এখন ভুবন জোড়া খ্যাতি তাঁর। বাংলার গণ্ডি পার করে ‘কাঁচা বাদাম’ গান এখন ছড়িয়ে পড়েছে দেশে বিদেশে। বীরভূমের কুড়ালজুলির সাধারণ বাদাম বিক্রেতাকে এখন সবাই চেনে এক ডাকে, ভুবন বাদ্যকর।♛ চলতি মাসের শুরুতেই ‘দাদাগিরি'র মঞ্চে হাজির হয়েছিলেন ভুবনবাবু। সেখানে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে কাঁচা বাদাম খাওয়ালেন তিনি। সঙ্গে ভাগ করে নিলেন সুখ-দুঃখের কথাౠ।
গান ভাইরাল হলেও সংসারের হাল কি ফিরেছে? সৌরভের প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘একটা ভাঙা ঘরের মধ্যে সবাই আছি। দাদা, বৌদি, তাদের ছেলে মেয়ে, বউ, বেটা, নাতি-পুতি; সবাই একট𝔉া ঘরেই আছি’। এই কথা শুনে রীতিমতো তাজ্জব সৌরভ। ভুবনবাবু আরও যোগ করেন, ‘ছোট থেকে খেটে খেয়েছি। সংসারে অভাব। প্রতিদিন কাজ পাওয়া যাচ্ছে না, একদিন খাটছি, পাঁচদিন বসে। এরপর বাদাম বিক্রি শুরু করলাম’।
‘কাঁচা বাদাম’ গানের জন্ম হল কীভাবে? সেই রহস্যও দাদাগিরির মঞ্চে ফাঁস করলেন ভুবন বাদ্যকর। তিনি বলেন, 'একদিন গুদামে গিয়েছিলাম। তখন দেখলাম ওখানে মাথার ছেঁড়া চুল নিচ্ছে, হাঁসের পালক নিচ্ছে, সিটি গোল্ডের গহনা নিচ্ছে, ভাঙা মোবাইল নিচ্ছ෴ে। তখন থেকে ওগু🐟লো নিতে লাগলাম বাদামের বদলে। তারপর বলতাম, তখন ওগুলো সেটিং করলাম'।
সোশ্যাল মিডিয়ায় গানটি এত জনপ্রিয়, কিন্তু এর থেকে ভুবনবাবুর কোনও আর্থিক লাভ হয়েছে কি? হ✅াসিমুখ নিয়েই ‘বাদাম কাকু’ বলেন, ‘একটা চ্যানেলে গিয়েছিলাম, ওই জয়দেবের স্টুডিওতে গান করেছিলাম। সে ৩০ হাজার টাকা দিয়েছিল। কিন্তু ভেঙেই গেল টাকাটা’। টাকা ভেঙে গেল কথা শুনে চমকে যান সৌরভ, আসলে ভুবন বাদ্যকরের গ্রাম্য ভাষা বুঝতে অল্প বিস্তর বেগ পেতে হচ্ছিল মহারাজকে। পর মুহূর্তে সামলে নিয়ে বলেন, ‘ও আচ্ছ꧅া শেষ হয়ে গেল’।
যদিও গত কয়েকদিনে চিত্রটা বেশ বদলে গেছে। গত বৃহস্পতিবার ‘গোধূলি’ নামে এক মিউজিক কোম্পানি তাঁর থেকে ‘কাঁচা বাদাম’ গানের কপিরাইট কিনেছে ৩ লক্ষ টাকার বিনিময়ে। এরপরই বাদাম কাকু ঘোষণা করꦅেছেন তিনি আর বাদাম বেচবেন না, এবার থেকে গায়ক হিসাবেই শুরু হবে তাঁর নতুন জার্নি।