শেষ সময়ে স্বামীর পাশে থাকতে পারেননি মুনমুন সেন! মঙ্গলবার সকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আচমকাই প্রয়াত হন ভরত দেব বর্মা। সেইসময় বাড়িতে ছিলেন না মুনমুন সেন বা বড়মেয়ে রাইমা। দুজনেই কাজের সূত্রে শহরের বাইরে। আরও পড়ুন-হৃদরোগে আক্রান্ত ✅হয়ে মৃতꦦ্যু মুনমুন সেনের স্বামীর! বাবাকে হারালেন রিয়া-রাইমা
এদিন ভরত দেব বর্মার মৃত্যুর খবর পেয়েই ছুটে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন তিনি। মুনমুন সেন শুধু তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ নন, মমতার সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্ক তাঁর। এদিন সংবাদমাধ্যমকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, মুনমুন সেন দিল্লিতে। দুপুর তিনটে নাগাদ তিনি কলকাতায় ফিরবেন। এয়ারপোর্টে মুনমুন সেন পা দিলেই গ্রিন করিডোর করে তাঁকে নিয়ে আসা হবে বালিগঞ্জের বাড়িতে। তারপরই শেষকৃত্য নিয়ে সিদ্ধান্ত নেও꧒য়া হবে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মুনমুন দিল্লিতে, রাইমাও দিল্লিতে। এখানে রিয়া আছে। ওদের বন্ধুরা আছে। আমার সঙ্গে মুনমুনের কথা হয়েছে। ও বেচারা জানতো না। হয়ত প্রেসের মাধ্যমেওই খবরটা পেয়েছে। ভরত আমাকে খুব ভালোবাসতো। এটা বিরাট ক্ষতি, হঠৎ করেই মারা গেছে। আমি নিজের একজন শুভাকাঙ্খী, একজন আত্মীয়কে হারালাম।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমি লোকাল কাউন্সিলরদের রেখে গেলাম। মালা রায় এবং দেবাশিস কুমারকেও খবর দিয়েছি। মুনমুন এলে ওকে গ্রিন করিডোর করে নিয়ে আসা হবে। আমি ফোনে 🥃ওর সঙ্গে কথা বলব ফের। আর তো কিছু করার নেই, শেষকৃত্য় ছাড়া। হঠাৎ করেই চলে গেল, বেশি বয়সও তো হয়নি’। আফসোসের সুরে বলেন, ‘পরশু দিনও পার্টি করেছে। এমন কিছু অসুস্থ ছিলেন না। এখন শীতকাল আসছে তো হঠাৎ করেই স্ট্রোকটা বা হার্ট অ্যাটাকটা হয়ে যায়’।
পরিবার সূত্রে খবর ভরত দেব বর্মা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে শরীরে অস্বস্তিবোধ ক꧟রলে খবর যায় হাসপাতালে, অ্যাম্বুলেন্স এসে পৌঁছানোর আগেই সব শেষ। তাঁর বয়স হয়েছিল (অনু🐟মানিক) ৮৩ বছর।
এদিন সেন পরিবারের সঙ্গে নিজের দীর্ঘ সম্পর্কের কথা জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘সুচিত্রা দেবী দীর্ঘ ৩০ বছর কারুর সঙ্গে দেখা করেননি। আমার সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছ প্রকাশ করেছিলেন। তারপর আমি বারবার বেলেভিউতে ছুটে গেছি। ওঁনার ♚ইচ্ছেমতোই ওঁনার মরদেহ কারুকে দেখতে দেওয়া হয়নি।…. মুনমুনের সঙ্গে তো অনেকদিনের সম্পর্ক। ও তো আমার এমপি ছিল। কিন্তু শুধু এমপি বলে নয়, পারিবারিক সূত্রে ওর সঙ্গে আজও সম্পর্ক ভালো আছে’।
১৯৭৮ সালের ২৪শে ফেব্রুয়ারি সাতপাকে বাঁধা পড়েছিলেন মুনমুন সেন ও ত্রিপুরার রাজপরিবারের ছেলে ভরত দেব ভর্মা। ৪৬ বছরের দাম্পত্যে এদিন ইতি পড়ল। তাঁদের দুই কন্যা রাইমা সেন ও রিয়া সেন, অভিনয় জগতের জনপ্রিয় মুখ।