বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > Debchandrima Exclusive: আমি জীবনে উত্তেজনা চাই, ছকে বাঁধা সহজ জীবন আমার কাছে খুবই বোরিং: দেবচন্দ্রিমা

Debchandrima Exclusive: আমি জীবনে উত্তেজনা চাই, ছকে বাঁধা সহজ জীবন আমার কাছে খুবই বোরিং: দেবচন্দ্রিমা

দেবচন্দ্রিমা সিংহ রায়

ছোট পর্দার অতি পরিচিত মুখ দেবচন্দ্রিমা সিংহ রায় এবার শরৎচন্দ্রের গল্পের নায়িকা। মৌসুমি চট্টোপাধ্যায়, বিদ্যা বালানদের জুতোয় পা গলালেন অভিনেত্রী। প্রথম সাহিত্য নির্ভর কাজ, তাঁর জন্য কতটা কঠিন ছিল? তা নিয়েই খোলামেলা আড্ডায় ধরা দিলেন নায়িকা।

ছোট পর্দার অতি পরিচিত মুখ দেবচন্দ্রিমা সিংহ রায় এবার শরৎচন্দ্রের গল্পের নায়িকা। মৌসুমি চট্টোপাধ্যায়, বিদ্যা বালানদের জুত🅰োয় পা গলালেন অভিনেত্রী। তবে এখানেই থেমে নেই তাঁর পথ চলা। কলকাতার চেনা গণ্ডি পেরিয়ে নিজেকে নতুন করে খুঁজতে এখন মুম্বইতে পাড়ি জমিয়েছেন তিনি। সেখানও তাঁর জনপ্রিয়তা কিছু কম নয়। মায়া নগরীর দিন-রাত থেকে প্রথম সাহিত্য নির্ভর কাজ সবটা তাঁর জন্য কতটা কঠিন ছিল? তা নিয়েই খোলামেলা আড্ডায় ধরা দিলেন নায়িকা।

প্রশ্ন: প্রথমবার সাহিত্যনির্ভর কাজ, অফারটা পাওয়ার পর কেমন অনুভূতি হয়েছিল?

দেবচন্দ্রিমা: 'পরিণীতা' আমার খুব কাছের একটা প্রোজেক্ট। যখন আমি অফার পেয়েছিলাম তখন ভালোলাগা আর টেনশ💧ন দুটো🌌ই একই সঙ্গে কাজ করছিল।

প্রশ্ন: ইন্সটাগ্রামে তো একেবারে অন্যভাবে দেবচন্দ্রিমাকে পাওয়া যায়, 'ললিতা'র লুকে দর্শকরা কতটা গ্রহণ করবেন তা নিয়েই কি টেনশনে ছিলেন?

দেবচন্দ্রিমা: না লুক নিয়ে ঠিক নয়। আমার লুকটা তো অদিতিদি (অদিতি রায়) সেট করেছিলেন🎃। ওঁর উপর আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে, কারণ অদিতিদি মানুষটা খুব সাবেকি। আর ডাবিংয়ের সময় আমি যখন নিজেকে দেখেছিলাম, তখন লুকটা আমারও বেশ ♚ভালো লেগেছিল। আশাকরি দর্শকদেরও ভালো লাগবে।

প্রশ্ন: তাহলে কী নিয়ে চিন্তা কাজ করছিল?

দেবচন্দ্রিমা: আপনি ইন্সটাগ্রামের কথা বললেন না, আসলে আমাকে ইন্সটাগ্রামে যেরকম দেখেন আমি ঠিক সের✅কম। আর সেই জায়গা থেকেই আমার কাছে এই 'ললিতা' হয়ে ওঠাটা খুব চ্যালেঞ্জিং ছিল। অদিতিদি বলেছিলেন যে, আমাকে 'ললিতা' হয়ে উঠতে হবে। অভিনয় করছি সেটা যেন বোঝা না যায়। এই কাজের অফারটা পাওয়ার ১ মাস পর 'পরিণীতা'র কাজ শুরু হয়। এই এক মাসে আমি নিজেকে তৈরি করেছিলাম। চরিত্রটার জন্য আ⛦মি অনেক খেটেছি।

প্রশ্ন: কী রকম ছিল সেই প্রস্তুতিটা?

দেবচন্দ্রিমা: শুধু 'ললিতা' হয়ে উঠব বলে নিজেকে একমাস ঘরবন্দী করে নিয়েছিলাম। কোনও বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে দেখা করতাম না, পার্টিতে যেতাম না। শুধু জিমে যেতাম আর বাড়ি। বাকিটা সময় উপন্যাসটা বারবার করে পড়তাম। সেই সময়ের মতো করে কথা বলা, হাঁটাচলা সবটা আমাকে অভ্যাস করতে হয়েছিল। বাড়িতে শড়ি পরে হাঁটাচলা অভ্যাস করতাম, সংলাপগুলোও সেই ভাবেই চর্চা করতাম। এই সময় আমি পুরনো দিনের অনেক সিনেমা দেখেছি। সেগ🤪ুলো দেখে বুঝতে চেষ্টা করেছি সময়টাকে ধরার চেষ্টা করেছি, ওঁরা কীভাবে কথা বলতেন, হাঁটতেন সেসব দেখে শেখার চেষ্টা করতাম।

প্রশ্ন: বাংলাতে তো এর আগেও 'পরিণীতা' হয়েছে, সেই ছবিটা দেখেছিলেন?

দেবচন্দ্রিমা: হ্যাঁ, সব কটা 'পরিণীতা'ই দেখেছিলাম। তবে একবার করে, খুব বেশি দেখি🌸নি। কারণ তাতে অনুকরণ করার একটা প্রবণতা চলে আসতে পারত। তাই অদিতিদি আমাকে বলেছিলেন একবার করে দেখে কেবল বুঝে নিতে। আর উপন্যাসটা বার বার পড়ে 'ললিতা'কে নিজের মতো করে কল্পনা করতে।

প্রশ্ন: কিন্তু আগে যাঁরা 'ললিতা' হয়েছেন মানে মৌসুমি চট্টোপাধ্যায়, বিদ্যা বালন ওঁদের সঙ্গে তো একটা তুলনা আসতেই পারে। সেই জায়গাটা নিয়ে কি কোনও অতিরিক্ত চাপ অনুভব করেছিলেন কাজটা করার সময়?

দেবচন্দ্রিমা: না, আমি কখনওই সেটা নিয়ে ভাবিনি। আমি শুধু একটা কথাই ভেবেছি যে আমাকে আমাকে 'ললিতা' হয়ে উঠতে হব♓ে। ওঁরা লেজেন্ড, আমার থেকে অনেক সিনিয়র। আমার মনে হয় আমার এই নিয়ে কথা বলার কোনও যোগ্যতাও নেই। ওঁরা ওঁদের মতো করে এই চরিত্রটা করেছেন। তাঁদের কাজের সঙ্গে তো আমার কোনও তুলনায়ই চলে না। তবে আগের জেনেরেশন ওঁদের কাজ দেখেছেন, আর এই প্রজন্ম আমাকে দেখবেন। এই প্রজন্মের দৃষ্টিভঙ্গিটা তো আলাদা। তাই আমারাও বর্তমান সময়কে মাথায় রেখেই এই গল্পটা বলতে চেয়েছি। আমিও আমার মতো করে চেষ্টাটা করেছি। প্রায় রোজই শর্বরীদিকে গিয়ে সংলাপ বলে শোনাতাম, জানতে চাইতাম আমরা উচ্চারণ, বলার ভঙ্গি সবটা ঠিক হচ্ছে কিনা। শুনতে 'ললিতা'র মতো লাগছে কিনা। পরে আমিও বুঝতে পেরেছিলাম আসতে আসতে আমি চরিত্রটা হয়ে উঠেছি। আশাকরি দর্শকদেরও ভালো লাগবে।

প্রশ্ন: সহ-অভিনেতা গৌরব চক্রবর্তীর থেকে কতটা সাহায্য পেয়েছেন?

দেবচন্দ্রিমা: গৌররদা স্ক্রিপ্ট রিডিং-এর সময় আমাকে এই বিষয়ে অনেক সাহায্য করেছিলেন। আসলে ওঁর মধ্যে জন্মগত ভাবেই এই সাবেকিআনার ব্যাপারটা রয়েছে। তবে অভিনয়ের সময় আমরা কেউ কারুর অভিনয় নিয়ে বেশি ক😼থা বলতাম না। প্রত্যেকের অভিনয়ের তো একটা ধরন রয়েছে। আর গৌরবদা সেই স্পেসটা আমাকে সব সময় দিতেন। তিনি আমার থেকে সিনিয়র হলেও, কখনও আমার সঙ্গে সেরকম ব্যবহার করতেন না। সবসময় আমাকে বলতেন, 'দেবচন্দ্রিমা তুমি নিজের মতো করে কর। কিছু ভুল হলে অদিতিদি ফ্লোরে আছেন, তিনি বলব🐼েন।' আসলে আমরা একসঙ্গে কাজটা ভালো করে করার চেষ্টা করতাম। শুধু নিজেটা ভালো করে করব, এমন মনোভাব আমাদের মধ্যে কখনওই কাজ করত না। আর আমি মেগাতেও সেই ভাবেই কাজ করি।

প্রশ্ন: আর এখন তো কলকাতা নয়, মুম্বইতে মেগা। আচ্ছা, অফারটা কীভাবে এল?

দেবচন্দ্রিমা: আমার কাছে কোনও অফার আসেনি। আমি প্রায় এক-দেড় বছর ধরে চেষ্টা🉐 করছিলাম। কলকাতায় কাজের ফাঁকে ফাঁকে মুম্বইতে চলে আসতাম। বিভিন্ন প্রোডাকশান হাউসে ঘুরতাম, কাস্টিং ডিরেক্টরদের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্র♋চুর অডিশন দিয়েছি। আর সেই অডিশন থেকেই একদিন এই কাজের অফারটা পাই। তবে সেটাই ফাইনাল ছিল না। এখানে প্রচন্ড কম্পিটিশন।

এই কাজের অফারটা যখন আসে তখন আমি গোয়াতে একটা মিউজিক ভিড🐟িয়োর শ্যুট করছিলাম। সেসময় বিচ থেকে একটা ভিডিয়ো বানিয়ে ওঁদের পাঠিয়ে ছিলাম। সেটা দেখে ওঁদের ভালো লেগেছিল। তারপর কলকাতা থেকে মকশ্যুটের জন্য আবার মুম্বইতে যাই। টানা ১০ দিন। আলাদা আলাদা ছেলে-মেয়েদের নিয়𝄹ে শ্যুট চলে। তার মধ্যে থেকে ওঁরা আমাকে বেছে নেন। আর এর জন্য আমি সত্যি খুব কৃতজ্ঞ।

প্রশ্ন: অনেকেই তো আপনার মতো বলিউডে কাজ করতে চান, তাঁদের কী কী টিপস দেবেন?

দেবচন্দ্রিমা: আমি টিপস দেওয়ার জায়গায় এই মুহূর্তে নেই। আমি একেবারে নতুন। সবে কয়েকটা মাস মাত্র কাজ করা শুরু করেছি। এতদিন ধরে অডিশন দিয়ে একটা কাজ পেয়েছি। আসলে এখানে সবটাই খুব ইঠাৎ 𒉰করে হয়। তাই কাজের চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে, থামলে চলবে না। এটা শুধু আমার একার কথা নয়, এখানে যাঁরা অনেক বছর কাজ করেছেন তাঁরাও বলতে পারবেন না। এখানে যখন তখন যা খুশি হতে পারে।

প্রশ্ন: তাহলে তো বাংলা ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে অনেকটাই পার্থক্য রয়েছে...

