‘জোজো’, এই নামটির সঙ্গে নিশ্চয় নতু🃏ুন করে আলাপ করাতে হবে না! সম্প্রতি বাংলা সারেগামাপা-এর দৌলতে বিচারক হিস🌠াবে মাঝে মধ্যেই আলোচনায় উঠে আসছেন জোজো। তবে এবার সারেগামাপা নয়, ফেসবুকের পাতায় উঠে এসেছে শিল্পীর একটি শো চলাকালীন কিছু মুহূর্তের ভিডিয়ো। যেখানে বেশ মজাদারভাবে ধরা দিয়েছেন গায়িকা।
ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, একটা খোলা মাঠে তৈরি স্টেজে উঠে শো করছিলেন মিস জোজো। সে সময় সেখানে ঘোরাফেরা করছিলেন বহু ফেরিওয়ালা। ভিডিয়োতে এমনই কোনও এক ফেরিওয়ালাকে দেখে জোজো মঞ্চ থেকেই প্রশ্ন করে বসেন, ‘ওটা কী চিপস নাকি! সাবুভাজা! আলুভাজা! ধ্য়াৎ ঠিক করে বলছে না।’ পরক্ষণেই আবার একজন লজেন্স ওয়ালাকে দেখে ডাকলেন 'এই লজেন্স…,' ফেরিওয়ালাকে বললেন, ‘একটু দাও না ঝাল ঝাল লজেন্সটা, ওই যে ঝাল ঝাল লজেন্স, আরেকটা ওই কমলালেবুর মতো, জিভে দিলে লাল লাল হয়ে যাবে।’ ফের জিগ্গেস করলেন, ‘কত দাম? বলো, ২০ টাকা? ১০ টাকা! দুটো ২০ নাকি ১০! এই জগন্নাথ ১০ টাকা দে..।’ ফের লজেন্স হাতে বললেন, ‘কত দিন প꧋ড়ে পেলাম… দাঁড়া লোভ সামলাতে পারছি না, এই এটা খোল তো, ঝালটা খোল…’। সহকর্মী মিউজিশিয়ানকে বললেন জোজো।
এরপরই লজেন্স মুখে নিয়ে কথা বলতে থাকলেন শিল্পী। পুরনো স্মৃতিতে ফিরে গিয়ে জোজো বললেন, ‘আমাদের ছোটবেলায় একটা লজেন্স পাওয়া যেত, গুলটি পাকানো লাল লাল, সেটা খেয়ে স্কুলে গেলে মাঝেমধ্যে ম্যাম ঢুকতে দিত না, মুখ লাল হয়ে থাকত, তাও খেতাম।’ এরপর ফেরিওয়ালর উদ্দেশ্যে হেঁকে বললেন, ‘দাদা তোমার লজেন্সটা ভালো, ম♏ানে তোমার এই বানানো লজেন্স…। একএক জন এত ঝাল দেয়, ꧋এই যে আমি মুখে দিয়েছি, এতক্ষণ কাশতে কাশতেই মরে যেতাম।’
এরপর বুকে হাত বুলিয়ে বললেন, ‘এটা কী ভালো…’। ফেඣর বললেন, এবার গান শুরু করতে হবে তো বলে গান গাওয়ার চেষ্টা করেই বললেন, ‘দাঁড়ান মুখে আটকে গেছে।’ কিছু সামলে নিয়ে এরপর শুরু করলেন গান, ‘যখন ছিলাম ১২, ছিলাম নাতো কারো, রসের কথা প্রথম শোনা তখন আমার ১৩…।’ এরপর অবশ্য জমিয়ে দিলেন পারফরম্যান্স। জোজোর গানে মজলেন শ্রোতাবন্ধুরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় গায়িকার এমন রসবোধ, মজাদার চরিত্র দেখে বেজায় খুশি নেটিজেনরা। শিল্পীর প্রশংসায় উঠে এসেছে নানান মন্তব্য।