ভালোবেসে বাড়ির অমতে মনোজিৎ মন্ডলকে বিয়𒉰ে করেছিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে স্বামীর সুখ পাননি একটা দিনও। প্রাক্তন স্বামীর তার উপরে ꦍচালানো অকথ্য শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন নিয়ে এর আগেও কথা বলতে শোনা গিয়েছে বৈশাখীকে। সবচেয়ে দুঃখের ব্যাপার হল, বৈশাখী-মনোজিতের সন্তান মেহুলও প্রত্যক্ষ করেছিল বাবা মারধর করছে মা-কে!
মাতৃ দিবস উপলক্ষে সেই ভয়াবহ দিনগুলোর স্মৃতি আরও একব𒁏ার বৈশাখীর কথাতে। কীভাবে সেসব থেকে একমাত্র সন্তানকে বের করে এনেছেন কথা বললেন তা নিয়েও। আনন্দবাজারকে বৈশাখী জানালেন, ‘আমি মেয়ের কাছ থেকে কোনও কিছু লোকꦇায়নি। অনেক পরিবারে দেখেছি, মার খেয়ে বলে, বাবা আদর করছিল। কিন্তু আমি করিনি। আমি নিশ্চয়ই চেয়েছিলাম, আমার মেয়ে এসব না দেখুক। কিন্তু তা হয়নি। প্রথম যেদিন আমাকে মেয়ের সামনে মার খেতে হল, ও তখন বছর তিনেকের। হঠাৎ দেখল আমি প্রচণ্ড মার খাচ্ছি। ও কাঁদতে শুরু করল। ওর কান্নাটা থামছে না। ও যে মাআআআ করল, দেখছি হাঁ-টা থামছে না। আমি বোঝালাম, আমাদের দুজনকে একসঙ্গে বেরিয়ে আসতে হবে এটা থেকে।’
আরও পড়ুন: জানেন ক💞ি শাহরুখের মায়ের নামে মুম্বই🍸তে রাখা হয়েছে চাইল্ড ওয়ার্ড? জানুন কারণ
‘প্রচণ্ড মার খাওয়ার পর যখন সেই পুরুষের সঙ্গে বিছানায় যেতে হত, তার থেকে বেশি গ্লানির আর কিছু ছিল না। ও যখন বড় হল, বুঝতে শিখল, আমার মায়ের সঙ্গে যা হচ্ছে তা ঠিক হচ্ছে না। (মনোজিতের) আমাকে শাস্তি দেওয়ার একটা উপায় ছিল মেয়ের সামনে বিকৃত যৌন কাজকর্ম করতে বাধ্য করত আমাকে। আর মেহুল একটানা বলত, বাবা তুমি বেরোও, বাবা তুমি আসবে না। ও-ই আমাকে প্রোটেক্ট করল। মেহ♊ুলই আমাকে বলেছিল, মা তুমি বেরও, আমাকে বেরোতে সাহায্য করো। তখন ও ৩ বছরের।’, আরও বললেন বৈশাখী।
আরও পড়ুন: পুলে কাঞ্চনের ‘কচি বউ’ শ্রীময়ী, জলে ভ༒িজে পোশাকের ফাঁকে সুস্পষ্ট বক্ষ বিভাজিকা, বাড়ালেন উত্তাপ
তি꧟নি জানান, শোভনের সঙ্গে থাকতে শুরু করার প্রথম দিন থেকেই তাঁকে তৃণমূলের প্রাক্তন নেতা বলেছিলেন, মেহুলকে সঙ্গে নিয়ে আসতে। তবে একটু সময় নিয়েছিলেন বৈশাখী। কিন্তু একটা সময় বুঝতে পারেন, মেয়ে চায় না বাবার সঙ্꧑গে থাকতে। সেই থেকে শুরু। বৈশাখীই মেহুলের মা. মেহুলের বাবা। এমনকী, শোভনকে বাবা ডাকতেও শেখাননি মেয়েকে। তারা একে-অপরকে ডাকে ‘দুষ্টু’ বলে।
আরও পড়ুন: ‘এ🍒রকমই বউ চাই’! রবিবার RCB-র জয়ে আনন্দে নাচল বিরাট-পত♑্নী অনুষ্কা, ভাইরাল ভিডিয়ো
কল☂কাতার নামী কলেজের অধ্যাপিকা ছিলেন। এখন যদিও বৈশাখীর সবটা নজর মেয়েকে বড় করায়। মেয়ের স্কুলের পড়া, খাওয়া-দাওয়া, সবটা নিয়ে দিন কাটে তাঁর। মেহুলের সঙ্গেই নিজের জীবনকে জড়িয়ে নিয়🏅েছেন ওতোপ্রোতো ভাবে। একা মা হিসেবে সব দায়িত্ব পালন করেন। যদিও পাশে থেকে হাতটা শক্ত করে ধরে থাকেন ‘সহবাস-সঙ্গী’ শোভন।