বাংলায় সাহিত্যধর্মী ছবির দর্শক নেহাত কম নেই। তবে আজকাল আর কাজ হয় না সেভাবে। তবে খুব জলদি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নেতাজির পর পর্দায় আসতে চলেছেন ঈশ🌸্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। জানা গেল, বিখ্যাত লেখিকা দেবারতি মুখোপাধ্য🐭ায়ের লেখা থেকে আসতে চলেছে নতুন প্রোজেক্ট। এর আগেও দেবারতির লেখা জায়গা করে নিয়েছে টিনসেল টাউনে। আর এবার পালা ‘ঈশ্বরের অন্তিম শ্বাস’-এর।
টলিপাড়ার এক প্রযোজনা সংস্থা তাঁর থেকে স্বত্ব কিনেছেন বলেই জানান দেবারতি। লেখিক🐠া জানালেন, ‘এটা আমার কাছে খুব আনন্দের বিষয়। এর আগেও আমার লেখা থেকে সিনেমা তৈরি হয়েছে। কিন্তু এই উপন্যাসটি আমার কাছে খুব স্পেশাল। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের শেষ জীবন নিয়ে লেখা হয়েছে এটি।’
আরও পড়ুন: ‘রাম’ই পেল না রামলালা-🍒র দর্শন! অযোধ্যায় গিয়েও হতাশ ‘রামায়ণ’ সিরিয়ালের অরুণ গোভিল
অধুনা ঝাꦜড়খণ্ডের একটি অখ্যাত গ্রাম কার্মাটাঁড়ে শেষ জীবন কাটে ঈশ্বরচন্দ্রের। পরিবার পরিজনদের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে তথাকথিত আদিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে গিয়ে বসবাস শুরু করেছিলেন সাহিত্যিক। জীবনের শেষ সাতেরোটি বছর তিনি কাটিয়েছেন সেখানে। তাঁর সেই জীবন অজানা অনেকেরই। থেকে গিয়েছে লোকচক্ষুর আড়ালে। আর সেটাই নিজের বইতে তুলে ধরেছেন দেবারতি।
আরও পড়ুন: ভারতে ২৫ কোটির অ্যাডভা♒ন্সড বুকিং! তবুও হৃতিক-দীপিকার ফাইটার নিষিদ্🌸ধ হল কোন দেশে
দেবারতি জানান, বইটি লেখার আগে তিনি রেইকি-তে গিয়েছিলেন কার্মাটাঁড় গ্রা𒐪মে। বিদ্যাসাগরের বসতবাটি ‘নন্দনকানন’-ও ঘুরে দেখেন। দেখেন বিদ্যাসাগরের নিজের হাতে লাগানো আম গাছটিও। ‘তাঁর ওখানকার কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জানতে পেরে আমি স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। মন ভারাক্রান্ত হয়েছিল অপরিসীম লজ্জায়। একজন বাঙালি হিসেবে সর্বকালের সেরা বাঙালীর শেষ জীবন সম্পর্কে না জানার লজ্জায় ভরে ꦍগিয়েছিল মন। তারপর এই উপন্যাস লেখার কাজ শুরু করি।’
আরও পড়ুন: করিন😼ার প্রেমে সইফ শুনেই বন্ধুকে ‘সাবধান’! সেদিন কী উপদ🗹েশ এসেছিল রানির থেকে
গত কয়েক বছরে বাংলা𝓰 সিনেমা খুব বেশি ব্যবসা করতে পারেনি বক্স অফিসে। এমনকী, ২০২৪ সালটাও শুরু হয়েছে ঠান্ডাভাবে। তবে সাহিত্যধর্মী ছবির দর্শক নেহাত কম নেই। সাফল্যও 🍌এসেছে অতীতে। এখন দেখার এই ছবির ক্ষেত্রে কী হয়।