পশ্চিমবঙ্গে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে সুদীপ্ত সেনের সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি দ্য কেরালা স্টোরিকে। ইতিমধ্যেই অনেকেই গোটা বিষয়ে নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। কেউ কেউ বিরোধিতা করেছেন। কেউ আবার সপক্ষে সওয়াল করেছেন। ছবির প্রযোজক আইনের দ্বারস্থ হয়েছেন এই বিষয়ে। এবার সেন্ট্রাল বোর্ড অব ফিল্ম সার্টিফিকেশনের সদস্য এবং অভিনেতা বাণী ত্রিপাঠী পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানালেন। একটি সাক্ষাৎকারে বাণী বলেন, এটা দর্শকদের উপরেই ছাড়া উচিত। তাঁরা ছবিটা দেখবেন কী দেখবেন না, তাঁদের কেমন লাগছে সেটা তাঁদের উপরেই ছাড়া উচিত। তিনি সরকারের এই পদক্ষেপকে অগণতান্ত্রিক বলেও আখ্যা দ🧔েন।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী🍸 মাননীয়া মমতা বন🦹্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি এই ছবির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন জরুরি ভিত্তিতে। তাঁর মতে এই ছবি উসকানিমূলক, রাজ্যে কোনও রকম অপ্রীতিকর হিংসা বা ঘৃণার ঘটনা যাতে না ঘটে এই ছবিকে কেন্দ্র করে তাই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
সুদীপ্ত সেনের এই ছবিতে দেখানো হয়েছে কীভাবে কেরালার একাধিক মহিলাকে জোর করে🥂 ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে এবং পরে তাঁদের আইসিস দলে নিয়োগ করা হয়েছে।
নিউজ 🃏১৮-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বাণী জানান, 'উনি দর্শকদের গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করছেন। আর এটা কিন্তু প্রকারান্তরে ছবির ভাগ্য নির্ধারণ করছে। উনি সেটা করতে পারেন না। আমিও সেটা করতে পারি না। এমনকি এই ছবির প্রযোজকও সেটা পারেন না। এটা একমাত্র ঠিক করতে পারেন দর্শকরা। তাঁরাই বলতে পারবেন চিত্রপরিচালক এই ছবির মাধ্যমে যেটা দেখাতে বা বোঝাতে চেয়েছেন সেটা তাঁদের কাছ পর্যন্ত পৌঁছেছে কিনা।'
তিনি আরও বলেন, 'সব ছবি আপনার চোখে জল আনবে এমনটা নয়। কিছু ভীষণ কঠিন সত্যকে সামনে আনে। কিন্তু ওই, দিনশেষে আমরা একটা ছবিকে কেবল মাত্র সার্টিফাই করতে পারি। সেটাই এই দেশের গণতান্ত্রিক নিয়ম মতে একমাত্র পথ। এখন সেটাও যদি এভাবে বিঘ্নিত হতে থাকে তাহলে ঈশ্বᩚᩚᩚᩚᩚᩚ✨ᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚরই জানেন বাকিটা।'
তামিল নাড়ুর একাধিক সিঙ্গে স্ক্রিন থেকে এই ছবিকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। যদিও কারণ হিসেবে বলা হয়েছে তেমꦉন দর্শক হচ্ছে না।
এই ছবিটি গত�🙈� ৫ মে মুক্তি পেয়েছে। এই ছবিটি রীতিমত দেশে রাজনৈতিক ঝড় তুলে দিয়েছে। এই ছবিতে আদা শর্মাকে দেখা যাচ্ছে। ছবিটির প্রযোজনা করেছেন বিপুল অমৃতলাল শাহর সানসাইন পিকচার্স।