লতা মঙ্গেশকরের মৃত্যুর পর বলিউডে একপ্রকার তিনিই একমাত্র কিংবদন্তি পুরনো সেই স্বর্ণযুগের গায়িকা। আর ইনি আর কেউ নন, আশা ভোসলে। সম্প্রতি, মুম্বইয়ে বলিউড ‘ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির উত্তরাধিকার’ নিয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছি🐻লেন আশা ভোসলে। সেখানেই তিনি তাঁর নিজের ‘সঙ্গীত’ কেরিয়ার এবং বলিউডে প্লেব্যাক সিঙ্গার হিসাবে নিজের যাত্রাপথ নিয়ে কথা বলছেন। আশার কথায়, বর্তমানে যে গায়ক-গায়িকা শিল্পীদের দেখা যাচ্ছে, তাঁদের বেশিরভাগকেই জন্ম নিতে (শিল্পী হিসাবে) তিনি দেখেছেন। বিনোদন দুনিয়ার খবর তিনি রাখেন।
মঙ্গলবার মুম্বইয়ের এক পাঁচতারা হোটেলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন আশা। জা🅠নান, শীঘ্রই তাঁর দুবাইতেও একটি লাইভ কনসার্ট রয়েছে। যে অনুষ্ঠানের নাম 'Asha 90 ⛦Live Concert'। সেখানে প্রায় ২-৩ ঘণ্টা টানা কনসার্ট করবেন ৯০ ছুঁই ছুঁই আশা।
এদিকে এদিনের অনুষ্ঠানে তাঁর জীবনে, কেরিয়ারে ঘটে যাওয়া নানান ঘটনার কথা বলেন আশা ভোসলে। বলেন, ‘আমি ১৯৪৫ সালে মুম্বইয়ে আসার পর থেকে হিন্দি গান গাইতে শুরু করেছিলাম। আজ এই অনুষ্ঠানে যে সমস্ত শিল্পী এবং সঙ্গীতশিল্পীরা রয়েছেন,ཧ তাঁদের তো আমি চোখের সামন🌳েই জন্মগ্রহণ করতে দেখেছি।’ আশার কথায়, ‘আমি এখনও ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সেই পুরনো সময়ের পুরনো সব গল্প, চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং সঙ্গীত পরিচালকদের কথা মনে রেখেছি। আমি তাঁদের সকলকে জানতাম। আজ, আপনি যদি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির ইতিহাস জানতে চান তবে শুধুমাত্র আমিই আপনাকে এটা বলতে পারি। এত গল্প জানি যে, আজ সেই সব গল্প বলতে শুরু করলে শেষ হতে ৩-৪ দিন লেগে যাবে। আমিই এই ইন্ডাস্ট্রির শেষ মুঘল।’ এদিন সকলকে 'ইয়ে বাদা রাহা' গানটি গেয়ে শোনান আশা ভোঁসলে।
প্রসঙ্গত আশা ভোঁসলে হলেন, সম্পর্কে লতা মঙ্গেশকরের ছোট বোন। আশা-লত♊া দুজনেই একসময় বলিউডে প্লেব্যাক সিঙ্গার হিসাবে রাজত্ব করেছেন। আর সেটাও প্রায় কয়েক দশক। ৮ দশকেরও বেশি সময়ব্যাপী তার কর্মজীবনে, তিনি শুধু হিন্দিতে নয়, অন্যান্য ২০টি ভারতীয় ভাষার পাশাপাশি কিছু বিদেশী🔯 ভাষাতেও গান রেকর্ড করেছেন।
আশা ভোসলে দুটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, ১৮টি মহারাষ্ট্র রাজ্য চলচ্চিত্র পুরস্কারের পেয়েছে এবং ২০০০ সালে তিনি ‘দাদাসাহেব ফ♔ালকে পুরস্কার’এ ভূষিত হন।