ফের একবার বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে অনীক দত্তর ‘অপরাজিত’। শুরুতে নন্দনে শো টাইম না-পাওয়া নিয়ে সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছিল এই ছবি। অজ্ঞাত কোনও কারণে নন্দনে ঠাঁই হয়নি ছবির। তবে শহরের বিভিন্ন মাল্টিপ্লেক্স এবং ♏সিঙ্গল ꦰস্ক্রিনে রমরমিয়ে চলছে এই ছবি। বক্স অফিসে ২ কোটি টাকার গণ্ডিও অচিরে পার করেছে জিতু কমল, সায়নী ঘোষ অভিনীত ছবি। তবে দু-দিন আগেই এই ছবির বিষয়ভাবনা মৌলিক কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। এবার আরও একধাপ এগিয়ে গেলেন তিনি।
‘বিষয় পথের পাঁচালী’ ছবির ট্রেলার প্রকাশ্যে এনেছেন কুণাল ঘোষ। এই ছবিটি নথিভুক্ত ২০১২ সালে নথিভুক্ত হয়েছিল। তাই ‘পথের পাঁচ🐽ালি’ তৈরির নেপথ্য কাহিনি নিয়ে আস্ত একটা ছবির ভাবনা অনীক দত্তের মৌলিক কিনা তা নিয়ে ফের প্রশ্ন তুললেন কুণাল ঘোষ। ‘বিষয় পথের পাঁচালী’র কাহিনিকার বিশ্বজিৎ ঘোষ (Biswajit Ghosh) ট্রেলারটি সবার প্রথম শেয়ার করেন ফেসবুকে।
ভবানী ভবনের পুলিশকর্মীরা বিশ্ববরেণ্য চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়কে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাতে এই ছবিটির পরিকল্পনা করেছিলেন। বহুদিন আগে শ্যুটিং শুরু হলেও নানান বাধাবিপত্তির জেরে কাজ শেষ হয়নি। ‘সাধু ব্রাদার্স এন্টারটেন🐟মেন্ট প্রোডাকশন হাউস’-রয়েছে ছবির প্রযোজনায়। ট্রেলার প্রকাশ্যে আসতেই আলোড়ল সোশ্য়াল মিডিয়ায়। সাদা-কালোয় শ্যুট করা ছবির চার মিনিট ২৭ সেকেন্ডের ট্রেলারে প্রথমেই রয়েছে ট্রেনের ছুটে যাওয়ার দৃশ্য। রয়েছে কাশবন, অপু-দুর্গা, ইন্দির ঠাকুরুণের হেঁটে যাওয়া। ‘পথের পাঁচালি’ তৈরি করতে গিয়ে অর্থকষ্টে পড়েছিলেন সত্যজিৎ রায়, এই ছবি তৈরির ক্ষেত্রেও তেমনটাই ঘটেছে। ‘বিষয় পথের পাঁচালি'তꦜে সত্যজিৎ রায়ের চরিত্রে দেবজিৎ। বিজয়া রায়ের ভূমিকায় পিয়া সেনগুপ্ত।
এই ছবির সত্যজিৎ রায় মান🥂ে দেবজিৎ সাধু জানিয়েছেন ফান্ডিংয়ের সমস্যা তো ছিলই পাশাপাশি সবার সময়বার করাটাও খুব সমস্যার। যেহেতু পুলিশ কর্মীদের এক একজনের ‘ডিউটি শিডিউল’ আলাদা, তাই সবাইকে একসঙ্গে পাওয়াটা চ্যালেঞ্জিং কাজ।
'সিনেমার ভাবনা চুরি'র যে অভিযোগ অনীক দত্তর ছবির বিরুদ্ধে এনেছে ‘বিষয় পথের পাঁচালি’ টিম, সেই নিয়ে ‘অপরাজিত’ পরিচালক জানিয়েছেন, ‘আগে ওঁদের থেকে প্রমাণ চান। আমি যদি অভিযোগ করি গতকাল আপনি কোনও দোকান থেকে চুরি করেছেন, তা হলে আপনি কী বক্তব্য রাখবেন? সেট꧂াই আমার বক্তব্য।’ একই ভাবনায় একাধিক ছবি হতেই পারে, যুক্তি অনীক দত্তের শিবিরের। ক🧜িন্তু ‘মেকিং অফ পথের পাঁচালি’ নির্দিষ্ট একটা থিম বলেই দাবি অনেকের। তাই সেই থিম নকল করেই ছবি তৈরি হয়েছে, এমনটা দাবি করছেন তাঁরা।
এখন দেখবার ‘সাধু ব্রাদার্স এন্টারটেনমেন্ট প্রোডাকশন হাউস’-এর তরফে অনীক দত্ত এবং ‘অপরাজিত’-র প্রযোজকে💯র কাছে ৫০ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ দাবি করে ইতিমধ্যেই আইনি 🤡নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এর জবাব কী আসে এখন সেটাই দেখবার।