বহু শারীরিক প্রতিবন্ধকতার 🔥নিদারুন যন্ত্রণা সঙ্গে নিয়েই সাফল্যের শেষ হাসি হাসছেন পামেলা, সরস্বতীরা। উচ্চ প্রাথমিকে চাকরি পেয়েছেন তাঁরা। ‘আনন্দবাজার পত্রিকা’র এক প্রতিবেদনে তাঁদের এই প্রবল সাফল্যের কাহিনি তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনের উঠে এসেছে, হুগলির কোন্নগরের বাসিন্দা পামেলার কথা। তিনি চাকরি পেয়েছেন সন্দেশখা𝔉লির ভগবতী দেবী বালিকা বিদ্যালয়ে। উঠে এসেছে বাঁকুড়ার সরস্বতী করের কথা। তিনি চাকরি পেয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরের গোপালনগর বিহারীলাল বিদ্যাপীঠে। তাঁদের এই সাফল্যের একঝাঁক অনুভূতির ছবি দেখে নেওয়া যাক।
পূর্ব মেদিনীপুরের গোপালনগর বিহারীলাল বিদ্যাপীঠে বাংলা পড়াবেন সরস্বতী কর। ৭৫ শতাংশ দৃষ্টিহীনত𒐪ায় আক্রান্ত সরস্বতী। সদ্য চাকরির সুপারিশপত্র হাতে নিয়েছেন তিনি। তিনি লড়াইয়ের কথা তুলে ধরে বলছেন, আমি ৭৫ শতাংশ দৃষ্টিহীন, ত𒈔বে সেজন্য কোনও কিছুই আটকে থাকেনি, ছোটবেলা থেকে লড়াই করেছি ব্রেলের মাধ্যমে পড়েছি, এবার চাকরি পেয়ে সংসারের হাল ধরব। সরস্বতী করের বাবা চাষাবাদ করেন। সংসারে রয়েছেন বাবা, মা ভাই। মা গৃহবধূ, ভাই সিভিক ভলেন্টিয়ার। সরস্বতীর আশা তিনি চাকরি পেলে সংসারের খানিকটা চাপ ভাই ও বাবার ওপর থেকে কমবে। বাঁকুড়ার সরস্বতী চাকরি পেয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরে। দীর্ঘ লড়াই করা সরস্বতী বলছেন, দূরত্ব কোনও ব্যাপারই নয়। তিনি বলছেন, মা বাবাকে ওখানে নিয়ে যাব। সরস্বতীর আশা, তিনি চাকরি পাওয়ায় সংসারে খানিকটা স্বস্তি মিলবে।
এবার আসা যাক, হুগলির কোন্ননগরের পামেলা দাসের ঘটনায়। তিনি চাকরি পেয়েছেন সন্দেশখালিতে। সেরিব্রাল পালসিতে জন্মাবধি তাঁর দুই পা সচল নয়। পাশে কারোর সাহায্য নিয়ে তবেই তিনি হাঁটতে পারেন। বাবা মায়ের কাꦍঁধে ভর দিয়ে তিনি শনিবার বের হচ্ছিলেন সল্টলেকে স্কুল সার্ভিস কমিশনের অফিস থেকে। দু"চোখে আনন্দাশ্রু। ঠোঁটের কোণে হাসি, কার্যত এই সাফল্যের শীর্ষ চড়ার পিরতৃপ্তিকে বুঝিয়ে দিচ্ছিল। তিনি বলছেন, বাড়ি থেকে অনেক দূরের স্কুলে চাকরি পেলাম। তাঁর বাড়ি হুগলির কোন্নগরে। আর স্কুল সন্দেশখালি-২ ব্লকে, যেতে হবে নদী পেরিয়ে। কিন্তু দশ বছরের লড়াইয়ের পর শিক্ষকতার এই চাকরি তাঁর কাছে স্বপ্নের চাকরি। জীবনের অই প্রথম চাকরি ছাড়া যাবে না। তিনিও বলছেন, মা বাবাকে নিয়ে যাব সন্দেশখালি। সরস্বতী ও বপামেলাদের মতো অনেকেই সদ্য স্কুল সার্ভিস কমিশনের অফিস থেকে পেয়েছেন সুপারিশ পত্র। সদ্য বাংলার ২১৬ জন এবং ইংরেজির ৩৫৭ জনকে সুপারিশপত্র দিতে ডেকেছিল এসএসসি। এর মধ্যে ৫০ জনের মতো বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন চাকরিপ্রার্থী ছিলেন।