অভিনেত্রী হিসাবে বেশ পরিচিত মুখ অনামিকা সাহা। 'খলনায়িকা'র চরিত্র হলেও সিনেপ্রেমীদের কাছে আজও তিনি 'বিন্দুমাসি' হিসাবেই পরিচিত। এই 'বিন্দুমাসি' নামেই অনামিকা সাহার জনপ্রিয়তা। তবে নিজের দীর্ঘ কেরিয়ারে বহু ছবিতে অভিনয় করেছেন বর্ষীয়ান এই অভিনেত্রী। অনামিকা ♐সাহা অভিনীত অন্যতম চর্চিত ব্লকবাস্টার ছবি হল ‘বেদের মেয়ে জ্যোৎস্না’। বর্তমানে সিনেমার পাশাপাশি বাংলা ধারাবাহিকেও দেখা যাচ্ছে অনামিকা সাহাকে। তবে সম্প্রতি ৬৬ বছর বয়সে এসে শ্যুটিং করতে গিয়ে ভায়ানক অভিজ্ঞতা হয়েছে অনামিকার।
সদ্য দুটি বড় শিডিউল শেষ করেছেন অনামিকা সাহা। তারই মাঝে বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর হয়েছে এক অন্য অভিজ্ঞতা। শ্যুটিং সেটে গিয়ে এক্কেবারে রক্তারক্তি কাণ্ড! শোনা গিয়েছিল বর্ষীয়ান অভিনেত্রীকে নাকি খিমচে রক্ত বের করে দেওয়া হয়েছে। ঠিক কী ঘটেছে, সেকথা জানতেই বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর সঙ্গে Hindustan Times Bangla🃏-র তরফে যোগাযোগ করা হয়। তবে কথা বলেই বোঝা গেল ঘটনায় বিন্দুমাত্র রাগ করেননি অভিনেত্রী। জানালেন, মফঃস্বলের অভিনেত্রীদের নিয়ে মানুষের যেমন উন্মাদনা থাকে, এটাও তেমনই একটা ঘটনা।
আরও পড়ুন-কাজ থেকে বিরতি, বাবা-মা হচ্ছেন নীল-তৃণা? ক𓄧ী জানালেন অভিনেত্রী?
ঠিক কী ঘটেছে?
অনামিকা সাহা জানালেন, ‘ ঘটনাটা ঘটেছে বাঁকুড়ায়। তবে খারাপ কিছুই ঘটেনি। এটা তো বরং আমার জীবনে বড় পাওয়া। মানুষ আসলে আমায় এখনও কত ভালোবাসে, এটাই সেটার প্রমাণ। আসলে আমি বাঁকুড়ার গিয়েছিলাম। সেখানে আমায় দেখতে প্রচণ্ড ভিড় হয়েছিল। যেমন হয় আরকি! মহিলারা যাঁরা আমায় ভালোবাসেন, তাঁরা আমার হাত ধরতে চাইছিলেন। গ্রামের মানুষ অত তো বোঝেন না, ওঁরা আমায় ভালোবাসেন। আয়োজকরা যখন আমাদের লাইন দিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখনই ওঁরা আমার হাত ধরে টানাটানি করতে গিয়ে আ🐭মার হাতে আঁচড়ে যায়, হয়ত যিনি হাত ধরে টেনেছিলেন, তাঁর হাতে নখ ছিল, বা কোনওকিছু ছিল। আমি গাড়িতে উঠে দেখি ওখান দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। তেমন কিছুই হয়নি। ওঁর কোনও দোষ নেই।’
অনামিকা সাহার কথায়, ‘এটা আমি আমার জীবনে একটা পাওꦺয়া হিসাবেই গ্রহণ করেছি। আজ নায়ক-নায়িকাদের নিয়ে উন্মাদনা থাকে। সেখানে আমি তো শাশুড়িমা, মা, এসব চরিত্রে অভিনয় করি। এতদিন পর, এই বয়সে এসে দর্শক যে আমায় এত ভালোবাসেন, এটাই তো একজন শিল্পীর পাওয়া। এতে আমি আনন্দই পেয়েছি। ওখানে থাকলে বুঝতেন লোক কাকে বলে! সকলেই শুধু বিন্দুমাসি, বিন্দুমাসি করে ডাকছেন। ওখানে তো আমার নামই নেই। সকলে আমায় বিন্দুমাসি হিসাবেই🌺 চেনেন।’
বর্ষীয়ান অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘আমি বাঁকুড়ায় গিয়েছিলাম বাগাডুলি বলে একটা ছবি করছি, টিনটিন নামে এক নতুন পরিচালকের ছবি এটা। সেই ছবির শ্যুটিং করতে গিয়েই এই কাণ্ড। এটাই নেগেটিভ চরিত্র। আমার চরিত্রটি ভোটের রেজাল্ট নিয়ে বলছে, আমি কোনও কথা শুনতে চাই না। এই গ্রাম আমার, আমারই থাকবে। এইর꧃কম দাপুটে চরিত্র। রাস্তার মধ্যেই শ্যুটিং হচ্ছিল।’
অনামিকার কথায়, ‘গ্রামবাংলার মানুষ এখনও আমায় ভালোবাসেন, বরং আমি আর এই বয়সে 🎶সেভাবে কোনও অনুষ্ঠানে যেতে পারি না। রাত জাগার বিষয় থাকলে তো যাইই না এখন। এই তো পরশুদিনই (শনিবার) একটা অনুষ্ঠান আছে পাঁশকুড়ায়। আয়োজকরা আমায় ৮টার মধ্যে ছেড়ে দেবেন বলেছেন, ꦚতাহলে ১২টার মধ্যে কলকাতায় ফিরে যাব। এখন আমার দুটো সিরিয়াল করছি, তাই চাপ আছে।’