মেদ ঝরাতে প্লাস্টিক সার্জারি করবার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ২১ বছরের কন্নড় অভিনেত্রী চেতনা রাজ (Chethana Raj)। সেই প্লাস্টিক সার্জারিই কাল হল তাঁর জীবনের! অপারেশনের কয়েক মূহূর্তের মধ্যেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন চেতনা। অপারেশনের সময় গণ্ডোগোলের জেরেই তাঁর ফুসফুসে জল জমে এমনটা ঘটেছে বলে অভিযোগ। এর মাঝেই সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। যে সেন্টার ‘ফ্যাট ফ্রি’ সার্জারি করিয়েছিলেন চেতনা, বেঙ্গালুরুর সেই শেট্টিস কসমেটিক সেন্টারেꦫ (Shetty's Cosmetic Centre)-এর প্রয়োজনীয় 🥂লাইসেন্সই নেই!
কোনও অনুমতি ছাড়াই বেআইনিভাবে চেতনার সার্জারি করা হয়েছে সেখানে। জেলা স্বাস্থ্য আধিকার🌟িক সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে জানিয়েছেন, কসমেটিক সেন্টারের কাছে ফ্যাট লস সার্জারি করবার মতো কোনওরকম লাইলেন্স নেই। একটি পলিক্লিনিক এবং ডিসপেনসারি চালানোর ছাড়পত্র রয়েছে, তবে সার্জারি করবার নয়'। এই মামলায় লিখিত জবাব দিতে হবে ওই সেন্টার কর্তৃপক্ষকে। উপযুক্ত জবাব দি🔥তে না পারলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে'।
চেতনা রাজের পরিবারের অভিযোগ ওই সেন্টারের গাফিলতির জেরেই মৃত্যু হয়েছে তাঁদের মেয়ের। গত ১৬ই মে (সো🐷মবার) শেট্টিস কসমেটিক সেন্টারে মেদ ঝরানোর জন্য সার্জারি হয় চেতনার, এরপর তাঁর পরিস্থিতি বিগড়ে গেলে নিকটবর্তী এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ৪৫ মিনিট ধরে সেখানকার চিকিৎসকরা CPR দিলেও কোনওরকম কাজ হয়নি, এরপর চেতনাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
শরীর থেকে বাড়তি ওজন ঝেরে ফেলতে সার্জারি করাতে চলেছে চেতনা, এই ব্যাপারে কিছুই জানতেন না তাঁর বাবা-মা। সোমবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ বন্ধুদের সঙ্গে গিয়ে ওই সেন্টারে ভর্তি হন অভিনেত্রী। অপারেশন শুরু হয়ে যাওয়ার পর খব💦র পেয়ে সেখানে পৌঁছান চেতনার বাবা-মা। শুরুতে জানানো হয় মাত্র ২ ঘন্টা লাগবে গোটা প্রক্রিয়া শেষ করতে। তবে শেষমেষ ৫টা নাগাদ ওই সার্জারি শেষ হয়। মিনিটখানেকের মধ্যেই শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল চেতনার। এরপর তাঁকে নিয়ে অন্য হাসপাতালে যাওয়া হয়।
‘যদি ওই কসমেটিক হাসপাতালে উপযুক্ত সুবিধা থাকত, যদি আইসিইউ থাকত তাহলে মেয়েটা বেঁচে যেত। দীর্ঘসময় অপেꦰক্ষা, তারপর অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া- এর জেরেই আমার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে’, জানান চেতনার বাবা ভারাদারাজু।
‘গীতা’, ‘দোরেসানি’ ধারাবাহিকে অভিনয়ের সুবাদে অল্প বয়সেই জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন চেতনা। তাঁর অকাল মৃত্যু এখনও মেনে নিতে প🌟ারছে না অনুরাগীরা।