অভিন্ন হৃদয় বন্ধু আরিয়ান খান ও আরবাজ মার্চেন্ট। মাদক মামলায় আর🀅িয়ান খানের পাশাপাশি এনসিবির জালে আরবাজও, তাঁর কাছ থেকেই উদ্ধার হয়েছে ৬ গ্রাম চরস। এই মুহূর্তে মাদক মামলায় অভিযুক্ত আরবাজও আর্থার রোড জেলে বন্দি। তবে একসঙ্গে নয়, জেলের দুই আলাদা ব্যারাকে রাখা হয়েছে আরবাজ ও আরিয়ানকে। ছেলের দুর্দশা থেকে প্রতি মূুহূর্তে শিউরে উঠছেন আরবাজ মার্চেন্টের বাবা আসলাম মার্চেন্ট। যিনি নিজে পেশায় একজন আইনজীবী।
আসলামের কথায়, জেলের মধ্যে অ্যানসাইটি অ্যাটাকের শিকার হয়েছেন আরবাজ, এমনকি প্রায় নার্ভাস ব্রেক-ডাউন হয়ে গিয়েছিল ছেলের। মাদক মামলায় এভাবে ফেঁসে যাবেন তিনি তা দুঃস্বপ্নেও ভাবেননি আরবাজ। সম্প্রতি জেলে ছেলের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন মার্চেন্ট দম্পতি। জেলের জীবনযাপন সম্পর্কে ঠিক কী জানিয়েছে🧸 আরবাজ, সেই কথাই এক সাক্ষাত♒্কারে ভাগ করে নিয়েছেন তাঁর বাবা।
আসলাম মার্চেন্ট এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানান, জেলের 🌳আলাদা ব্যারাকে রাখা হয়েছে আরবাজ ও আরিয়ানকে। ৬-৭ জন অপর আসামীর সঙ্গে রয়েছে সে। আসলাম মার্চেন্ট জানান, ‘আরবাজ আমাকে বলল থেকে থেকে ওর অ্যানসাইটি অ্যাটাক হচ্ছে, রাতে এক মুহূর্তের জন্যও ঘুম হচ্ছে না। আমার ছেলে একদম একা ওখানে। দুজন বন্ধুকেও আলাদা করে দেওয়া হয়েছে। আর পাঁচজন অভিযুক্তের মতোই জেলের খাবার খেয়েই দিন কাটছে আরবাজের। শুনানির ফাঁকে যখনই অল্প-বিস্তর কথা হয়েছে আরবাজ শুধু জানতে চাইছে মামলা কতদূর কী এগোল, ও কবে জামিন পাচ্ছে'।
আরিয়ানের পাশাপাশি আরবাজ মার্চেন্টেরও জামিনের আর্জি খারিজ করেছে সেশন কোর্ট। এই মুহূর্তে বম্বে হাইকোর্টের দিকেই তাকিয়ে অ🅺ভিযুক্তর পরিবার। আসলাম মার্চেন্ট বলেন, ‘আরবাজ-আরিয়ান দুজনেই খুব হতভম্ব যে এই মামলার জল এতদূর পর্যন্ত গড়িয়েছে। দুজনে খুব ভেঙে পড়েছে। ছেলেরা আশা করছে এই বিষয়টা দ্রুত সমাধান হবে, আর ওরা জামিন পাবে। ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, আরিয়ানে তবুও আশা রয়েছে, ওর শাহরুখ খানের মতো ক্ষমতাশালী বাবা রয়েছে। কিন্তু আরবাজের ক্ষেত্রে সেটা খাটবে না। আমরা সাধারণ মানুষ, আমাদের কোনও কানেকশন নেই। আমার মনে হয় আরবাজ হতভাগ্য, ভুল সময়ে ভুল জায়গায় ছিল ও। হয়ত এটা ওর ভাগ্যে লেখা ছিল। কিন্তু যেভাবে কঠিন সময়ে আরবাজ ওর বন্ধুর সঙ্গ দিয়েছে তাতে আমি খুশি। আরবাজ কিন্তু বেইমান বন্ধু নয়… আমি বলব ও ইয়ারো কা ইয়ার’।