দেবচন্দ্রিমা:🌄 তা কিছুটা রয়েছে, তবে পুরোটা নয়। শুটিংয়ের নিয়ম তো একই, কিন্তু কাজটা খুব তাড়াতাড়ি হয় এখানে। কারণ কলকাতার থেকে এখানে এপিসোড বাজেট অনেকটা বেশি, পাঁচ-ছ'টা ক্যামেরায় শুটিং হয়। দুটো তিনটে ইউনিট কাজ করে। ফলে দ্রুত হলেও খুব সুন্দর ভাবে এঁরা কাজটা করতে পারেন।

প্রশ্ন: আর ভাষা সেটার ক্ষেত্রে সমস্যা হয়নি?

দেবচন্দ্রিমা: শুরুদিকে একটু সমস্যা হত, শুদ্ধ হিন্দি তো, কিন্তু এখন অনেকটাই সাবলীল। কিন্তু আমরা মཧূল সমস্যাটা হত রাজস্থানী বলতে গিয়ে।

প্রশ্ন: তাহলে রাজস্থানী তো আলাদা করে নিশ্চয়ই শিখতে হয়েছে?

দেবচন্দ্রিমা: তার যে খুব একটা সুযোগ পেয়েছি, তেমনটা নয়। আমাদের শ্যুট শুরু হওয়ার ১০ দিন আগে একটা রাজস্থানী শেখার ক্লাস শুরু হয়েছিল। কিন্তু মাত্র ১০ দিনে তো কোনও ভাষা রཧপ্ত করা সম্ভব নয়। তাই চিত্রনাট্য এলে আমাদের ফ্লোরে রাজস্থানী শেখানোর জন্য একজন আছেন, তিনি আমাদের চিত্রনাট্য পড়ে শোনান, আমারা সেটা শুনে উচ্চারণ ঠিক করেনি, মুখস্থও করি।

প্রশ্ন: বাহ, তার মানে চুটিয়ে কাজ করছেন। কিন্তু, অবসর সময় কীভাবে কাটান মুম্বইতে? কোন কোন জায়গায় ঘুরলেন?

দেবচন্দ্রিমা: (ক্লান্ত স্বরে) আর🦄 অবসর, সকাল ৭ টায় কাজ করতে চলে যাই। ফিরি রাত ১২ টায়। ঘোড়ার🎃 মতো সোজা তাকিয়ে যায়। ডানদিকে, বাঁদিকে কী আছে তাই দেখতে পাই না, আর শহর ঘুরে দেখা। সকালে ঘুমের ঘোরের মধ্যেই কাজে চলে যায়, তারপর ফিরি যখন সারাদিন পরিশ্রম করার পর আমার শরীরে আর কোনও শক্তি থাকে না। তাই আর আলাদা করে কিছু করার কথা মনে হয় না। খুব ঘুম পেয়ে যায় আমার। কিন্তু সত্যি বলতে কী আমি এই জীবনটাই চেয়েছিলাম। আমি পাগলের মতো কাজ করতে ভালোবাসি। ছুটি থাকলে কী করব বুঝেই উঠতে পারিনা। এখানে আমি খুব মজায় আছি।

প্রশ্ন: তা কী কী মজা করা হয়? নতুন শহরে নতুন বন্ধু হয়েছে?

দেবচন্দ্রিমা: হ্যাঁ, অনেক বন্ধু হয়েছে আমার। 🉐ওঁদের সঙ্গে খুবই মজা করি। আমরা মুম্বইয়ের বন্ধুদের বাঙালি খাবারও খাইয়েছি। ওঁদের বাংলাও শেখাই।

প্রশ্ন: কিছুদিন আগেই তো ফ্রেন্ডশিপ ডে গেল, কীভাবে কাটালেন ওঁদের সঙ্গে?

দেবচন্দ্রিমা: নানা সবার সঙ্গে মজা করার বিশেষ সুযোগ হয়নি। সেদিনও আমার কাজ ছিল। কিন্তু ফ্রেন্ডশিপ ডে উপলক্ষ্যে আমি আর অদ্রিজা (অদ্রিজা রায়) দুপুরে একসঙ্গে জমিয়ে ইলিশ 𓄧মাছের তেল দিয়ে খাবো ভেবেছিলাম। ভাতও বানিয়েছিলাম আমরা, কিন্তু ভালো ইলিশই পেলাম না, আমাদের ইচ্ছেটা অপূর্ণই🀅 রয়ে গেল।

প্রশ্ন: আচ্ছা, অদ্রিজা সঙ্গে তারমানে প্রায়ই নানা রকম প্ল্যান হয়...

দেবচন্দ্রিমা: হ্যাঁ, আসলে অদৃজা কাছাকাছিই থাকে। কিন্তু ওঁর আর আমার শিডিউল সব সময় মেলে না, সেটা মেলাও বেশ কঠিন। কিন্তু কোনও কারণে দু'জনের এ🐼কদিনে ছুটি পরে গেলে সেই দিনটা আমরা খুব মজা করে কাটাই। একসঙ্গে ক্যাফে বা রেস্তোরাঁয় যাই, ঘুরতে বের হই।আসলে একটা সময় কলকাতাতে অদ্রিজা আর আমি একই ফ্ল্যাটে থাকতাম।🧸 তখন থেকেই আমাদের বন্ধুত্বের শুরু।

প্রশ্ন: বাহ, কিন্তু কলকাতাতেও তো আপনার অনেক বন্ধু, মিস করেন তাঁদের?

দেবচন্দ্রিমা: কলকাতার বন্ধুদের সঙ্গে ফোনে বা ভিডিয়ো কলে কথা হয়। কলকাতায় গেলে মাঝে মাঝে দেখাও করি। ওখানে থাকাকালীন তো রোজ দেখা হত না সকলের সঙ্গে। তাই এখানে এসেও আলাদা করে মিস করার কিছু নেই। দেখা হওয়ার উপর বন্ধুত্ব নির্ভর করে না। আর আমি খুব সেলফ সেন্টারড একটা মানুষ। আমার একা থাকতে কোনও সমস্যা হয় না। ২৪ ঘণ্টা আমি বাড়িতে একা থে🗹কে যেতে পারি। আসলে মানসিক শান্তি থাকলে আমার আর কিছুরই প্রয়োজন ꦍহয় না।

প্রশ্ন: রেজওয়ানের (রেজওয়ান রব্বানী শেখ) সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে?

দেবচন্দ্রিমা: হ্যাঁ, আমার আর সব বন্ধুর সঙ্গেই আমার যোগাযꦅোগ আছে।

প্রশ্ন: ক'দিন আগেই তো দিদির বিয়ে গেল...

দেবচন্দ্রিমা: (খানিক হতাশার সুরে) হ্যাঁ, আমি তো যেতেই পারলাম না। ছুটির জন্য বলেও রেখেছিলাম, কিন্তু পেলাম না। তারপর ভেবেছিলাম ভিডিয়ো কলে দেখব, কিন্তু সেটাও হয়নি। তখন আমাদের মরুভূমিতে শ্যুটিং চলছি। রাত ২ টো থেকে কল টাইম থাকত। তাই তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়তে হত। কিন্তু ওঁর বিয়ের প্যান্ডেল থেকে লাইট, ♉তারপর ওঁর সাজ কেমন হবে, সবটা এখান থেকে বসেই আয়োজন করেছি, তাও আবার ওই ভিডিয়ো কলের মাধ্যমেই।

প্রশ্ন: সামনেই তো দুর্গাপুজো আসছে তখন কি কলকাতায় আসা হবে?

দেবচন্দ্রিমা: হ্যাঁ, একদম। দুর্গাপুজোয় কলকাতায় না গেলে হয়। আমি তো অনেক আগে থেকেই পুজোর চারদিনের জন্য ছুটি নিয়ে রেখেছি। আমি ওঁদের বলেছি, যে আমাকে টানা কাজ করꦰাও, কোনও ছুটি লাগবে না, কিন্তু পুজোর ক'টা দিন আমার ছুটি চাই।

প্রশ্ন: হ্যাঁ, বাঙালির কাছে পুজো তো একটা আলাদা একটা ইমোশান। তা কলকাতার আর কী কী মিস করেন?

