ছবি: বহুরূপী
অভিনয়ে: শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, ঋতাভরী চক্রবর্তী, আবির চট্টোপাধ্যায়, কৌশানি মুখোপাধ্যায়
পরিচালনা: শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এবং নন্দিতা রায়
রেটিং: ৪.৩/৫
মানুষ সাধারণত সফলতার গল্পই শোনাতে ভালোবাসে। কিন্তু ব্যর্থতার গল্প? উইন্ডোজের বহুরূপী ছবিটিও পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের এক কর্তার ব্যর্থতার গল্প। অকারণ এক নির্দোষকে শাস্তি দেওয়ার পরিণাম কী হতে পারে সেটাই দেখাল এই ছবি। এবারের এই পুজোর ছবি কেমন হল, আবির-ঋতাভরী নাকি শিবপ্রসাদ-কৌশানি জুটি কারা বেশি নজর কাড়ল জা🏅নাচ্ছেন হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা।
আরও পড়ুন: সৃজিতের পরিচালনায় নি📖জেই নিজেকে 'টেক্কা' দিলেন দেব! চমকে ভরা হস্টেজ ড্রামা কেমন হল
কী নিয়ে গল্প বহুরূপীর?
এক সাধারণ জুট মিলের কর্মীকে অযথা সেই মিলের এক ইউনিয়ন লিডারের হত্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়। সাজা খাটার পর সে কীভাবে বহুরূপে ব্যাঙ্ক ডাকা🉐তি করে পরপর, এবং এবার সত্যিকারের অপরাধ করেও কীভাবে বারবার বেঁচে যায়, এবং শেষ পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে ঘটা অন্যায়ের বদলা কীভাবে নেয় সেটা নিয়েই বহুরূপী ছবির গল্প।
কেমন লাগল?
গত বছর রক্তবীজ ছবির পর আবারও বহুরূপী ছবিতে পুলিশ অফিসারের চরিত্রে ধরা দিলেন আবির চট্টোপাধ্যায়। বলাই বাহুল্য তিনি তাঁ🃏র চরিত্র যথাযথ ভাবে পালন করেছেন। অতিরিক্ত কিছু নেই। চমকও না। ফাটাফাটি ছবির পর এখানে তিনি এবং ঋতাভরী চক্রবর্তী আবারও জুটি বাঁধেন। তবে সেই ছবির থেকে এই ছবিতে তাঁদের সমীকরণ অনেকটাই আলাদা। এবং ঋতাভরীর চরিত্র বেশ অন্য রকম।
অন্যদিকে ব্যাঙ্ক ডাকাত হিসেবে আক্ষরিক অর্থেই নজর কাড়লেন শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। বহুদিন পর পর্দায় ধরা দিয়েই ফের ম্যাজিক ঘটালেন চেনা ছন্দে কিন🐓্তু আলাদা স্বাদে। এই ছবির অন্যতম নয়, মূল ইউএসপি তিনি এবং তাঁর অভিনয়। এবং তাঁকে কাঁটায় কাঁটায় টেক্কা দিয়েছেন তাঁর পর্দায় সহধর্মিনী কৌশানি মুখোপাধ্যায়। তাঁদের জুটিটা বেশ ভালো লেগেছে। রসায়নটা আসলে। আগামীতে তাঁদের আরও বেশি ছবিতে দেখতে পেলে ভালোই লাগবে। কৌশানির অভিনয় থেকে, তাঁর সাজ সবটা মিলিয়েই বেশ আকর্ষণীয় লেগেছে।
ছবির স্ক্রিপ্ট বেশ টানটান। কিন্তু থ্রিলের মাঝে দꦿুমদাম রোম্যান্স ঢুকে পড়ায় একটু থমকাতে হয়। বা🐻 এটাই ছবিটা আলাদা করে, এটাও বলা যায়। গল্প কোথাও এতটুকু ঝিমিয়ে পড়েনি। প্রতিটা গান বেশ সুন্দর। বিশেষ করে ডাকাতিয়া বাঁশি এবং তুই আমার হয়ে যা আলাদা ভাবে ভালো লাগল।
আরও পড়ুন: করণের থে💙কে ধর্মা প্রোডাকশনের অধিকাংশ স্ট🐬েক কিনে নিতে পারে সারেগামা!
অ্যাকশন দৃশ্য থেকে চেজিং সিকোয়েন্স ভীষণ ভালো ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। ওই সাসপেন্স যে এবার কী হবে, কী ঘটবে এই ব্যাপারটা গোটা ছবিতে থাকবে। আর শেষে যখন মনে হবে যাক শেষ হল, তখনই আসবে আসল চমক! সিনেমাটোগ্রাফি থেকে পরিচালনা কোথাও এতটুকু খুঁত ধরার অবকাশ নেই। এমন থ্রিলারের সঙ্গে বর্তমান সময়ের সঙ্🦩গে তাল রেখে সামাজিক বার্তা দেওয়াও হয়েছে। ফলে এবারের পুজোয় একদিন পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে অবশ্যই এই ছবি দেখা যায়। আর দেখতে গেলে যতক্ষণ না গোটা ছবি শেষ হ⭕চ্ছে বেরোনো যাবে না, তাহলেই পাঠান ছবির মতো কিছু মিস করতে পারেন।