প্রেম সম🍸্পর্কের টানাপোড়েন? কেরিয়ারে আশানুরূপ সাফল্য না আসা? নাকি অন্য কিছু? কেন ২১ বছর বয়সেই চরম সিদ্ধান্ত নিলেন অভিনেত্রী-মডেল বিদিশা? অভিনেত্রী-মডেলের রহস্যমৃত্যুকে আপতত আত্মহত্যা বলেই মনে করছে পুলিশ। মিলেছে সুইসাইড নোটও। তবে সেই সুইসাইড নোট ঘিরেও তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
পল্লবী-দে'র মৃত্যু মেনে নিতে পারেননি বিদিশা। সেই কথা লিখেছিলেন ফেসবুকের দেওয়ালে। যদিও পল্লবী দে-র মৃত্যুর ১০ দিনের মধ্যেই মিলল বিদিশার ঝুলন্ত দেহ। পুলিশ সূত্রে খবর,ঘরে মেলা সুইসাইড নোটে লেখা রয়েছে এই মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। এক দূরারোগ্য রোগে ভুগছিলেন তিনি। যদিও তেমনটা একেবারেই সত্যি নয় বলে দাবি করছেন অভিনেত্রীর বান্ধবীরা। তাঁদের মতে মোটেই কোনও মারণরোগে ভুগছিলেন না বিদিশা, আর তেমনটা হলে তো এমনই মৃত্যু হত আলাদা করে আত্মহননের সিদ্ধা𝔉ন্ত কেন নেবে বিদিশা?
বিদিশার বান্ধবীদের কেউ কেউ অবশ্য তাঁর পেশাকে দায়ী করছেন এই মৃত্যুর জন্য। কাজের অভাব না থাকলেও কাঙ্খিত সাফল্য ꩵছিল না বিদিশার। তাই টাকা-পয়সার অভাব না হলেও আসছিল না অবসাদে ডুবে যাচ্ছিলেন। এবং এর জেরেই লড়াই ছেড়ে দিলেন ২১ বছর বয়সী এই মডেল।
অনেকেই আবার বলছেন বিদিশা নাকি ক্য়ানসার আক্রান্ত হয়েছিল। এক বন্ধুর কথায়, বিদিশার রক্তচাপের সমস্য়া ছিল। ঠিকভাবে খাওয়া-দাওয়া না করায় অসুস্থ হয়ে পড়ত। পাশাপাশি ঋতুস্রাবের সমস্যাও ছিল। এরজন্য় চিকিৎসকের পরামর্শও নিয়েছিলেন। আশঙ্কা ছিল তাঁর ওভারিতে𒆙 সিস্ট রয়েছে। তবে এইটুকু কারণে জীবন শেষ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো কমজোর মেয়ে বিদিশা নয়।
প্রয়াত অভিনেত্রীর পরিবারের তরফ থেকে প্রেমিকের নামে কোনও অভিযোগ করা না হলেও বন্ধুরা অভিযোগের আঙুল তুলছেন অনুভব বেরার দিকে। বিদিশার এই জিম ট্রেনার বয়ফ্রেন্ডের জন্যই নাকি আত্মহননের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে, দাবি অভিনেত্রীর দিয়া নামের এক বান্ধবীর। ওই যুবক একাধিক নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিল। এর জেরেই বিদিশার সঙ্গে তৈরি হচ্ছিল দূরত্ব। বিদিশা হামেশাই বলত, ‘ওকে ছাড়া আমি বাঁচব না’। শেষমেষ নিজেক♉ে শেষ করে দিল সে! এমনটাই বলছে বিদিশার বান্ধবীরা।
উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটির বাসিন্দা বিদিশা মাস কয়েক আগেই ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে ছিলেন নাগেরবাজারের রামগড় কলোনিতে। বুধবার সন্ধ্যায় সেই ফ্ল্যাটেই তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। বুধবার ভোররাত পর্যন্ত ফেসবুক, হোয়াসঅ্যাপ অ্যাক্টি𓆉ভ ছিলেন অভিনেত্রী। কাজ না থাকলে বেলায় দেরিতে ঘুম থেকে উঠতেন বিদিশা। তাই সকালে কোনওরকম সাড়াশব্দ না দিয়েই তাঁর ফ্ল্যাট মেট দিশানি কলেজে চলে যায়। বুধবার সকাল থেকে অনেকেই ফোন করেছিলেন বিদিশাকে। বারবার ফোন বাজলেও ওপার থেকে জবাব আসেনি। ফিরে এসেও দিশানি দেখে ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। এরপর দরজা ঠেলে সে বিদিশার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পায়। ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বিদিশার দেহ। সেই রিপোর্ট আসার পরেই স্পষ্ট হবে বিদিশার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ।