সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর কেটে গিয়েছে তিন মাস।🗹 এই মামলাকে মুম্বই পুলিশ নিছক আত্মহত্যার ঘটনা বলে উড়িয়ে দিলেও সেই তত্ত্ব মেনে নিতে চায়নি গোটা বিশ্বের সুশান্ত ভক্তরা। শুরু থেকেই এই মৃত্যু নিয়ে তাঁদের মনে একটা খটকা ছিল। ১৪ জুন সুশান্তের বান্দ্রার অ্যাপার্টমেন্ট থেকে উদ্ধার হয় অভিনেতার দেহ। আপতত দেশের তিনটি প্রধান তদন্তকারী সংস্থা-সিবিআই,ইডি এবং নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো এই মামলার তদন্ত করছে।
সিবিআইয়ের মেডিক্যাল টিমের তরফে সুশান্তের মৃত্যুর যে ফরেনসিক রিপোর্ট তৈরি হচ্ছে তা হতে চলেছে ‘নিঃসন্দিগ্ধ’। টাইমস নাওয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে সেই রিপোর্টে কোনও সন্দেহের অবকাশ থাকবে না। সুশান্তের মৃত্যুর তদন্তের জন্য এইমসের ফরেসনিক বিভাগের প্রধান সুধীর গুপ্তার নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি মেডিক্যাল টিম গঠন করেছিল সিবিআই। তাঁরাই সুশান্তের মৃত্যু সুইসাইড না হোমিসাইড তা নিয়ে চূড়ান্ত রায় দেবে। তাই সুশান্ত আত্মহত্যা করেছেন নাকি এই মৃত্যুতে কোনও ফাউল প্লে রয়েছে তা আগামী কয়েকদিনেই পরিষ্কার হয়ে যাবে।জানা যাচ্ছে আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর ফরেসনিক টিম একটি বৈঠক রয়েছে।
‘আমরা মহারাষ্ট্র থেকে সুশান্ত কেসের বিভিন্ন নথিপত্র পেয়েছি, রিপোর্ট আসতে কয়েকদিন সময় লাগবে। কিছু কাগজ মরাঠিতে রয়েছে সেগুলো অনুবাদ করতে হবে। মেডিক্যাল বোর্ডের ১৭ তারিখ একটি বৈঠক রয়েছে এবং তারপরেই রিপোর্ট সামনে আসবে। সুশান্ত মামলার তদন্ত যুক্ত সকল এজেন্সির সঙ্গে একটি বৈঠক হওয়ার সমඣ্ভাবনা রয়েছে, যাতে ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত ফরেনসিক রিপোর্ট ও মত জমা দেওয়া যায়’, জানালেন সুশান্তের ভিসেরা রিপোর্ট তৈরিতে নিযুক্ত এক 𒁃চিকিত্সক।
সুশান্তের ভিসেরা রিপোর্টে পরীক্ষা করা হবে অ্যাম্ফিটামিনস, ক্যানাব♏িস, ওপিয়ডস, কো♋কেন, হিরোইনের মতো নিষিদ্ধ মাদকের উপস্থিতি সুশান্তের শরীরে ছিল কিনা।
ভিসেরা হল শরীরের ভিতরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের নমুনা যা মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখতে পরীক্ষা করে থাকেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। শরীরের ভিতর কোনও বিষ কিংবা ড্রাগস ꦺছিল কিনা তা নিশ্চিত করে এই রিপোর্ট।
মুম্বইয়ের কালিনা ল্যাবে সুশান্তের ভিসেরা রিপোর্ট তৈরি হয়েছিল।তবে নতুন করে তৈরি করা হচ্ছে সুশান্তের ভিসেরা রিপোর্ট। সুশান্তের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন তুলেছিলেন এইমসের ফরেনসিক🌃 বিশেষজ্ঞরা। সুশান্তের অটোপসি রিপোর্টে মৃত্যুর সম্ভাব্য সময়ের কোনও উল্লেখ ছিল না থাকাটা আবশ্যিক। এছাড়াও সুশান্তের গলায় 'লিগেচার মার্ক' নিয়েও কিছু প্রশ্ন দেখা গিয়েছিল- সেই সব কিছু খতিয়ে দেখেছে সিবিআইয়ের ফরেনসিক টিম। তাঁরা দিল্লি থেকে মু্ম্বই উড়ে গিয়ে কথা বলেছেন সুশান্তের ময়নাতদন্তেᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚ অংশ নেওয়া পাঁচ চিকিত্সকের সঙ্গে। ময়নাতদন্তের ভিডিয়ো ফুটেজ খতিয়ে দেখেছেন তাঁরা।
মুম্বই পুলিশের তরফে জানানো হয়েছিল সুশান্তেরꦜ ময়না তদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্টে কুপার হাসপাতালের পাঁচ চিকিত্সক জান🍎িয়েছেন ‘ঝুলে পড়বার কারণে শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু’ হয়েছে সুশান্তের।