বাঘা যতীনের বাবা তাঁর পাঁচ বছর বয়সে মারা যান। অল্প বয়সে বাবাকে হারিয়ে মা আর দিদির সঙ্গে তিনি এস꧃ে ওঠেন তাঁর মামাবাড়িতে। কৃষ্ণনগরের একটি স্কুল, অ্যাংলো ভার্নাকুলার স্কুলে ভর্তি হন তিনি। সেখান থেকেই পাশ করেন প্রবেশিকা পরীক্ষায়। তবে তাঁর জীবনের একটা সময় কেটেছে যে বাড়িতে, যে বাড়ির সঙ্গে জড়িয়ে আছে বহু ইতিহাস তার কিন্তু꧅ এখন ভগ্নপ্রায় দশা।
বাঘা যতীন ওরফে যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় এখন অন্যতম চর্চার টপিক, নেপথ্যে দেব অভিনীত ছবি। এই বীর বিপ্লবীর নামের সঙ্গে সকলেই আমরা পরিচিত। দেশের জন্য তিনি কী কী করেছেন সেটা সকলেই জানেন। খালি হাতে বাঘের সঙ্গে লড়াই করার জন্য তিনি বাঘা যতী꧑ন নাম পান। তাঁর ব্যক্তিগত জীবন থেকে বুড়িবালামের যুদ্ধ সহ সবটাই এবার রুপোলি পর্দায় উঠে এসেছে দেবের হাত ধরে। একদিকে যখন বীর বিপ্লবীকে নিয়ে এত চর্চা তখন সেখানে তাঁর স্মৃতি বিজড়িত বাড়িটির কিন্তু ভগ্নপ্রায় দশা।
বাঘা যতীনের মামাবাড়িতে এখন আর কেউ থাকেন না। কৃষ্ণনগর ছেড়ে অন্যত্র চলে গিয়েছেন তাঁরা বহুদিন আগেই। ফলে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে বাড়িও। বাঘা যতীনের মামাতো ভাইয়ের ছেলে সুজিত চট্টোপাধ্যায় আনন্দবাজারকে জানান, 'আমরা সকলেই বাইরে থাকি রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বাড়িটার ভগ্নপ্রায় দশা হয়েছিল তখন বাধ্য হয়েই বিক্রি করে দিই।' এই জমির একাংশ কেনেন তা✱ঁদের এক ভাড়াটে। বাকিটা ২০০৭ সালে কিনে নেয় অমৃতেন্দু মুখোপাধ্যায় ট্রাস্ট। এখন সেখানে সিপিআইএমের অফিস। এই বাড়ির সামনের দিকের তিনটি ঘরে চলে পার্টি অফিস। তবে তাঁদের তরফে জানানো হয়েছে জায়গাটা তাঁরা সংস্কার করবেন।
বাঘা যতীন এবং সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়
প্রসঙ্গত বাঘা যতীনের সঙ্গে কিন্তু সৌমিত্র চꦛট্টোপাধ্যায়ের একটি পারিবারিক যোগ রয়েছে। সুজিত চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, 'বাঘা যতীনের ছোট মামা ছিলেন ললিতকুমার। তাঁর এক সন্তান হলেন মোহিত চট্টোপাধ্যায়, আমার জ্যাঠা। তিনিই সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের বাবা।'
আরও পড়ুন: জওয়ানের পুনরাবৃত্তি! রাত ২.৪০ এ শো পেল দেবের বাঘা যতীন, কোন হল🌳ে জানেন?
আরও পড়ুন: দেব ছাড়া 🎃বাংলা ছবিকে কেউ ব্ꦜযবসা দিচ্ছে না? বিতর্কের উত্তরে কী বললেন 'বাঘা যতীন'?
বাঘা যতীন ছবি
যে কারণে আবারও জোরদার চর্চায় উঠে এসেছেন বাঘা যতীন সেটা হল দেব অভিনীত ছবি। এটি ১৯ অক্টোবর মুক্তি পেয়েছে। বর্তমানে দর্শকদের থেকে দারুণ সাড়া ﷽পাচ্ছে এই ছবি। বাঘা যতীন ছবিতে দেব ছাড়াও আছেন সৃজা দত্ত, সুদীপ্তা চক্রবর্তী, প্রমুখ। এটির পরিচালনা করেছেন অরুণ রায়।