সোশ্যাল মিডিয়ায় শোকপ্রকাশ নয়, লতা মঙ্গেশকরের শেষযাত্রায় সশরীরে শামিল হয়েছিলেন শাহরুখ খান। সঙ্গী তাঁর ম্যানেজার পূজা দাদলানি। হু হু করে সোশ্যাল মিডিয়া ভাইরাল হয়েছে লতার শেষকৃত্যে শাহরুখে⛎র দু-হাত উপরে তুলে ‘দোয়া’ করার ছবি। তবে সম্পূর্ণ অযাচিত কারণে এই ছবি ঘিরে তৈরি হল বিতর্ক। আর সেই বিতর্কের সূত্রপাত এক বিজেপি নেতার টুইট ঘিরে। যিনি প্রকাশ্যেই প্রশ্ন তোলেন প্রার্থনার নামে লতা মঙ্গেশকরের মরদেহের উপর ‘থুতু ছেটাননি তো শাহরুখ?’ এই নিয়ে তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়ায়।
রবিবার শিবাজী পার্কে লতা মঙ্গেশকের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায়। সেখানে হাজির ছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে চলচ্চিত্র ও ক্রীড়া জগতের বিশিষ্টরা। পৌঁছেছিলেন সচিন তেন্ডুলকর, শাহরুখ-আমিররা। এদিন লতার মরদেহের সামনে ধর্মীয় রীতি মনে দোয়া করেন শাহরুখ। এরপর মাস্ক খুলতে দেখা যায় শাহরুখকে, তিনি মুখটি নীচু করেন। সেই ছবি ঘিরেই তৈরি হয়েছে যাবতীয় বিতর্ক। হ𓃲রিয়ানার রাজ্য বিজেপি-র এই দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা নিজের ভ্যারিফায়েড টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকেই শাহরুখের উদ্দেশ্যে এমন প্রশ্নবাণ ছোঁড়েন। সন্দেহ প্রকাশ করেন শাহরুখ থুতু ছিটিয়েছেন কিনা! এরপর বিদ্যুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ে সেই মুহূর্তের ভিডিয়ো এবং অ♐নেকেই শাহরুখের ‘থুতু ছিটানো’ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে থাকে টুইটারে।
এই নিয়ে বাদশা কোনও মন্তব্য না করলেও শাহরুখ ভক্তরা খচে লাল। নেটিজেনদেরও একটা বড় অংশ শাহরুখের পাশে দাঁড়িয়ে বিষয়টি খোলসা করেছে। আসলে মুসলিম রীতি অনুসারে দোয়া পড়বার পরে ফুঁ দেওয়ার চল রয়েছে। এবং মাস্ক নামিয়ে মুখ নীচু করে ফুঁ দিচ্ছেন শাহরুখ। এটি অশুভ আত্মা বা শয়তান বা জিনকে তাড়াতে প্রতীকী অর্থে ব্যবহার করা হয় এই ফুঁ। শাহরুখ তা-ই করেছেন। কোনওভাবেই প্রয়াত শিল্পীকে অসম্মান করেননি তিনি। ওই বিজ🅠েপি নেতার অজ্ঞতা বা মূর্খামি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।
দুয়া শেষে ফুঁ দেওয়ার ইসলামের এই রীতি সম্পর্কে অন্য ধর্মের মানুষরাও যথেষ্ট ওয়াকিবহাল, আর ভারতের মতো সর্ব ধর্ম সমন্বয়ের দেশে এই ধর্মীয় রীতি জানাটা জরুরি ওই বিজেপি নেতার- স্পষ্ট মত শাহরুখ ভক্তদের। কারুর বিরুদ্ধে এই ধরণের ঘৃণা ছড়ানো মোটেই উচিত নয়, সাফ কথা শাহরুখ অনুগামীদের। শাহরুখের বিꦗরুদ্ধে মিথ্য প্রচারণার জন্য আর কত নীচে নামবে সব্বাই?