গত কয়েকদিন ধরে দক্ষিণ কলকাতার এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন বর্ষীয়ান রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সুমিত্রা সেন। ভুগছিলেন ব্রঙ্কোনিউমোনিয়ায়। সোমবার বাড়িও ফেরেন। তবে শেষরক্꧑ষা হল না। মঙ্গলবার ভোরে পাড়ি জমালেন না ফেরার দেশে। মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন বড় মেয়ে। বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। আজই কেওড়াতলা মহাশ্মশ𝄹ানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
সুಌমিত্রার দুই মেয়ে বাংলা সঙ্গীত দুনিয়ায় ছাপ ফেলেছেন। বড় মেয়ে শিল্পী ইন্দ্রাণী সেনই দিয়েছেন সুমিত্রার মারা যাওয়ার খবর। ফেসবুক পোস্টে লেখেন, 'আজ মা ভোরে চলে গেল।' জানা গিয়েছিলেন বার্ধক্যজনিত সমস্যা তো ছিলই। এরপর ঠান্ডা লেগে বুকে কফ বসে যায়। শুরু হয় শ্বাসকষ্টও। পরিস্থিতি খারাপ হলে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানেই শিল্পীর ব্রঙ্কোনিউমোনিﷺয়া ধরা পড়ে। ফুসফুসে নিউমোনিয়ার প্যাচও ছিল বলে শোনা গিয়েছে। রাইলস টিউব দিয়ে খাওয়ানো হচ্ছিল।
সুমিত্রার প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শোকবার্তায় মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, 'বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী সুমিত্রা সেনের প্রয়াণে আমি গভীরভাবে শোকহত। তিনি আজ কলকাতায় শেষ নিঃশ্๊বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। রবীন্দ্রসঙ্গীতের অগ্রগণ্য শিল্পী সুমিত্রা সেন দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে নিজস্ব গায়কিতে শ্রোতাদের মুগ্ধ করে রেখেছিলেন। প্রশিক্ষক হিসাবে তিনি রেখে গিয়েছেন অগণিত গুণমুগ্ধ ছাত্রছাত্রী। পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাঁকে ২০১২ সালে 'সঙ্গীত মহাসম্মান' প্রদান করে। সুমিত্রা সেনের সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের নিবিড় সম্পর্ক ছিল। তাঁর প্রয়াণ সঙ্গীত জগতের এক অপূরণীয় ক্ষতি। আমি সুমিত্রাদির দুই কন্যা ইন্দ্রাণী ও শ্রাবণী এবং সুমিত্রাদির পরিবার-পরিজন ও অনুরাগীদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।'
রবীন্দ্রনাথের প্রতি ছিল অপার প্রেম। আর সেই গান গে🐲য়েই শ্রোতাদের মন জয় করে নিয়েছেন বরাবর। যা আজও শ্রোতাদের কাছে সম্পদ। তাঁর প🧜্রয়ানে তাই শোকের ছায়া আজ সংগীতমহলে।