'দোস্তজী' ইতিমধ্যে কম বেশি সবারই দেখা হয়ে গিয়েছে। দেখা না হলেও, এই ছবির প্রশংসা শোনেননি, বা রিভিউ পড়েননি এমন মানুষ এখন পশ্চিমবঙ্গে বেশ কমই আছেন। আর যাঁরা একট♍ু সিনেমার বিষয় খোঁজ খবর রাখেন তাঁরা এই ছবির সঙ্গে আরও তিন নামের সঙ্গে বেশ পরিচিত হয়ে গিয়েছেন, আশিক, আরিফ এবং হাসনাহেনা। কারা বলুন দেখি এরা? হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন, দোস্তজী ছবির তিন খুদে অভিনেতা। আর এই ছবির সম্পদ যে এই তিনজন সেটা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। এবার তারা এই ছবিতে দুর্দান্ত অভিনয়ের জন্য বিশেষভাবে সম্মানিত হল।
গত ১১ নভেম্বর বড়পর্দায় মুক্তি𝓡 পেয়েছে দোস্তজী। আর মুক্তি পাওয়ার পরই পরিচালক থেকে তিন খুদে অভিনেতার প্রশংসায় সকলেই পঞ্চমুখ। তবে আশিক, আরিফ বা হাসনাহেনার এখন কি হবে? মুর্শিদাবাদের ডোমকলের এই তিন শিশু শিল্পীদের কেউই যে এখানেই থামতে চায় না। ওরা আরও এগোতে চায়। উজ্জ্বল ভবিষ্যত পেতে চায়। সেই দায়িত্ব এবার নিল রঘুনাথগঞ্জের তালাইয়ের গাইডেন্স অ্যাকাডেমি।
'দোস্তজী'দের আবাসিক স্কুলে থেকে ফুল স্কলারশিপ নিয়ে পড়ার সুযোগ করে দিল গাইডেন্স অ্🐻যাকাডেমি। শিক্ষার আলোয় যাতে তাদের ভবিষ্যত উজ্জ্বল হয়, আরও অনেক বেশি চিনতে, জানতে পারে, নিজের জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে পারে তার জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হল। কেবল গ্ল্যামার নয়, সঙ্গে শিক্ষার স্পর্শও থাকুক, এটাই চেয়েই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এই সংস্থার তরফে। এমনটাই জানিয়েছেন এই সংস্থার সভাপতি আলমগীর হোসেন। একই সঙ্গে তিনি পরিচালক প্রসূন চট্টোপাধ্যায়কেও ধন্যবাদ দেন মুর্শিদাবাদের প্রান্তিক এলাকার এই তিন শিশুর পাশে দাঁড়ানোর জন্য, তাঁদের সুযোগ দেওয়ার জন্য।
দোস্তজী, অর্থাৎ আশিক, আরিফ এবং হাসনাহেনা গাইডেন্স অ্যাকাডেমিতে এসেছিল ওদের মা বাবাদের সঙ্গে। এখানকার অন্যান্য পড়ুয়াদের সঙ্গে আলাপ করে তারা, দোলনাও চড়ে। আশিক জানায় তার পছন্দের বিষয়𝔉 হল অঙ্ক, অন্যদিকে হাসনাহেনা বড় হয়ে বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে চায়। আর আরিফ পছন্দ করে বাংলা। তারা তিনজনই চায় পড়াশোনার সঙ্গে অভিনয়টাও করতে।
এই খবর শোনার পর ভীষণ খুশি হন প্রসূন চট্টোপাধ্যায়, তি🍨নি এই উদ্যোগকে বাহবা জানিয়েছেন। গাইডেন্স অ্যাকাডেমির প্রশংসাও করেন তিনি। তিনিও যে এই তিন খুদেকে নিয়ে ভাবছেন আগামীর জন্য তেমন কথাও শোনান। তবে এই ছবির জন্য প্রান্তিক অঞ্চলের তিন খুদেকে কীভাবে খুঁজে পেয়েছিলেন পরিচালক? তাঁর কথায় অনেক ﷽খোঁজাখুঁজি পর মিলেছিল ওদের।