পণ্ডিত ভীমসেন জোশী তাঁকে দেখে বলেছিলেন বলেছিলেন, ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ভবিষ্যত সুরক্ষিত। মাত্র ৫৫ বছর বয়সেই সুরালোকে পাড়ি দিলেন ভারতীয় ধ্রুপদী সঙ্গীতের গুণী ছাত্র উস্তাদ রাশিদ খান। বছরের শুরুতেই ইন্দ্রপতন সঙ্গীতজগতে। আরও পড়ুন-‘আয়োগে জব তুম’-এর সুরে বসল যতি, মাত্র ৫৬ বছরেই থামল উস্তাদ রাশিদ খানের কণ্🅰ঠ
দীর্ঘদিন ধরেই প্রস্টেট ক্যানসারে আক্রানဣ্ত ছিলেন সঙ্গীতশিল্পী। এরপর নভেম্বরে আচমকাই🍎 ব্রেন স্ট্রোকের শিকার হন শিল্পী। গত ২২শে নভেম্বর থেকে ভর্তি ছিলেন পিয়ারলেস হাসপাতালে। মঙ্গলবার দুপুর ৩.৪৫ মিনিটে থামল লড়াই। ‘আপনজন’ রাশিদ খানের মৃত্যুর খবর পেয়েই সব কাজ ফেলে হাসপাতালে ছুটে আসেন মুুখ্যমন্ত্রী। এদিন শিল্পীর পরিবারকে সান্ত্বনা দিলেন দিদি, রইল পাশে থাকার বার্তাও।
রাশিদ খানকে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে গলা ধরে এল মমতার। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে দিদি বলেন, ‘এত অল্প বয়সে চলে গেল। ওকে ইউকে পাঠিয়েছিলাম চিকিৎসার জন্য। ওকে তো বঙ্গভূষণ দেওয়া হয়েছে। স্পেশ্যাল কেস। এক্সপেনডেচারের কথা…আমরা চেষ্টা করেছিলাম বাঁচ𝓡ানোর।’ ব্যক্তিগত স্তরে রাশিদ খানের সঙ্গে নিজের মজবুত সম্পর্কের কথাও এদিন তুলে 🅠ধরেন মমতা। জানালেন, ‘ওর সঙ্গে আমার ভীষণ ভালো সম্পর্ক। ফোনে ভয়েস মেসেজ পাঠাতো, রাখা আছে সে-সব। বলত,দিদি একবার বাড়িতে আসো। হাসপাতাল থেকেও পাঠাতো। আমি বলেছিলাম চিন্তার কারণ নেই…’।
🐼মুখ্যমন্ত্রী যোগ করেন, ‘দু-তিন বছর ধরেꦡ চিকিৎসাটা আমরাই করেছি। শুনলাম কাল রাত অবধি গল্প করেছে। মাথায় কিছু একটা অ্যাটাক হয়েছিল….ইন্দ্রনীল-অরূপরা খবর দিতেই দৌড়ে চলে এলাম।’
বছরের শুরুটাই হল রাশিদ খানের মৃত্যু দিয়ে। আক্ষেপ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘শুরুই হল বেদনাদায়ক মৃত্যু দিয়ে, মৃত্যু তো বলে আসে না। আমি ওকে জোর করে গান গাওয়াতাম। ছেলেটাকে তৈরি করেছে ভালো। পরিবারটাকে হেলপ করতে হবে। আমি আছি। বাবা নেই, কিন্তু অভিভাবক হ💧িসাবে আমি থাকব। যতটা পাবার, আমার আপনজন, সুহৃদ হারিয়ে গেল। সবসময় বলতো জানো- দিদি তুমি কেমন আছো? ওর মিষ্টি গলাটা শুনতে পাব না! কী সুর, কী তান, অভাবনীয়। সঙ্গীত জগতের তো বটেই, মানবিক মানুষ হিসাবেও একজনকে হারালাম। এত অল্প বয়সে চলে যাওয়ার কথা ছিল না। দেড় মাস ধরে রাইস টিউব চলছে। চেহারাটা ভেঙে গিয়েছে। রাশিদ খানকে চেনা যাচ্ছে না…’𝐆।
গান স্যালুট দেওয়া হবে প্রয়াত শিল্পীকে, পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় আগামিকাল (বুধবার) হবে শেষকৃ্ত্য। জানান মুখ্যমন্ত্রী। মমতার জা꧑নিয়েছেন, মঙ্গলবার পিস হেভেনে রাখা থাকবে দেহ, বুধবার সাকলে রবীন্দ্রসদনে শায়িত থাকবে শিল্পীর দেহ। সেখানেই শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন তাঁর গুণমুগ্ধরা। তারপর নিয়ে যাওয়া হবে নাকতলার বাড়িতে। সেখান থেকে টলিগঞ্জ মাজারে গোরস্থ করা হবে উস্তাদ রাশিদ খাꦅনকে।