এবারের শীতটা যেন জাঁকিয়েই বসেছে। কলকাতাবাসী বহু বছর বাদে আলমারি থেকে বের করেছে শীত পোশাকগুলো। আর এই ঠান্ডার আমেজেই অসম ট্যুরে শোভন-বৈশাখী। সামাজিক মাধ্যমে ট্যুরের একগুচ্ছ ছবি ভাগ করে নিলেন প্রাক্তন অধ্🦄যাপিকা।
অবশ্য শুধু শোভন-বৈশাখী জাননি, সঙ্গে রয়েছে🤪 মেয়ে মেহুলও। কখনও মেয়ের সঙ্গে, তো কখনও আবার শোভন ও মেহুলকে সঙ্গে নিয়ে ছবি তুললেন বৈশাখী। কখনও শাড়ির উপরে জড়িয়েছেন শাল। আবার কখনও গায়ে লম্বা গাউন। শোভনকে একটি ছবিতে বেশ মেজাজ নিয়ে ট👍ান দিতে দেখা গেল চুরুটে।
পোস্💦টের ক্যাপশন থেকেই জানা গেল উঠেছ🐠েন তাঁরা অসমের ঐতিহ্যশালী হেরিটেজ রিসর্ট ওয়াইন্ড মাহসির-এ। অসমের তেজপুর থেকে এটি ২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত, কাজিরাঙ্গার প্রবেশদ্বার। পাখিপ্রেমীদের স্বর্গরাজ্য এই হোটেলটি। ভাড়াও বেশ আকাশছোঁয়া। তৈরি হয়েছিল সেই ইংরেজ আমলে।
বাংলো থেকে কটেজ, একাধিক ক্যাটাগরির রুম রয়েছে এখানে। ভাড়া শুরু ১০ হাজার🉐 থেকে ৩৪ হাজার অবধি। অর্ধাৎ, ব্রিটিশ আমলের এই বাংলোতে, প্রক🍸ৃতির মাঝে, পাখির ডাক শুনে দিন কাটাতে হলে বেশ ভালো অঙ্কেরই পকেট খসবে।
আপাতত শোভনের তৃণমূলে ফেরত আসার জল্পনা বাংলার আকাশে-বাতাসে। জানুয়ারি মাসেই শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে যান তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। সেখানে শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের স♍ঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলে তিনি। চলে চা চক্র। আপাতত মনে ক🐠রা হচ্ছে, লোকসভা ভোটের আগেই শোভন ফিরবেন তৃণমূলের। কানন (শোভনকে ভালোবেসে এই নামেই ডাকেন মমতা) ফিরবেন তাঁর প্রিয় দিদির কাছে।
তবে শোভন একা আসবেন, না ‘সহবাস-সঙ্গী’ বৈশাখীও যোগ দেবেন তৃণমূলে সেটাই দেখার। রত্না চট্টোপাধ্যায়ের ঘর ছেড়েছেন শোভন বহুদিন আগেই। ডিভোর্সের জন্য মমলা চলছে আদালতে। দীর্ঘদিন ধরে লিভ ইনে রয়েছেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তাঁদের সঙ্গে থাকেন বৈশাখী-কন্যা মেহুলও। এমনকী, শোভন-রত্নার ডিভোর্স হয়ে গেলে বিয়ের পিঁড়িতে বসার ইচ্ছেও রয়েছে দুজনের। একসময় বৈশাখীকে নিয়েই ভুল বোঝাবুঝি শুরু হয়েছিল মমতার সঙ্গে। দলের অন্দ﷽লের ক🦄োন্দল তো ছিলই। তৃণমূল ছাড়ার পর ২০১৯ সালে বৈশাখী-শোভন যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতেও। যদিও সেখানে মাসখানেকের বেশি মন টেকেনি। এখন দেখার ২০২৪-এর লোকসভা ভোট পারে কি না পুরনো সমীকরণ বদলাতে।
কুণাল বাড়িতে আসার পর এক সাক্ষাৎকারে শোভনকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘কুণাল আমার বাড়িতে এসেছিলেন। কারণ তো ছিলই। আমিও চাই, সর্বশক্তি দিয়ে দলের হয়𒐪ে লড়তে। মমতা ꦚবন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যেভাবে ছিলাম, সেভাবে থাকতে।’