১০ মাসের সফর শেষে বন্ধ হচ্ছে তোমাদের রানি। গত সপ্তাহে এই দুঃসংবাদ প্রথম জানিয়েছিল হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। ‘দুর্যানি’ জুটিকে ৫ই অগস্ট থেকে আর টিভির পর্দায় দেখা যাবে না, এই কথা ভেবেই মন খারাপ ভক্তদের। সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে প্রতিবাদের ঝড়। ভক্তরা স্টার জলসা চ্যানেল বয়কটের ডাক পর্যন্ত দিয়েছে। এই বিতর্ক থেকে সফর শেষের মন খারাপ, সব নিয়ে HT Bangla-র সঙ্গে আড্ডা দিলেন অ🍬র্কপ্রভ অর্থাৎ সবার প্রিয় দুর্জয়।
দুর্জয়ের সুবাদে আপনার এত জনপ্রিয়তা, সফর শেষে অর্ক কী শিখল দুর্জয়ের কাছে ?
অর্কপ্রভ: দুর্জয়ের অনেক স্মৃতি আমার সঙ্গে থাকবে। বাকি দুর্জ🌜য় আমাকে কী শেখালো যদি জানতে চান, তাহলে এটা হয়ত আমি নিজে আরও কয়েকটা দিন পরে বুঝতে পারব। কিন্তু এইটুকু বলব একটা বছর খুব দুর্দান্ত সময় কাটল। গত বছর অগস্টেই ‘তোমাদের রানি’-র শ্যুটিং শুরু🍬 করেছিলাম। এই বছর অগস্টে শেষ হবে।
অভিকা, রৌনক, মধুপ্রিয়া- আপনারা তো খুব ভালো বন্ধু। মিস করবেন?
অর্কপ্রভ: নিঃসন্দেহে এই সফরে কিছু ভালো বন্ধু তো পেলামই। বিষয়টা হল, আমরা যে কাজেই যাই সেখানেই বন্ধু পাই। কাজ শেষ হওয়ার পর বন্ধুত্বে দূরত্ব তৈরি হয়, তবে ফের যখন দেখা হয় পুরোনো স্মৃতিগুলো ভিড় করে আসে। ওই জিন🃏িসগুলোর অপেক্ষায় থাকব, কবে আবার দেখা হবে, আর পুরোনো কথা মনে করে হাসাহাসি করব।
অভিকা তো বয়সে আপনার চেয়ে অনেক ছোট, অথচ আপনাদের কেমিস্ট্রিতে সেই প্রভাব দেখা যায়নি। পুঁচকি হিরোইনকে নিয়ে কী বলবেন?
অর্কপ্রভ: হ্যাঁ, ও তো অনেক ছোট আমার চেয়ে। বয়সের ফারাক বোঝা না যাওয়ার জন্য প্রথমেই ক্রেডিট দিতেই হবে কস্টিউম আর মেকআপকে। কেউ বুঝতেই পারেনি অভিকা কতটা ছোট। বাহবা কিন্তু অভিকারও প্রাপ্য। কারণ নিজের জার্নিতে ও নিজেকে এতটা তৈরি করতে পেরেছে, যাতে বোঝা না যায় ও কত বাচ্চা, ও নিজে সেই কাজে সফল হয়েছে। অভিকা রোজ কিছু না কিছু শেখে, আর অভিনয়ের মধ্যে সেটা অ্যাপ্লাই করে। প্রতিদিন ও উন্নতি করেছে, আমি হয়ত ওতোটাও পারিনি। আসলে ওর বয়সটাই এমন। আমিও ওর বয়সে নতুন কিছু 𝕴শিখলে সেটাকে আরও ভালো করার চেষ্টা করেছি। সেই তাগিদটা ওকে অনেক সাহায্য করেছে, আর ভবিষ্যতেও করবে।
পর্দায় বাবার চরিত্রে অভিনয়, অফস্ক্রিনেও তো বাচ্চাদের সঙ্গে আপনার দারুণ বন্ডিং..
