আরজি কর কাণ্ডে সরব আম জনতা থেকে তারকা। শুক্রবার আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে শ্যামবাজার মোড়ে ধর্ণায়♎ বসার কথা ছিল গেরুয়🏅া শিবিরের নেতৃত্বদের। অভিযোগ ২ ঘণ্টার প্রতিকী অবস্থানে বসার আগেই গেরুয়া শিবিরের ধর্ণা মঞ্চ ভেঙে দেয় পুলিশ। সেখানেই পৌঁছেছিলেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, রুদ্রনীল ঘোষ-সহ অন্যান্যরা। মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন তাঁরা। তাঁদের সঙ্গে এদিন দীর্ঘক্ষণ পুলিশের সঙ্গে বচসা-ধস্তাধস্তি হয়। এরপর আটক করা হল রুদ্রনীল ঘোষকে।
এদিক পুলিশের প্রিজন ভ্যানে উঠেও ঘটনার প্রতিবাদে সরব হন রুদ্রনীল ঘোষ। তিনি ♉বলেন, ‘প্রথমে ভারতীয় জনতা পার্টির শ্যামবাজার থেকে মঞ্চ ভেঙে দেওয়া হয়। যেভাবে তাঁরা মানুষের আন্দোলনকে, মা বোনেদের আন্দোলনকে আরজি করে দুষ্কৃতী ঢুকিয়ে বন্ধ করার চেষ্টা করে ছিল। মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় বাংলাদেশের ভয় নিজে পেয়ে গিয়েছেন। বলছেন এই বোনটার দাম নাকি ১০ লক্ষ টাকা। আজ ভারতীয় জনতা পার্টির তরফে প্রতিবাদ করা হয়। আর আমরা কালচারাল সেলের তরফে প্রতিবাদে নেমেছিলাম। রাস্তা নাকি জ্যাম হচ্ছে, এই অজুহাতে আমাদের মারধর করে গ্রেফতার করা হল। এই যে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া💮 হচ্ছে। এবার সবাইকে বলব, রাস্তায় নেমে আসতে, এরা কাউকে ছাড়বে না। দলমত নির্বিশেষে, ঝান্ডা ছাড়া, ঝান্ডা নিয়ে রাস্তায় নামুন। এরাঁ খুন করে দেবে সবাইকে।' রুদ্রনীলের সুরে সুর মিলিয়ে ঠিক তখন পাশ থেকে কালচারাল সেলের অন্যান্য সদস্যরাও বললেন, ‘মা বোনেরা রাস্তায় নেমে আসুন…।’
রুদ্রনীল আরও বলেন, ‘যখন একটা মেয়েকে মেরে তথ্য প্রমাণ লোপাট করার চেষ্টা হল, তখন এত পুলিশ রাস্তায় ছিল না। যত পুলিশ মানুষের মুখ বন্ধ করতে রাস্তায় নেমেছে। এত লালবাজারে ওনিয়ে যাচ্ছে। লালবাজারে কত জায়গা আছে? সারা পশ্চিমবঙ্গের মানুষ এবার রাস্তায় নামবে, কতজনকে জেলে পুড়বেন অপদার্থ মুখ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, পুলিশমন্ত্রী? সঙ্গে রয়েছেন বিনীত গোয়েল, এরাঁ প্রমাণ মুছে ফেলার চেষ্টা করেছেন। যাতে CBI-এর খুঁজে পেতে কষ্ট হয়। এরাঁ সকলের মুখ বন্ধ করতে চায়, শুধু আমাদের নয়। তাই আওয়াজ তুলুন, মায়েরা বোনেরা …। ১৪ অগস্ট রাত ১২ বাজার পর বহু মা-বোনেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ বলছে প্রতিবাদ করা ঘুচিয়ে দেব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাস্তা আপনার পৈত্রিক সম্পত্তি নয়। রাস্তায় নামুন, প্রতিবাদ করুন।’
আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে শ্যামবাজার ধর্ণা মঞ্চ খুলে দেওয়ার ঘটনায় সুর চড়িয়েছেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। শ্যামবাজারের পাশাপাশি নাগের বাজারেও ছিল বিজেপির কর্মসূচি। জানা যাচ্ছে, কোচবিহারেও দফায় 🍒দফায় ধর্মঘট ঘিরে পুলিশের সঙ্গে ধর্মঘটীদের ধস্তাধস্তি হয়। এদিকে শিলিগুড়িতে বিজেপি নেতা শঙ্কর ঘোষের নেতৃত্বে চলছে অবস্থান বিক্ষোভ, মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি তুলেছেন তাঁরা।