‘আদিপুরুষ’ ইস্য়ুতে প্রশ্নের মুখে পড়েছে সেন্সর বোর্ড। ফের বিতর্কে সিবিএফসি। এবার প্রসঙ্গ শিখ যশবন্ত সিং খালরার বায়োপিক। যেখানে নামভূমিকায় অভিনয় করছেন দিলজিৎ দোসাঞ্জ। জানা যাচ্ছে ছবির নাম ‘গাল্লুঘরা’, যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেননি নির্মাতারা। সূত্রের খবর এই ছবি সেন্সর বোর্ডে পাঠানো হলে ২১টি দৃশ্য ছাঁটাইয়ের নির্দেশ দিয়েছে সেন্সর বোর্ড, তারꦚপর মিলবে ‘এ’ সার্টিফিকেট।
হানি তেহরান পরিচালিত এই ছবি শিখ মানবাধিকার কর্মী যশবন্ত সি෴ং খালরার জীবন অবলম্বনে তৈরি হয়েছে। ৯০-এর দশকের উত্তাল আর হিংসায় মোড়া পঞ্জাব এই ছবির প্রেক্ষাপট।
খবর, সিবিএফসি-র তরফে ছবির নির্মাতা RSVP ফিল্মসকে ছবিতে ২১টি দৃশ্যে পরিবর্তন আনার কথা বলে হয়েছে। ছবির একাধিক অংশ এবং সংলাপকে বাদ দেওয়ার কথা জানায় সেন্সর বোর্ড। তাঁদের মতে, ছবির এই সকল দৃশ্য উস্কানিমূলক এবং সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়াতে পারে। শুধু তাই নয় দেশের সংহতি ও ঐক্যেরও পরিপন্থী হতে পারে এই ছবি, ভারতের🐼 সঙ্গে অন্য দেশে༺র সম্পর্কে প্রভাব ফেলতে পারে।
এখনও আনুষ্ঠানিক ভা𝓰বে প্রযোজনা সংস্থা আরএসভিপি ফিল্মস এই ছবি ঘোষণা করেনি। তবে ছবি সম্পূর্ণরূপে তৈরি। ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে ছবির সার্টিফিকেশনের জন্য সেন্সর বোর্ডে জমা দিয়েছিল নির্মাতারা। সেন্সর বোর্ড এই ছবিকে সার্টিফিকেট দেয়নি, তা পাঠানো হয় রিভিউ কমিটিতে। এবার জানা যাচ্ছে, এই ছবি নিয়ে🌠 বম্বে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন নির্মাতা রনি স্ক্রুওয়ালা। সিনেমাটোগ্রাফ আইনের ৫সি ধারা এবং সংবিধানের ১৯/১ (এ) ধারায় বম্বে হাইকোর্টে পিটিশন জমা দেন নির্মাতারা। আগামী ১৪ই জুলাই বম্বে হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি।
১৯৮৪ সালের ১ জুন ইন্দিরা গান্ধী পাঞ্জাবকে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেন। এর কোড ওয়ার্ড রাখা হয় ‘অপারেশন ব্লু স্টার’। সেই হিংসার আগুন ঠাণ্ডা হওয়ার আগেই অক্টোবর মাসে হত্যা করা হয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে। শিখ বিরোধী দাঙ্গার আগুন জ্বলে ওঠে। সন্ত্রাসবাদী সন্দেহে যে কোনও মানুষকে গ্রেফতার করার ক্ষমতা তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে। অভিযোগ ছিল অসংখ্য নিরস্ত্র মানুষকে গুলি করে হত্যা করে পুলিশ, গায়েব করে দেওয়া হয় লাশ। পঞ্জাবে জারি সেই জরুরি অবস্থার সময় একটি ব্য়াঙ্কের ডিরেক্টর ছিলেন খালরা। পঞ্জাব পুলিশের বিরুদ্ধে নিরীহ মানুষ খুনের অভিযোগ আনেন খালরা, সেই নিয়ে একটি তদন্ত রিপোর্ট পর্যন্ত তৈরি করেছিলেন এই মানবাধিকার কর্মী। যার জেরে সারা বিশ্বে নিন্দার ঝড় ওঠে। শেষে সিবিআইয়ের হাতে যায় তদন্ত ভার। কেন্দ্রীয় সংসꦓ্থা রিপোর্টে জানায়, পঞ্জাব পুলিশের তরফে ২০৯৭ জনকে বেআইনিভাবে সমাধিস্থ করা হয়েছে শুধুমাত্র রাজ্যের ত্রান তারান✤ জেলায়। সুপ্রিম কোর্ট অফ ইন্ডিয়া এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশন পর্যন্ত মান্যতা দিয়েছিল।
পরবর্তীকালে ১৯৯৫ সালে ৬ই সেপ্টেম্বর গায়েব হয়ে যান এই মানবাধিকার কর্মী। তাঁর স্ত্রী পরমজিৎ কৌরের অভিযোগের ভিত্তিতে 🍬কিডন্যাপিং ও খুনের মামলা রুজু হয়। সিবিআইয়ের তদন্তে উঠে আসে চার পুলিশ কর্মীর নাম। খালরাকে খুনের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হন চার পুলিশ কর্মী, ২০০৭ সালে পঞ্জাব-হরিয়ানার আদালত তাদের আজীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে।