দুর্গা পুজো চলাকালীন বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মন্দির, মণ্ডপ ও প্রতিমা ভাঙচুরের খবর পাওয়া গেছে। চাদঁপুরের হাজীগঞ্জে চারজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ পুজো উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার চ্যাটার্জি ডয়চে ভেলেকে জানান, কুমিল্লার পর চাঁদপুর, গাজীপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে মন্দির ও মণ্ডপে হামলা এবং প্রতিমা ভাঙচুরের খবর পেয়েছি। তারপরেই নড়েচড়ে বসে শেখ হাসিনার সরকার। বাংলাদেশের ২২টি জেলায় আধা সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। জানানো হয়েছে, দোষীদের কড়া শাস্তি হবে। কাওকে রেওয়াত করা হবে না। এবার তা নিয়ে নিজের ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন তারকাদের একটা অংশ। অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী পরিচালক ফারুকী সহ বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবী মহল সোচ্চার হয়েছে সামাজিক মাধ্য়মে। বাংলাদেশের নাটকের জগতের চেনা মুখ চঞ্চল চৌধুরী লিখেছেন, ‘বিজয়া কতটা শুভ ছিল….বলার কোন অপেক্ষা নেই!! এভাবেই বিসর্জন হচ্ছে মানবতার…. মানুষরূপী অমানুষগুলো ধর্ম এবং শান্তি দুটোই ধ্বংস করতে বদ্ধপরিকর…. মানুষ বাঁচলে ধর্ম বাঁচবে,পৃথিবী বাঁচবে…’। অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি লিখেছেন, ‘সাধারণত দশমীতে আমরা বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়, ভালো রান্নাবান্না, প্রণামী আর অনেক রাত অবধি বিসর্জন দেখি… এবারের দশমী থমথমে, ভীতিকর। পরিবারের সবাই দেশজুড়ে মুর্তি ভাঙচুর আর পূজামন্ডপে হামলার ভিডিও দেখায় ব্যস্ত, শংকিত। প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুপুর থেকে বিকেলের মধ্যেই বিসর্জনের তাড়া। সেখানেও হামলার ভয়!’পরিচালক মোস্তফা সারওয়ার ফারুকি লিখেছেন, ‘অন্য দেশে সংখ্যালঘু মুসলমানকে অত্যাচার করলে আমাদের হৃদয় যেমন ব্যথিত হয়, নিজের দেশে সংখ্যালঘু হিন্দু বা অন্য কেউ অত্যাচারিত হলেও আমাদের হৃদয় যেনো সেটা একই ভাবে উপলব্ধি করতে পারে, আল্লাহ যেনো আমাদের এই তৌফিক দান করেন।’ তবে, বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবী মহলের একটা অংশ এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। জয়া আহসান, গাজি আবদুন নুরের মতো তারকারা যাঁরা প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বরাবর পোস্ট করে থাকেন, তাঁদের কোনও লেখা চোখে পড়েনি। দুর্গা মণ্ডপ ও প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনার কড়া নিন্দা করে এক বিবৃতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জানিয়েছেন, ‘বাংলাদেশ এক অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ। বাংলাদেশে সকল ধর্ম, বর্ণ, সম্প্রদায়ের মানুষ একসঙ্গে বসবাস করবে। যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে।’ তিনি প্রত্যেক বাংলাদেশবাসীকে স্মরণ করিয়ে দেন, টধর্ম যার যার, কিন্তু উৎসব সবার। ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার।’