বিধানসভার পর লোকসভা ভোটেও হারের ধাক্কা! তবে হাসিমুখেই পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছেন শ্রীরামপুরের ‘হেরো’ বামপ্রার্থী দীপ্সিতা ধর। বাংলার বাম রাজনীতির অন্যতম মুখ তিনি। আশুতোষ কলেজ থেকে জেএনইউ, আর সেখান থেকে বাম রাজনীতির অন্যতম মুখ হয়ে উঠেন ‘কমরেড’ দীপ্সিতা ধর। ভোট প্রচারে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বিয়ে নিয়ে ‘খোঁচা’ শুনতে হয়েছে। অবশেষে নিজের বিয়ে নিয়ে মুখ খুললেন দীপ্সিতা। আরও পড়ুন-‘বাড়ির লোক চায় না আমি বিয়ে করি', 🐻শোভন-সোহিনীর বিয়ে নিয়ে কী বললেন ‘বোনু’ 🅷দীপ্সিতা
দীপ্সিতার পুরুষ অনুরাগীর সংখ্যা কম নয়। দাদা শোভন গঙ্গোপাধ্যায় সামনের মাসেই বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন। তিনিও কি খুব শিগগির বিয়ে করছেন? প্রশ্ন শুনে কী বললেন বামেদের এই তরুণ মুখ। তিনি সম্পর্কে রয়েছেন, লাখো পুরুষ হৃদয় ভেঙে তেমনই ইঙ্গিত দীপ্সিতার। তবে সেই মানুষটির নাম ফাঁস করেননি। বিয়ে সম্পর্কে আনন্দবাজার অনলাইনকে বললেন, ' বিয়ে তো একটা মিউচুয়াল সিদ্ধান্ত। যে মানুষটিকে আমি বিয়ে করতে চাই, আমাদের দু-জনের একইসঙ্গে একইসময়ে এই ডিসিশনটা নিতে হবে। এই মুহূর্তে (বিয়ের পরিকল্পনা) নেই। এখন আমাদের দুজনেরই ব্যক্তিগত জীবন, কেরিয়ার ইত্যাদি নিয় সেটেলড হওয়ার রয়েছে। আমরা দুজনেই ঠিক করে উঠতে পারিনি আমাদের আগামী ৫টা বছর, ১০টা বছর আমরা কেমন করে কাটাব। সেটা যদি হয়ে যায়, সে🦹খানে গিয়ে যদি দুজনের কোনও একটা জায়গায় তালমিলের জায়গায় আসতে পারে তাহলে নিশ্চয়…'।
ভোট-প্রচারের ফাঁকে বিয়ে নিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে দীপ্সিতা বলেছ🦂িলেন, 'আমার বাড়ির লোকজন মনে হয় না চায় আমি বিয়ে করে অন্য কোথায় চলে যাই। সবাই চায়, আমি দিল্লি থেকে পড়াশোনা করে ফিরে আসি, এখানে অনে💃কদিন থাকি। আমার এক কাকার মেয়ে ক’দিন আগে স্বপ্নে দেখেছে আমার বিয়ে হয়ে গেছে। এসে জড়িয়ে ধরে কান্নাকাটি করে বলছে- ‘দিদি তুই বিয়েটা করিস না। আমি খুব কষ্ট পাব। বিয়ে করলে তুই অন্য লোকের হয়ে যাবি। ফলে আমার বাড়িতে কেউ চায় না আমি বিয়ে করি’।
প্রসঙ্গত, শ্রীরামপুর কেন্দ্রে তিন নম্বরেই শেষ করতে হয়েছে দীপ্সিতাকে। তৃণমূলের জয়ী ♎সাংসদ কল্যাণ🅠 বন্দ্যোপাধ্যায় পেয়েছেন ৬ লক্ষ ৬৪ হাজার ৮০০ভোট, সেখানে দীপ্সিতা পেয়েছেন ২ লক্ষ ৩৭ হাজার ৮০০ ভোট। ভোটে হেরে দীপ্সিতা বলেন, 'দুর্নীতি ইসুতে ভোট হয়নি। বিজেপির ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতির বিরুদ্ধে তৃণমূলকে মানুষ বেছে নিয়েছে। আমরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের বিরোধী নয়। আমরা ভাণ্ডার দিয়ে চাকরি বিক্রি করার বিরুদ্ধে। আমরা আবার মানুষের কাছে যাব।'