করোনা এবং ওমিক্রনের জোড়া ফলায় বিদ্ধ রাজ্য। সোমবার (আগামিকাল) থেকে পশ্চিমবঙ্গে জারি হচ্ছে করোনা সংক্রান্ত একাধিক বিধিনিষেধ। লাগামছাড়া করোনা সংক্রমণ রুখতে একাধিক ব্যবস্থা রাজ্যের। রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করছেন মুখ্যসচিব হরিকৃ্ষ্ণ দ্বিবেদী। 🧔সেখানেই তিনি ঘোষণা করেন আগামিকাল থেকে রাজ্য সরকার কোন কোন বিষয়ের উপর কড়াকড়ি আরোপ করছে।
স্বস্তির কথা পুরোপুরি বন্ধ করা হচ্ছে না সিনেমা হল। তবে করোনার জেরে ফের বড় ধাক্কা বিনোদন ইন্ডাস্ট্রির কাছে। টনিকের হাত ধরে সবে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই শুরু করেছিল টলিগঞ্জ, এর মাঝেই সরকারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ দর্শক নিয়ে খোলা রাখা যাবে সিনেমা হল। এর আগে অক্টোবরেই দর্শকাসন বৃদ্ধির অনুমতি দিয়েছিল রাজ্য সরকার। শুধু দর্শকাসন কমিয়ে দেওয়া হয়েছে তা নয়, শো সংখ্যাও কমবে সিনেমা হল গুলির। রাতে নাইট কার্ফু জারি হবে, সর্বোচ্চ রাত ১০ অবধি খোলা রাখা যাব💝ে হল। তাই সন্ধ্যা ৭টার পর সেভাবে কোনও শো চালাতে পারবে না হল মালিকরা। রাতের সব সো বাতিল করতে হবে।
নতুন করে কোভিড সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার দিল্লিসহ দেশের বেশ কিছু রাজ্যে সিনেমা হল আগেই বন্ধ করা হয়েছে। এর জেরে ‘বাধ্য হয়ে’ মুক্তি স্থগিত রাখা হয়েছে ‘জার্সি’, ‘ আরআরআর’-এর। এবার অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে নতুন বছরের শুরুতেই মুক্তি পেতে চলা দুই বহু্প্রতীক্ষিত বাংলা ছবিকে ঘিরে। ২১ জানুয়ারি মুক্তি পাওয়ার কথা,♓ ‘ধর্মযুদ্ধ’ ও ‘স্বস্তিক সংকেত’, ৪ঠা ফেব্রুয়ারি মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে ‘কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তন’। এই সব ছবির মুক্তিও কি পিছিয়ে যাবে? উঠছে প্রশ্ন।
৫০ শতাংশ দর্শক ౠনিয়ে হল খোলা রাখবার সময় করোনা সংক্রা্ত সব নির্দেশ মানতে হবে। মাস্কে মুখ ঢেকেই হলে প্রবেশ করতে পারবে দর্শক। স্যানিটাইজেশনের সবরমক ব্যবস্থা করতে হবে। কোভিড প্রোটোকল যেন কোনওভাবেই লঙ্ঘন না করা হয় সে ব্যাপারে অধিক গুরুত্ব আরোপ করতে বলা হয়েছে। আগামি ১৫ জানুয়ারি অবধি এই বিধিনিষেধ লাগু থাকবে, এরপর পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার।