বিগ বস ১৩-এর ওটিটি ভার্সনে সবচেয়ে শক্তিশালী জুটি নিঃসন্দেহে রাকেশ বাপাট ও শমিতা শেট্টি। এই জুটির কানেকশন দিন দিন আরও জোরালো হচ্ছে। ‘কানেকশন’ রাকেশের জন্য এবার যে আত্মত্যাগ করলেন শমিতা তাতে হতবাক অনেকেই। সোমবার ছিল নমিনেশন ডে, আর এই দিন সমস্ত জুটিকে একে একে কনফেশন রুমে ডেকে পাঠান বিগ বস। রাকেশ এবং শমিতা সেখানে পৌঁছানোর পর দুটি চিঠি তাঁদের সামনে রাখেন বিগ বস, স্পষ্ট জানান, দু'জনে মিলে আলোচনা করে একজনকে নমিনেট করতে হবে। যে সুরক্ষিত থাকবে কেবল সেই প্রতিযোগিই নিজের পরিবারের তরফে আসা এই চিঠি পড়তে পারবে। রাকেশের সঙ্গে শমিতার সম্পর্ক বেশ গভীর তা ফের প্রমাণিত হল এদিন। রাকেশকে নমিনেশনের হাত থেকে বাঁচাতে শমিতা সঙ্গে সঙ্গে নিজের পরিবারের তরফে আসা চিঠি ছিঁড়ে দু-টুকরো করে দেন। এই ঘটনায় বেশ ইমোশন্যাল হয়ে পড়েন দুজনেই। এরপর স্নানঘরে নিজেকে বন্ধ করে কাঁদতে দেখা যায় শমিতাকে। রাকেশও নেহা ভাসিনকে জড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। পরে শমিতাকে রাকেশ বোঝানোর চেষ্টা করেন, চিঠি ছিঁড়ে ফেলবার আগে তাঁর অন্তত রাকেশের সঙ্গে আলোচনা করা দরকার ছিল। পরে দুজনে পরস্পরকে আলিঙ্গন করে কান্নায় ভেঙে পড়েন। শমিতা পরে জানান, তিনি নিশ্চিত তাঁর পরিবার ভালো আছে। ফ্যানেরা ইতিমধ্যেই ভালোবাসায় ভরিয়ে দিচ্ছে রাকেশ-শমিতা জুটিকে। ভালোবেসে তাঁদের নাম রেখেছে ‘ShaRa’। বিগ বসের ঘরে এতো মজবুত ও নিঃস্বার্থ বন্ধুত্বের সম্পর্ক আগে দেখা যায়নি, দাবি অনেকের। কেউ কেউ তো এমনও দাবি করছেন, সত্যি একে অপরকে ভালোবেসে ফেলেছেন রাকেশ-শমিতা। রাকেশ-শমিতার রাসয়নে মুগ্ধ নেটপাড়া। শমিতার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে অভিনেত্রীর টিম চিঠি ছিঁড়ে ফেলবার যে ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন, তা দেখে আপ্লুত শিল্পা শেট্টিও। বোনের আত্মত্যাগ দেখে গর্বিত শিল্পা। তিনি কমেন্ট বক্সে লেখেন, ‘টুংকি (শমিতার ডাকনাম), আমি তোমার জন্য গর্বিত।’