আবার হাওড়া স্টেশন থেকে উদ্ধার হল লক্ষাধিক টাকা মূল্যের সোনা এবং রুপার মূর্তি। আর তার সঙ্গে বিপুল পরিমাণ নগদ টাকাও উদ্ধার করা হয়েছে। হাওড়া স্টেশনের আরপিএফ আধিকারিকদের তৎপরতায় উদ্ধার হয়েছে ওই বিপুল পরিমাণ সম্পদ। প্রায় ৭৭০ গ্রাম ওজনের সোনার গহনা, রুপার নানা সামগ্রী ও মূর্তি এবং নগদ ৪০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে হাওড়া স্টেশন থেকে। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে হরিশ কুমার বর্মা 🎶নামে এক ব্যক্তিকে। ওই ব্যক্তির বাড়ি বিহারের ভাগলপুরে। তার ব্যাগ থেকে এই বিপুল পরিমাণ সম্পদ মিলেছে বলে আরপিএফ সূত্রে খবর।
বাজেয়াপ্ত সামগ্রী এবং নগদ অর্থ আয়কর বিভাগের অফিসারদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ করা হচ্ছে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আরপিএফ অফিসারদের একটি দল ১৩০২৩ হাওড়া–গয়া এক্সপ্রেস হাওড়া স্টেশনের ১০ নম্বর প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করলে ট্রেনের তল্লাশি শুরু করে। তল্লাশি করার সময় হরিশ কুমার বর্মাকে (৪৬) সন্দেহজনক অবস্থায় ট্রেনের এ–১ কামরার ২৫ নম্বর সিটে বসে থাকতে দেখা যায়। অফিসাররা তাকে প্রশ্ন করতে শুরু করলে কোনও উত্তর দেয় না। তখন তার ব্যাগে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয় সোনার ꦛলকেট, রিং, চেন, কানের দুল, হাতের চুড়ি—মোট ওজন ৭৬৯.৯ গ্রাম সোনা। যার খোলা বাজারে আনুমানিক মূল্য ৬০ লক্ষ ট🃏াকার বেশি। তিনটি রুপার মূর্তি। যার ওজন ৩৮৫ গ্রাম। আর নগদ ৪০ হাজার টাকাও উদ্ধার হয়।
আরও পড়ুন: পায়ের অস্ত্রোপচার স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে করছিল না নার্সিংহোম, মুখ্যমন্ত্রীর রিলিফ ফান্ডে বাঁচল কিশোর
ওই ব্যক্তির থেকে দুটি বিল পেয়েছেন আরপিএফ অফিসাররা। তবে সেই বিলগুলি আদৌ আসল কিনা সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই ব্যক্তির মোবাইল ফোন, সিম কার্ড বাজেয়াপ্ত করেছেন আরপিএফ অফিসাররা। সেগুলি ট্র্যাক করে দেখা হচ্ছে এই বিপুল পরিমাণ সম্পদ কাকে পাচার করতে যাচ্ছিল হরিশ কুমার বর্মা। এই পাচারের সঙ্গে আর কারা জড়িত তাও দেখা হচ্ছে। এই সোনা কোথা থেকে এসেছিল এবং কোথায় যাচ্ছিল সবটা ট্র্যাক করা হচ্ছে। এই বিপুল পরিমাণ সম্পদের পিছন বড় কোনও মাথা আছে বলে মনে করা হচ্ছে। আসলে হরিশ কুমার বর্মা একজন পাচারকারী। কিন্তু কাজটা পিছন🅷 থেকে অন্য কেউ করাচ্ছিল।
হরিশ কুমার বর্মাকে বারবার নানা প্রশ্ন করা হলেও সে কিছু জানে না বলছে। দফায় দফায় জেরা করা শুরু হয়েছে ধৃতকে। ওই কাঁচা দুটি রশিদ ছাড়া আর কোনও প্রামাণ্য তথ্য ধৃত হরিশ কুমার বর্মা দিতে ব্যর্থ হয়েছে বলে আরপিএফ সূত্রে খবর। এরপর ধৃত ও উদ্ধার হওয়া সামগ্রী আয়কর বিভাগের হাতে তুলে দিয়ে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা জানানো হয়েছে। আজ, শুক্রবার এই ঘটনার পাশাপাশি ইডি অফিসাররা লেক মার্কেট এলাকায় তল্লাশিꦯ চালিয়ে টাকার পাহাড় উদ্ধার করেছে। যে টাকা গুণতে মেশিন নিয়ে আসতে হয়েছে।