সম্প্রতি তার দ্বিতীয় স্ত্রী হেমা মালিনীর সঙ্গে ৪৪তম বিবাহ-বার্ষিকী উদযাপন করেছেন ধর্মেন্দ্র। প্রসঙ্গত, অভিনেতার প্রথম স্ত্রী হলেন প্রকাশ কৌর। তাঁদের ৪ সন্তান রয়েছে, দুই ছেলে সানি দেওল ও ববি দেওল এবং মেয়ে অজিতা এবং বিজয়া রয়েছেন। আবার হেমার সঙ্গে রয়েছে ধর্মেন্দ্রর আরও দুই মেয়ে এষা ও অহ🥀না।
একসময় তিক্ততা থাকলেও সানি ও ববি-দের সঙ্গে এষা ও অহনার সম্পর্ক এই মুহূর্তে মধুর। তবে তারপরও সম্প্রতি ধর্মেন্দ্র-হেমার বিবাহবার্ষিকীর উদযাপনে সানি, ববি উপস্থিত ছিলেন না, সেটা নিয়ে তাই অনেকেই ভ্রু কুঁচকেছেন। যদিও সানি ও ববি জানিয়েছিলেন, বিশেষ কাজ থাকার কারণেই তাঁরা সেখানে যেতে পারেননি। এদিকে এষা ও অহনার সঙ্গে🌊 সানি ও ববির সম্পর্ক ভালো হলেও তাঁদের মা প্রকাশ কৌর কিন্তু হেমা কন্যাদের সঙ্গে এখনও দূরত্ব বজায় রেখেই চলেছে।
তবে সত্যিই কখনওই কি বাবার প্রথম স্ত্রীর মুখোমুখি হতে হয়নি এষা কিংবা অহনাকে? হ্যাঁ, তা অবশ্য হয়েছিল। হেমা মালিনীর জীবনীতে সৎ মা প্রকাশ কৌরের সঙ্গে ন🐽িজেদের বাড়িতেই প্রথমবার দেখা হওয়ার বিষয়ে কথা বলেছেন এষা। হেমা কন্যার কথায় সেই সময়টা পরিবারে ভীষণই কঠিন সময় ছিল। ধর্মেন্দ্রের ভাই অজিত দেওল এবং তাঁদের ঘনিষ্ঠ এক কাকা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। সেজন্যই তাঁরা তাকে দেখতে যেতে চান। এষা বলেন, ‘আমি আমার কাকার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলাম এবং শ্রদ্ধা জানাতে চেয়েছিলাম। তিনি আমাকে এবং অহনাকে খুব ভালোবাসতেন। এবং আমরা অভয়েরও খুব কাছের ছিলাম। তাই তাঁর বাড়িতে যাওয়া ছাড়া আমাদের আর কোনও উপায় ছিল না। এমনকি তিনি সেখানেও ছিলেন না। হাসপাতালে আমরা ওঁর সঙ্গে দেখা করব না তাই আমি সানি ভাইয়াকে ডেকেছিলাম। তিনিই তাঁর সঙ্গে দেখা করার জন্য সম্পূর্ণ ব্যবস্থা করে দিয়েছিল।’
এষা জানান, সেবারই প্রথমবা💛র প্রকাশ কৌরের সঙ্গে দেখা হয়। সে প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এষা বলেন, ‘আমি ওঁর পা ছুঁয়ে প্রণাম করি। উনি আমাকে আশীর্বাদ করে চলে গেলেন।’
এষা দেওল জানান তিনি এবং অহনা প্রকাশ কৌরের থেকে তাঁদের দূরত্ব বজায় রেখেই চলꦓেন। কারণ প্রকাশ কৌর এখনও তাঁদের পুরোপুরি গ্রহণ করতে পারেননি। ধর্মেন্দ্র তাঁর উভয় স্ত্রীর সঙ্গেই আলাদা আবাসনে থাকেন। যদিও তিনি মূলত প্রকাশ কৌরের সঙ্গেই থাকেন।