অংশুলা। রেডিও জকি সিদ্ধার্থ কানানকে অর্জুন বলেন, ‘আমার বোন, অশুলা অনেককিছু ত্যাগ করেছে। অনেক সময়েই অজান্তেই হয়ত তেমনটা করেছে, ও আমেরিকায় পড়াশোনা করেছে তারপর ভারতে চলে এসেছে যাতে আমাকে একা না থাকতে হয়। আমার জীবনটা ও সাজিয়ে দিয়েছে। আমার জীবনটাই যেন ওর নিজের। গোটা বাড়ির দেখভাল ও নিজে করে, যাতে আমি কোনওরকম চিন্তা ছাড়া কাজ করতে পারি।বাবা-মা’কে ছাড়া থাকা সহজ নয়। সেক্ষেত্রে একজন সন্তানকে একটু বেশি দায়িত্বশীল হতে হয়, যাতে অন্যজন জীবনটা মনখুলে বাঁচতে পারে, দায়িত্বজ্ঞানহীন থেকেও দুনিয়া জয়ের স্বপ্ন দেখতে পারে। কারণ অভিনয় মানেই তো সেটা। এক এক সময় এক একটা জায়গায় থাকে, তাই ও সত্যি অনেক আত্মত্যাগ করেছে'। অর্জুন জানান, মায়ের মৃত্যুর পর তিনি বাড়িতে আটকে থাকতে চাননি। কারণ মায়ের না-থাকার যন্ত্রণাকে বাড়ি বসে সহ্য করা তাঁর পক্ষে সম্ভবপর ছিল না। সেইসময় ছয়টা ছবি স্বাক্ষর করেছিলেন তিনি।অর্জুন আরও বলেন, সম্প্রতি রণবীর কাপুরের সঙ্গে তাঁর কথা হচ্ছিল এবং তখন তাঁরা দুজনেই খেয়াল করেন তাঁদের ছবির সংখ্যা ১৬টি। যেখানে রণবীর ইন্ডাস্ট্রিতে অর্জুনের চেয়ে পাঁচ বছরের সিনিয়ার। ২০০৭ সালে সাওয়ারিয়ার সঙ্গে রণবীরের কেরিয়ার শুরু, অন্যদিকে ২০১২ সালে রিলিজ করে অর্জুনের প্রথম ছবি ইশকজাদে। প্রযোজক বনি কাপুর এবং তাঁর প্রথম পক্ষের স্ত্রী মোনা কাপুরের দুই সন্তান অর্জুন-অংশুলা। ১৯৯৬ সালে মোনাকে ডিভোর্স দিয়ে শ্রীদেবী বিয়ে করেন বনি। এরপর দুই সন্তানের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ ছিল না তাঁর। ইশকজাদে মুক্তির মাস কয়েক আগে মৃত্যু হয় মোনা সিংয়ের। ছেলের অভিনয় সফরের শুরুটাও দেখে যেতে পারেননি মোনা।এখন অবশ্য বাবার সঙ্গে অর্জুনের সম্পর্ক অনেকটা স্বাভাবিক। শ্রীদেবীর মৃত্যুর পর সত্ বোন জাহ্নবী ও খুশিকেও বড় দাদার মতোই আগলে রেখেছেন অর্জুন।