অর্কপ্রভ: বাচ্চাদের সঙ্গে (শ্যুটিংয়ের) অভিজ্ঞতা আমার খুব ভালো। আসলে সবাই জানে, ছোট বাচ্চা আমার কাছে শান্ত থাকবে। আমি এই ব্যাপারে অভিজ্ঞতা রয়েছে অনেক। 𝕴আর বাচ্চার প্রতি টান কার না থাকে বলুন তো? আমি বাচ্চা খুব ভালোবাসি। বাচ্চারা হল কাদা মাটির তাল, ওদের নিজের মতো করে গড়ে নেওয়া যায়। আপনি যত সুন্দর করে গড়ে তুলবেন, ওরাও তেমনভাবেই তৈরি হবে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় তো তোমাদের রানি বন্ধ হওয়া নিয়ে হইচই কাণ্ড, ফ্যানেরা প্রতিবাদ করছে। ওদের কী বলবেন?
অর্কপ্রভ: দেখুন এইটুকুই বলব, আসলে ব্রহ্মাণ্ড তো ওইভাবেই তৈরি। ♛একটা জিনিস শুরু হয়, সেটার রক্ষণাবেক্ষণ হয় তারপর সেটা শেষ হয়। শেষ হচ্ছে বলেই তো নতুন কিছু শুরু হবে। মানুষ জন্মায়, মানুষ মরে তারপর মানুষ আবার জন্মায়, এটাই তো চক্রাকারে চলতে থাকে। আবার নতুন কিছু এসে যাবে, তাঁদের সবার মন ভা♚লো হবে। ফ্যানেদের বলব কেউ হতাশ হবে না।
প্রতিপক্ষ পূবের ময়নার চেয়ে তোমাদের রানি-র টিআরপি তো অনেক বেশি। তারপরেও দুম করে বন্ধ হচ্ছে। আক্ষেপ নেই?
অর্কপ্রভ: এক বছর ধরে কাজ করছি, সেটা শেষ হচ্ছে আক্ষꦡেপ তো একটা থাকবেই। কিন্তু ওই জায়গাটা থেকে আমি সরব না, যা একটু আগে বললাম। যা শুরু হবে তা শেষ হবে। আমি জানতাম কোনও না কোনও দিন এটা শেষ হবেই। আজ না হলে কাল হবে। আমার মনে হয়, খুব 🌠সুন্দর জায়গায় শেষ হচ্ছে।
যদি এমন একটা জায়গায় চলে যেত যে লোকে বলছে, দূর আর ভালো লাগছে না এবার সিরিয়ালটা বন্ধ করা উচিত! তার চেয়ে আমাদের সিরিয়ালটা অনেকটা ধোনির রিটয়ারমেন্টের মতো বন্ধ হ🦄চ্ছে। না সবাইকে হতাশ করল… হয়ত এখন অনেকে হতাশ হচ্ছে। কিন্তু লোকে এটা মনে রাখবে, সুন্দ𓆉র একটা গল্প দেখিয়ে, গল্পে একটা লিপ দেখিয়ে তারপর হ্যাপি এন্ডিং। হঠাৎ করে বন্ধও হয়নি, আবার বছরের পর বছর একটা গল্পকে টেনে হিঁচড়ে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াও হয়নি। টিআরপি বাড়ছে বলে গল্পকে টেনে বাড়ানো হয়নি, সেইদিক থেকে আমি খুশি।
এরপর কি অর্ক ছোটপর্দাতেই কাজ করবে, নাকি ওটিটি কিংবা অন্য কোনও মাধ্যম এক্সপ্লোর করার ইচ্ছে?
অর্কপ্রভ: এই রে! আমি কিচ্ছু জানি 𒊎না। কাল সকালে উঠে আমি কী খাব তাই জানি না, কেরিয়ারের আগামী পদক্🌞ষেপ নিয়ে আমি এখন কথাই বলতে চাই না। ব্রহ্মাণ্ড যে দিকে নিয়ে যাবে, সেই পথে চলব।
আগামী ৫ই অগস্ট থেকে তোমাদের রানির জায়গা নিচ্ছে গৌরব-ঋতব্রতার নতুন মেগা ‘তেঁতুলপাতা’।