প্রেম, বিয়ে, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক, বিয়ে ভাঙা, এইসব শব্দগুলিই সবসময়ের জন্যই প্রাসঙ্গিক, চিরকালই এসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক, বিয়ে ভাঙার জন্য মহিলারা তৃতীয় ব্যক্তি, অর্থাৎ মহিলাটির দিকেই আঙুল তোলেন। তবে সত্যিই কি এজন্য বাইরের ওই মহ𝔍িলাটিই 💝আপনার সংসার ভাঙার জন্য একমাত্র দায়ী? সম্প্রতি এই প্রশ্নই তুললেন অভিনেত্রী অরুণা ইরানি।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অরুণা ইরানি বলেন, ‘খেয়াল করে দেখবেন, এক্ষেত্রে স্ত্রীরা সবসময়ই অন্য মহিলাকে দোষ দেন। কিন্তু ভাবুন, আপনাকে ভালো দায়িত্ব কিন্তু ওই মহিলা নেননি। আপনার স্বামী নিয়েছিলেন, তাঁকে গিয়ে জিগ্গেস করুন, তিনি কেন এটা করলেন? আমারও হেমা মালিনীর মতোই⛦ কখনও কারোর ঘর ভাঙার ইচ্ছে ছিল না। মেহমুদ আলীর সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে অরুণা বলেন, তাঁরা বন্ধুত্বের থেকেই বেশিকিছু ছিলেন, তবে তিনি ঘর ভাঙতে চাননি, কারণ মেহমুদ বিবাহিত ছিলেন। অরুণা বলেন, হেমা মালিনীকে দেখুন, তিনি ধর্মেন্দ্রকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন ঠিকই, তবে সংসার ভাঙতে চাননি। বিয়ের কোনও নিরাপত্তা নেই, তো ভালোবাসায় নিরাপত্তা আছে। বিয়ে শুধুই একটা কাগজ, যাতে আপনি জোর দিয়ে বলতে পারেন, হ্♛যাঁ, উনি আমার স্বামী, উনি আমার স্ত্রী৷ অন্যথায় এর কোনো মূল্য নেই। যেখানে প্রেম শেষ সেখানে বিয়েও শেষ'।
অভিনেতা-রাজনীতিবিদ হেমা মালিনী ধর্মেন্দ্রর দ্বিতীয় স্ত্রী। ধর্মেন্দ্র, হে📖মার সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়ার বহু আগে থেকেই তিনি প্রকাশ কৌরের দাম্পত্য সঙ্গী ছ🌳িলেন, তাঁদের ৪ সন্তানও ছিল। তাই সেসময় ধর্ম বদলে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে বিয়ে করেছিলেন ধর্মেন্দ্র ও হেমা মালিনী।
হেমা মালিনীর মতো বিবাহিত পুরুষকে বিয়ে করেছিলেন অরুণা ইরানি নিজেও। তাঁর কথায়, ‘দেখুন একজন মহিলার পক্ষে একজন বিবাহিত পুরুষকে বিয়ে করা সহজ নয়। উ🥀দাহরণ দিয়ে বলি, যদি মাঝরাতে আমার সন্তানের কিছু ঘটে, আমি আমার স্বামীকে ফোন করতে পারি না। তাই আমি কখনো সন্তান চাইনি। আমি জানতাম যে আমি আমার সন্তানকে এই কষ্ট ♊কখনই দিতে চাই না।’
প্রসঙ্গ পরিচালক কুকু কোহলিকে বিয়ে করেন অরুণা ইরানি। গত বছর এক সাক্ষাৎকারে অরুণা বলেছিলেন, কুকুর সঙ্গে প্রথম দেখা করার সময় তিনি জানতেন না যে কুকু ই🐬তিমধ্যে বিবাহিত এবং ওঁর সন্তানও আছে। প্রসঙ্গত, ক🦂ুকু কোহলিকে ১৯৯০ সালে অরুণা ইরানি যখন বিয়ে করেন, তখন তাঁর বয়স ৪০। অরুণা জানিয়েছিল কুকু কোহলি পরিচালিত একটি ছবিতে কাজ করার সময় তাঁদের আলাপ। অরুণার কথায়, ‘কুকু সমস্ত অভিনেতাদের অপেক্ষা করতে বলতেন, যতক্ষণ না ধর্মেন্দ্রজি আসতেন, আমি ভীষণ বিরক্ত হতাম, এই লভ-হেট দিয়েই সম্পর্কের শুরু।’