দেবচন্দ্রিমা: না সেরকম কিছু নেই, আমি শুধু কলকাতার খাবারকে খুব মিস করি। বললাম না এখানে ভালো ইলিশ পাইনি। ভাবুন তো এই বর্ষার মরশুমে এখানে একটা ভালো ইলিশও পাওয়া যাচ্ছে না। কত যে বাজারে ঘুরেছিলাম। তাও পেলাম না। আর ইলিশ কেন, ওটা ছাড়াও এখানে অন্যান্য বাঙালি খাবারও খুব একটা ভালো পাওয়া যায় না। তবে এখন আমা🌌র সেই অভাবটা কিছ꧙ুটা হলেও মিটবে জানেন। কারণ, কলকাতায় যে দিদি রান্না আমাকে করে দিতেন, ওঁকে এখানে ডেকে নিয়েছি। এবার এখানে বসেও ভালো ভালো বাঙালি খাবার খেতে পারব।

প্রশ্ন: আর কাজ, 'পরিণীতা' পর কী বাংলা সিরিজ-সিনেমায় দেখতে পাবো আপনাকে?

দেবচন্দ্রিমা: আমি কলকাতায় কাজ করব না, তেমনটা তো কখনওই বলিনি। দুটো জায়গাতেই আমি সমান ভাবে কাজ ক🥀রতে চাই। তবে এখন একটু বেশি ফোকাশ করছি মুম্বইতেই।

প্রশ্ন: বাংলা মেগায় ডাক এলে ফিরবেন?

দেবচন্দ্রিমা: হ্যাঁ অবশ্যই। ভালো কাজের সুযোগ এলে সেটা সিরিজি, সিনেমা হোক কিংবা মেগা আমি নিশ্চয়ই করব। আসলে কি জানেন, কলকাতায় কাজ করতে করতে বিষয়টা আমার কাছে খুব ক🔯ম্ফোটেবল হয়ে গিয়েছিল। তাই আর ভালো লাগছিল না। কম্ফোটজোনের মধ্যে থাকা, সহজ জীবন আমার কখনই পছন্দ নয়। আমি জ⛦ীবনে উত্তেজনা চাই। নতুন নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে চাই। আর মুম্বইতে এসে আমি আবার সেটা ফিরে পেয়েছি।

আমার মনে হচ্ছে, আমি আবার নতুন করে শুরু থেকে স🍌ব শুরু করেছি। আবার সেই লড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। টাকা বাঁচিয়ে বাড়ির ভাড়া দিচ্ছি। কষ্ট করে নতুন নতুন ভাষা শেখার চেষ্টা করছি। কলকাতায় গেলে আমার এইসব কষ্ট থাকবে না। কিন্তু এই❀ ছকে বাঁধা সহজ জীবন আমার কাছে খুবই বোরিং। তাই সবটা মিলিয়ে আমার খুব ভালো লাগছে।

প্রশ্ন: প্রেমের ক্ষেত্রেও কী আপনার দৃষ্টিভঙ্গি সেরকমই?

দেবচন্দ্রিমা: আমি♌ এখন প্রেম নিয়ে কিছু ভাবিই না। ও যখন হওয়ার নিজে থেকেই হবে।

প্রশ্ন: তাহলে দেবচন্দ্রিমা কি এখন সিঙ্গেল?

দেবচন্দ্রিমা: হ্যাঁ, 𝕴আমি প্র🅷চন্ড ভাবে সিঙ্গেল। গত এক-দেড় বছর ধরে আমি কারুর সঙ্গে কোনও সম্পর্কে নেই।

প্রশ্ন: কেমন মনের মানুষ পছন্দ?

