যত দিন যাচ্ছে চারু আসোপা আর রাজীব সেনের ডিভোর্সের কেস ততই যেন নাটকীয় মোড় নিচ্ছে। বছরের মাঝামাঝি দুজনেই জানিয়েছিলেন একে-অপরের থেকে বিচ্ছেদ চান। এরপর হঠাৎই সিদ্ধান্ত বদল হয়। সেপ্টেম্বরে তাঁরা জানান, অনেক ভেবে ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন। একে-অপরকে,ಞ নিজেদের বিয়েকে আরেকটা সুযোগ দিতে চান।
তবে সেই সিদ্ধান্ত মাসখানেকও টিকল না। ফের তাঁদের দ্বন্দ্ব এল প্রকাশ্যে। রাজীব চারুকে ব্লক করেছেন। চারু বরের সঙ্গে সব ছবি মুছে ফেলেছে𒈔ন। আর এবার আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্তে বদ্ধপরিকর অভিনেত্রী। সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে করলেন বিস্ফোরক দাবিও। জানালেন বিয়ের পর থেকে একাধিকবার অপব্যবহার সহ্য করতে হয়েছে তাঁকে।
The Times of India-কে চারু জানান, ‘ ওটা (ডিভোর্স স্থগিত রাখা) আমার জীবনের সবথেকে ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। এই বিয়ে যদি আরও টেনে নিয়ে যাই তাহলে আরও খারাপ হবে তা। আর এটা জিয়ানার জন্য সবচেয়ে বাজে হবে। আমি যখন ওর সব কাণ্ড আমার পরিবারকে বললমা তখন আমাকে ওরা সবাই বলেছে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়ে আমি 😼একেবারে ঠিক করেছি। আমি ইতিমধ্যেই একটা ঘরভাড়া নিয়ে ফেলেছি। মুম্বইতে ফিরে আমি সোজা সেখানেই যাব। ডিভোর্সের সব স্টেপ আবার চালু করব, আশা করি রাজীব আমার সঙ্গে সহযোগিতা করবে কোনও ঝামেলা না করে। এর আগেরবারও আমি কোনও ভরণপোষণ দাবি করিনি। তবে এই বিয়েটা আমি আর টেনে নিয়ে যেতে চাই না। এতিমধ্যেই জীবনের সাড়ে তিন বছর নষ্ট করে ফেলেছি আমি।’
চারু আরও জানান বিয়ের পর থেকেই ঝামেলা করে যাচ্ছেন তিনি আর রাজীব। সুস্মিতার ভাই নাকি বহুবার মাসখানেকের জন্য গায়েব হয়ে গিয়েছেন, সব রকমের জায়গা থেকে ব্লক করে দিয়েছেন। ফলে কোনও যোগাযোগ করাই সম্ভব হত না। ‘করোনার লকডাউনের আগের দিন ও আমায় ছেড়ে চলে গিয়েছিল। তিনটে মাস আমি একা ছিলাম। সবথেকে শেষ বারও ও আমায় ছেড়ে দিয়ে দু দিন হোটেলে গিয়ে থেকেছে। আমি বুঝলাম ওর বয়স ৪৫, আমার পক্ষে ওকে বদলানো সম্ভব নয় এই বয়সে। আমাদের মধ্যে একাধিক ইস্যু রয়েছে, তা ঠিক ক𝓡রার চেষ্টা করে আমি ব্যর্থ হয়েছি। মেয়ে জিয়ানার কথা ভেবেই আমি এটা করার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তা হল না। রাজীব একটুতেই রেগে যায়, আমার গায়ে দুবার হাতও তুলেছে। ও সন্দেহ করত আমি ওকে ঠকাচ্ছি। আমি যখন আকবর কা বাল বীরবলের শ্যুট করছিলাম তখন ও আমার সহ-অভিনেতাদের ম্যাসেজ পাঠাত আমার থেকে দূরে থাকতে। আমার পক্ষে কাজটা করাই মুশকিলের হয়ে পড়েছিল। আমার তো মনে হয় ও আমাকে ঠকাত। যদিও আমার কাছে কোনও প্রমাণ নেই।’
চারুর এই দাবি নাকচ করেছেন রাজীব। বরং তাঁর দাবি দুজনের এটা দেখা উচিত কীভাবে তাঁদের মেয়ে, ছোট্ট জিয়ানাকে𝔍 ডেঙ্গু থেকে সারিয়ে তোলা। দরকারে জিয়ানার পাশে না থাকাও ‘ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। বরং তাঁর দাবি, চারু না বলেই মেয়েকে নিয়ে মুম্বই চলে গিয়েছে। আর এই বিয়ে না টে𓆉কার জন্য তাঁরা দুজনেই দায়ি বলে দাবি করেন সুস্মিতার ভাই। সঙ্গে জানান, চারু ভরণপোষণ না নিলেও তিনি মেয়ের আর্থিক খরচের ভার নিতে চান।