সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগ জয়ের ঘোর কিছুতেই কাটছে ᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚনা যিশু সেনগুপ্তর। গত রবিবার তিরুবনন্তপুরমে শক্তিশালী কর্নাটক বুলডোজারকে ১২ রানে হার⛦িয়ে ১০ বছরে প্রথমবার ট্রফি জেতে বেঙ্গল টাইগার্স। তারপর থেকেই স্বপ্নের জগতে ক্যা্প্টেন যিশু সেনগুপ্ত-সহ গোটা দল। যিশু নিজের মুখে বলেছেন, ‘অস্কার জিতলেও আমি এত খুশি হতাম না’।
ট্রফি জিতে অঝোরে কেঁদেছিলেন তবে শনিবার যিশু সেনগুপ্তর মুখে চাওড়া হাসি। সিসিএলের ট্রফি জেতায় বেঙ্গল টাইগার্সদের চায়ের আড্ডায় ডেকেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন নিজের হাতে টিমকে সংবর্ধনা꧒ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। উপস্থিত ছিলেন ক্রไীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও। মমতার কালীঘাটের বাড়িতে পৌঁছেছিলেন যিশু, রাহুল, জ্যামি, বনি, সৌরভরা।
যিশুর সৈনিকদের দেখে অবাক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুরুতেই দিদির পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করলেন যিশু। খানিক এগোতেই হরগৌরীর শঙ্করের দেখা পেলেন মমতা। অবাক স্বরে প্রশ্ন করেন, ‘তুমি খেলেছো?’ রাহুলের জবাব, ‘দিদি আমি ম্যান অফ দ্য সিরিজ’। সেকথা শুনেই হয়রান মুখ্যমন্ত্রী। এরপর একে একে নিজে🌜র টিম মেম্বারদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলেন যিশু। পরিচিতপর্ব মিটতে যিশুর হাতে ফুলের তোড়া তুলে দেন মমতা।
অন্যদিকে সিসিএলের সোনালি ট্রফি মমতার হাতে তুলে দেন বেঙ্গল টাইগার্সের অধিনায়ক। এই ট্রফির রেপ্লিকা আলিপুর মিউজিয়ামে রাখার কথা জানান দিদি। বাংলার ঐতিহ্যবাহী তাঁতের স্টোল দিয়ে খিলা🌊ড়িদের সংবর্ধনা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী, তুলে দিলেন ফুলের তোড়া। খোঁজ নিলেন ফাইনাল ম্যাচের বিরোধী দল সম্পর্কে।
এখানেই শেষ নয়, পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে দিদির সামনে আবদার রাখলেন যিশু। বললেন, ‘আমাদের এবার ইডেন গার্ডেন চাই। দিদি সব দল স্টেটের মাঠ পায়, আমরা পাইনি’। ওমনি অরূপ বিশ্বাসকে তলব করেন মমতা। এরপর জানান, ‘তোমরা জিতেছো এটা তো তোমাদের প্রাপ্য। নিশ্চয় ইডেন গার্ডেন পাবে’। আগামী বছর জানুয়ারিতে বসবে সিসিএলের নতুন সিজন। প্রথম ম্যাচে বিজয়🌞ী বেঙ্গল টাইগার্সের মুখোমুখি হবে সোহেল খানের মুম্বই হিরোস।
ইডেনে সেই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হোক, মনেপ্রাণে চাইছেন যিশুরা। সম্মতি দেন মমতা। স্বভাবতই মুখে চওড়া হাসি গোটা টিমের। ‘আন্ডারডগ’ হিসাবেই এই টুর্নামেন্ট শুরু করেছিল বাংলা। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে মুম্বইকে হারানোর পর ফাইনালে কর্নাটকের মুখোমুখি 🧔হয় দল। গত রবিবারের আগে পর্যন্ত সিসিএলের ইতিহাসে কোনওদিন শক্তিশালী কর্নাটককে হারাতে পারেনি বেঙ্গল টাইগার্স। জয়ের পর হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে ম্যান অফ দ্য সিরিজ রাহুল মজুমদার জানিয়েছিলেন, ‘লোকজন ভাবত বেঙ্গল টাইগার্সের সঙ্গে খেলা মানেই ২ পয়েন্ট। ওরা খেলতে পারে না, আমাদের সেই নজরে দেখত সবাই। সেখান থেকে ঘুরে গিয়ে চ্যাম্পিয়ান হওয়া…সব থেকে বড় কথা সিসিএলের ইতিহাসে আমরা প্রথমবার কর্নাটককে হারালাম, সেটা স্বপ্নপূরণ বলতে পারো’।