দেবচন্দ্রিমা: 🀅সেসব নিয়ে আমার কিছুই ভাবা নেই। ভাবতে চাইও না। আসলে আমার এই মুহূর্তে কোনও সম্পর্কে জড়ানোর ইচ্ছেই নেই। এখন আমার মাথায় কেবল একটা কথাই ঘোরে এটাই কাজের বয়স, তাই মন দিয়ে পাগলের মতো ভালো ভালো অনেক কাজ করে নিতে হবে। ওসব প্রেম-ভালোবাসার পড়ে হবে।

বায়োস্কোপ খবর

Latest News

‘‌ট্যাব কেলেঙ্কারিতে 𝔉জড়িতদের গুলি করে মারা উচিত’‌, নিদান দিলেন তৃণমূল সাংসদ অরূপ কে সরাল ব্র⛦িটেনের সবচেয়ে পুরনো কৃত্রিম উপগ্রহ, উত্তর অধরা 'গত ৪-৫ বছর ধরে না মরে বেঁচে আছি...' হ🔯ঠাৎ কেন এমনটা বললেন অনুরাগ কাশ্꧋যপ? গুরু নানক জয়ন্তীতে গুরুদ্বারে মিমি, ♑জানালেন প্রার্থনা অভিষেকের স✃ঙ্গে প্রেমের চর্চার মাঝেই গুরুদ্বারে প্রার্থনা জাಌনাতে হাজির নিমরত জাপানের রাস্তা কতটা পরিস্কার! চেক করতে সাদা মোজা পরে ঘুরলেন ভার𒊎তীয় মহিলা আগামিকাল শনিবার কার্তিক পুজো🐭র দিন কেমন কাটবে? রইল ১৬ নভেম্বরের রা💛শিফল পাকিস্তানের বাড়াবাড়ি POKতে! চ্যাম্পিয়ন্স ট্𝔍রফি বিতর্কে ICCকে অভিযোগ জয় শাহের… শিলিগুড়িতে রেস্তোরাঁ খুললেন বাইচুং,🌳 নাম🐬 শুনলে অবাক হবেন! India vs SA 4th T20 Live- সিরিজ জিতে ফিরতে পারবে 𒈔ভারত? টস জিতে ব্যাটিং ভারতের

Women World Cup 2024 News in Bangla

AI দ🍬িয়ে মহিলা ক্রিকেটারদের সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্র♕োলিং অনেকটাই কমাতে পারল ICC গ্রুপ স্টেজ থেকে বিদায় নিলেও ICC﷽র সেরা মহিলা একাদশে ভারতের🎶 হরমনপ্রীত! বাকি কারা? বিশ্বকাপ জিতে নিউজিল🍎্যান্ডের আয় সব থেকে বেশি, ভারত༒-সহ ১০টি দল কত টাকা হাতে পেল? অলিম্পিক্সে বাস্কেটবল খেলেছে♋ন, এবার নিউজিল্যান্ডকে T20 বিশ্বকাপ জেতালেন এই তারকা রবিবারে খেলতে চান না বলে ট🐭েস্ট ছাಞড়েন দাদু, নাতনি অ্যামেলিয়া বিশ্বকাপের সেরা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়ে 🗹কত টাকা প💦েল নিউজিল্যান্ড? টুর্নামেন্টের সেরা কে?- পুরস্কার মুখোমুখি লড়াইয়ে পাল্লা ভারি নিউজিল্যান্ডের, বিশ্বকাপ ফাইনালে ইতি🔥হাস গড়বে কারা? ICC T20 WC ইতিহাসে প্রথমবার অস্ট্🌺রেলিয়াকে হারাল দক্ষিণ আফ্রিকা জেমিমಞাকে দেখতে পারে! নেতৃত্বে হরমন-স্মৃতি নয়, তারুণ্যের জয়গান মিতালির ভিলেন নেট রান-রেট, ভালো খেলেও বিশ্বকাপ থেকে 🍷ছিটকে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন না🎃ইট

Copyright © 2024 HT Digital Streams Limited. All RightsReserved.